২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
জাতিসঙ্ঘে স্থায়ী প্রতিনিধি

সমুদ্র সম্পদে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব চায় বাংলাদেশ

সমুদ্র সম্পদে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব চায় বাংলাদেশ - ছবি : সংগৃহীত

জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনার পূর্ণ সুফল ঘরে তুলতে সমুদ্র সম্পদে, বিশেষ করে জাতীয় সমুদ্র সীমানার বাইরে এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

গতকাল আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ প্রণীত সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার খসড়া কর্মপরিকল্পনার ওপর আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং জাতিসঙ্ঘের সমুদ্র বিজ্ঞান দশককে এগিয়ে নিতে এ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার রূপকল্প-২০৪১ এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমরা দেশের সমুদ্র সম্পদের কার্যকর ব্যবহার ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বিনির্মাণে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার পর সমুদ্র অর্থনীতি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য অংশীজনদের সাথে গভীর সমুদ্র এলাকায় যৌথভাবে গবেষণা পরিচালনা করার বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।

গভীর সমুদ্র তলদেশে গবেষণা এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ গৃহীত উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর জোর দেন তিনি। এগুলো হলো, সক্ষমতা অর্জন ও কারিগরি ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা দেয়া, সবার অন্তর্ভুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতিটি স্তরে বহু-অংশীজনভিত্তিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত, সম্ভাব্য ও উদ্ভাবনী অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং সমুদ্র পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন রাখা। গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্ব দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ। এ ছাড়া কোরিয়ার সমুদ্র ও মৎস্য সম্পদমন্ত্রী, নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি এবং জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement