বাংলাদেশ থেকে শীতকালীন শাকসবজি নিতে চায় কসোভো
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ মার্চ ২০২০, ১৮:১৮, আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২০, ১৮:২৯
কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে কিছু দেশ থেকে খাদ্য পণ্য আমদানি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশে খাদ্যে কোনো ঘাটতি হবে না। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে ভোজ্য তেল। যার সিংহভাগই আসে মালয়েশিা থেকে। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতকালে দুদেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ এবং ডেইরি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া কৃষির উপর পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বাংলাদেশ থেকে শীতকালীন শাকসবজি আমদানির আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি যুদ্ধের সময় কসোভোর ধ্বংসপ্রাপ্ত পোল্ট্রি এবং ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একসময় কৃষি খাত কম উৎপাদনশীল ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষি খাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশের এসব অভিজ্ঞতাকে কসোভো কাজে লাগাতে পারে। সেক্ষেত্রে দু’দেশের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, সফল কৃষক ও ভাল উৎপাদনকারীকে সিআইপির মত এআইপি পুরস্কার প্রদানের প্রস্তাব কেবিনেটে অনুমোদিত হয়েছে। এআইপি অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা সিআইপির মত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। অ্যাওয়ার্ডের জন্য খুব শিগগিরই সফল কৃষক ও ভাল উৎপাদনকারীদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা