২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মালয়েশিয়ায় লকডাউন ও জরুরি অবস্থায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট বিতরণ অব্যাহত

মালয়েশিয়ায় লকডাউন ও জরুরি অবস্থায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট বিতরণ অব্যাহত - ছবি : নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়ায় করোনা রোধে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এক প্রকার স্থবির হয়ে গেছে। লকডাউনের পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বহাল রয়েছে, চলবে আগামী পহেলা আগস্ট পর্যন্ত। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রোড ব্লক দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যারা এই বিধি-নিষেধ অমান্য করবে তাদেরকে জরিমানা ও গ্রেফতার করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্টরা। রোড ব্লকগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

এমতাবস্থায় অধিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। প্রবাসীদের পাসপোর্ট চাহিদার গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশীদের হাতে দ্রুত পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে সরকারের বিধি-নিষেধ মেনে লকডাউনের মধ্যে গত তিন দিনে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি পাসপোর্ট বিতরণ করেছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বিধি-নিষেধের মধ্যেও তিন প্রদেশে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা যেন কর্মক্ষেত্রে সঠিক সময়ে ভিসা রিনিউ করতে পারেন ওই লক্ষে সব নীতিমালা অনুসরণ করে ছুটির দিনসহ দূতাবাস কর্মীরা অবিরাম দিন-রাত কাজ করে করোনার মধ্যেও প্রায় এক লাখ ৩০ হাজারেরও অধিক পাসপোর্ট বিতরণ করেছে।

তারা আরো জানান, মালয়েশিয়ায় করোনার সংক্রমণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। কিছু দিন আগেও দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখার কয়েকজন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরও প্রবাসীদের পাসপোর্ট প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা মহামারীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দূতাবাসের কর্মীরা পাসপোর্ট বিতরণ করে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান লকডাউন ঘোষণার আগে শনিবার ও রোববার মালয়েশিয়ায় সরকারি ছুটি। এই দুই দিন দূতাবাসের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রবাসীদের দ্রুত পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করতে পাসপোর্ট সার্ভিস শাখার কর্মীরা নিরলস কাজ করেছেন।

এ বিষয়ে পাসপোর্ট অ্যান্ড ভিসা শাখার প্রধান মো: মশিউর রহমান তালুকদার জানান, মালয়েশিয়া সরকার একটানা লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (সিএমসিও), স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) জারি রেখেছে। এসব সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করে পাসপোর্ট সার্ভিস স্বাভাবিক রাখা কঠিন চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্র স্বাভাবিক ও নিবিড় করতে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং দ্রুত পাসপোর্ট বিতরণে দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সেবা দিতে গিয়ে হাইকমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা রয়েছেন কোয়ারেন্টিনে। তার পরেও ঝুকিঁ নিয়ে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলছেন পাসপোর্ট শাখার প্রধান মশিউর রহমান তালুকদার।

মালয়েশিয়ায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো: গোলাম সারওয়ার বলেন, পাসপোর্ট দ্রুত ডেলিভারি দিতে ইতোমধ্যে হাইকমিশনে ছয়জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং আরো লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মালয়েশিয়া পোস্ট অফিসের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে, যাতে করে দূরে কর্মরত কর্মীদের কাছে সহজে পাসপোর্ট পৌঁছে দেয়া যায়।


আরো সংবাদ



premium cement