১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রবাসীদের ৪ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মালয়েশিয়া!

প্রবাসীদের ৪ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মালয়েশিয়া! - ছবি : সংগৃহীত

বৈধতা দেয়ার নামে মালয়েশিয়ায় ছয় লাখেরও বেশি অভিবাসী বা প্রবাসীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। রি-হায়ারিংয়ের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে দেশটির নেয়া মোটা অঙ্কের টাকা উদ্ধারে আন্দোলন শুরু করেছে মালয়েশিয়ার মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিল।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির কিনিতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়ার তৎকালীন সরকার রি-হায়ারিং প্রোগ্রামের নামে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বিলিয়ন রিংগিত তথা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা তিনটি ভেন্ডর কোম্পানি হাতিয়ে নিলেও অবৈধ কর্মীদের বৈধতা দিতে পারেনি তারা। উল্টো কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত তিনটি (ভেন্ডর) সংস্থার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ প্রতিবেদন দায়ের করেছে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গারের মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, অনিবন্ধিত অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি করতে ব্যর্থ হয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

সেলাঙ্গারের মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিল অবৈধ কর্মীদের টাকা পুনরুদ্ধারে ওই তিনটি ভেন্ডরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিলের সদস্য আবদুল আজিজ ইসমাইল, পুলিশি তদন্তপূর্বক অবৈধ বিদেশী কর্মীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ উদ্ধারের আহ্বান জানান।

এ দিকে গত (১৭ ডিসেম্বর) ফ্রি-মালয়েশিয়া টুডে নামে দেশটির একটি বেসরকারি সংস্থার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, বৈধতা না পাওয়া অভিবাসীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।

২০১৬ সালে ‘রিহায়ারিং প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় মালয়েশিয়া সরকার। প্রকল্পটি শেষ হয় ২০১৮ সালে। তিনটি ভেন্ডরের মাধ্যমে প্রকল্পটি পরিচালনা করে দেশটির কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। তারা অভিবাসীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৬ হাজার রিংগিত (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার) জমা নেয়।

ওই প্রকল্পে সাত লাখ ৪৪ হাজার অভিবাসীর কাছ থেকে টাকা জমা নেয়া হলেও ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হয়েছে মাত্র এক লাখ ১০ হাজার অভিবাসীকে। মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাকি ছয় লাখ ৩৪ হাজার অভিবাসীকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হয়নি। এমনকি পরবর্তীতে তাদের টাকাও ফেরত না দিয়ে গত বছর অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

বেসরকারি ওই সংস্থার পরিচালক জোসেফ পল মালাইমফ বলেন, টাকা দিয়েও এসব অভিবাসী বৈধতা পাওয়া তো দূরের কথা, তারা পাসপোর্টও হারিয়েছেন। টাকা আর পাসপোর্ট দুটোই ভেন্ডররা হজম করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকার কোনো দায় নিতে চায় না। অন্য দিকে ভেন্ডররা দায় চাপিয়ে দিচ্ছে সরকারের ওপর।


আরো সংবাদ



premium cement
প্রশাসন ও আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার : গণঅধিকার পরিষদ দুই কুলই হারালেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম একদিন পর জবিতে উদযাপন হবে নববর্ষ, বন্ধ থাকবে ক্লাস-পরীক্ষা ইসরাইলে হামলার পর ইরানের পরমাণু স্থাপনা ‘সাময়িক’ বন্ধ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে! স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাবেক স্বামীর মামলা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গবেষণা আরো বাড়ানো হবে : কৃষিমন্ত্রী রেকর্ড ৪০.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা জামালপুরে ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশু নিহত সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষের অনুষ্ঠান, যা বলল ডিএমপি আড়াইহাজারে ব্যাটারি কারখানায় আগুন

সকল