ভারতের সাথে রক্তের সম্পর্ক, চীনের সাথে অর্থনৈতিক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ০৮ আগস্ট ২০২০, ২৩:২৯
ভারত ও চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক তুলনা করা উচিত না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও অত্যন্ত মজবুত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা রক্তের সম্পর্ক সৃষ্টি করেছে।
অন্যদিকে চীনের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বন্ধন বেশ শক্তিশালী। বাংলাদেশ সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে থাকে।
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে শনিবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান ও পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
ড. মোমেন বলেন, সীমান্ত নিয়ে ভারত-চীন দ্বন্দ্বের প্রভাব বাংলাদেশের সাথে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর পড়বে না। বাংলাদেশ নিজের উন্নয়ন নিয়ে মগ্ন। ভারত ও চীন-দু’টি দেশই বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। সম্প্রতি চীন আমাদের দেশের আট হাজারেরও বেশি রফতানি পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। ভারতের কাছ থেকেও বাংলাদেশ আরো বেশি বাণিজ্যিক সুবিধা চায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করবে। আমাদের বিজয় মানে ভারতের বিজয়। আমাদের উন্নয়ন মানে ভারতের উন্নয়ন। দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক খুবই জোরালো। ক্রমবর্ধমান এই সম্পর্কে কেউ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত প্রধান দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো নিষ্পত্তি করে ফেলেছে। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়েও অগ্রগতি রয়েছে। বাদবাকি অনিষ্পন্ন ইস্যুগুলোরও নিষ্পত্তি হবে।
করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক বণ্টনে কোনো ধরনের বৈষম্য থাকা উচিত না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ও পাকিস্তান বিভিন্ন দেশের সাথে কোলাবরেশন করে প্রতিষেধকের ব্যাপারে কাজ করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অর্থ দেয়ার মাধ্যমে করোনা প্রতিষেধক আনার চেষ্টা করছে সরকার।
বাংলাদেশে চীনের তৈরি করোনাভাইরাস টিকার পরীক্ষা সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, এটা নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা কেবলমাত্র গবেষণার বিষয়। চীনা কোম্পানি টিকার পরীক্ষা নিয়ে আইসিডিডিআরবির সাথে কাজ করছে। বিশ্বের ২৮টি দেশে আইসিডিডিআরবি সক্রিয় রয়েছে।