১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জমি সংকট থাকায় কূটনৈতিক এলাকা হতে পারে পূর্বাচলে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জমি সংকট থাকায় কূটনৈতিক এলাকা হতে পারে পূর্বাচলে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী - ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, গুলশান ও বারিধারা এলাকায় জমির সংকটের কারণে পূর্বাচলে একটি কূটনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করার প্রয়োজন হতে পারে। জাতীয় সংসদে জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘সকল দূতাবাস/হাইকমিশন অফিস বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় স্থানান্তর করার জন্য বেশ কয়েকটি দূতাবাস/হাইকমিশনের জমির দাবি রয়েছে। তবে জমি সংকট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যোগাযোগ করছে।’

বর্তমানে ১০টি বিদেশি মিশনের প্লটের আবেদন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কুয়েত, মিয়ানমার এবং আফগানিস্তান তাদের মিশন চালু করার পর থেকেই এ বিষয়ে অনুরোধ করে আসছে।‘

ড. মোমেন আরো জানান, তারা একটি ইঙ্গিত পেয়েছেন যে ঢাকার ৫০ কূটনৈতিক মিশনের মধ্যে যারা তাদের বরাদ্দকৃত বা নিজেদের ক্রয়কৃত জমি ব্যবহার করছে না তারা প্লট পাওয়ার আগ্রহ দেখাতে পারে।

তিনি বলেন, রাজধানীতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান থাকায় ঢাকা শহরের দ্রুত প্রসার ঘটছে।

‘দূতাবাস স্থাপনের নতুন দাবির বিপরীতে ঢাকার গুলশান ও বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় পর্যাপ্ত জমির ব্যবস্থা করা খুব কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে, বিদেশি মিশন স্থাপনের জন্য পূর্বাচলে একটি কূটনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করার প্রয়োজন হতে পারে,’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি সরকার এখানে কনস্যুলার অফিস স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সম্মতি চেয়েছে।

বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাস স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলাকালীন হাঙ্গেরির এ আবেদনের প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানান আবদুল মোমেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement