২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কুয়েতে আবারো ২০ হাজার বাংলাদেশীর বৈধতার সুযোগ

কুয়েতে আবারো ২০ হাজার বাংলাদেশীর বৈধতার সুযোগ - নয়া দিগন্ত

মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ কুয়েত সরকার শর্ত সাপেক্ষে আবারো ২০ হাজার বাংলাদেশীসহ লক্ষাধিক অবৈধ বিদেশী শ্রমিককে বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত জরিমানা পরিশোধ করে আগামী ১ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আকামা নবায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গত মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক কুয়েত টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যেসব বাংলাদেশীসহ বিদেশী কর্মী অবৈধ হয়েছেন তাদের জন্যই দ্বিতীয় দফা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে কুয়েত সরকার।

কুয়েতে বসবাসরত সাংবাদিক মো: জালাল উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নয়া দিগন্তকে বলেন, করোনা মহামারী শুরু হওয়ার আগে কুয়েত সরকার প্রথমবার অবৈধ বিদেশী অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় দফা মঙ্গলবার আবারো বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইনসহ শ্রমবান্ধব দেশগুলোর অবৈধ শ্রমিকদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার অবৈধ শ্রমিকদের অবস্থানের মেয়াদ ছয় মাস থেকে দুই বছর বা তারো বেশি সময় যদি হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর একজন কর্মীর জরিমানা সর্বোচ্চ এক লাখ ৬২ হাজার টাকা (৬০০ দিনার) নির্ধারণ করেছে। তবে যাদের মেয়াদ কম তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই দিনার করে (এক দিনার ২৭০ টাকা) জরিমানা আদায় করার নিয়ম করা হয়েছে। যার যতদিন হবে তাকে তত দিনই দুই দিনার করে জরিমানার অর্থ জমা দিয়ে বৈধ হতে হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের লক্ষাধিক অবৈধ বিদেশী শ্রমিক কুয়েতে অবস্থান করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশীর সংখ্যা কম করে হলেও ২০ হাজার হবে।

অবৈধ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিক জালাল উদ্দিন বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা আকামা লাগাতে ব্যর্থ তারাই অবৈধ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে অনেক সময় মামলা জটিলতার কারণে কোম্পানির মালিকরাই কর্মীদের আকামা নবায়ন করান না। পরপর দুই বার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও যারা বৈধতার সুযোগ না নেবেন, তাদের জন্য কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের শাস্তিমূলক ঘোষণার কথা বলা হয়েছেÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ কর্মীদের বৈধতার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এই সুযোগ প্রত্যেক বাংলাদেশীর নেয়া উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, এরপরও যারা সুযোগ নিতে পারবেন না তারা পরে পুলিশি অভিযানে ধরা পড়লে তাদের প্রথমে কুয়েতের কারাগারে নেয়া হবে। জেল জরিমানার পর তাদের দেশে ফেরত পাঠাবে সরকার। ওই কর্মী যাতে আর কোনো দিন কুয়েতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেখে দেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা প্রকাশিত ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ দিকে কুয়েতে যেসব শ্রমিক কোম্পানি অথবা মালিকের কাজ বাদ দিয়ে অন্য কোথাও লুকিয়ে কাজ করছেন তাদের পাকড়াও করতে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে সিটি ও ফাহিল এলাকায় বেশি অভিযান হচ্ছে। ধরপাকড় অভিযানে দিশেহারা হয়ে পড়ছে বৈধ-অবৈধ বাংলাদেশী কর্মীরা। এমনটি জানিয়েছেন সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশীরা।


আরো সংবাদ



premium cement