২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

খেলা দেখার পাশাপাশি হাসিনা-মমতার সাক্ষাতে যা আলোচনা হতে পারে

কাল তিন বার দেখা হবে হাসিনা-মমতার - ফাইল ছবি

তিলোত্তমা এখন গোলাপি শহর। কাল থেকে কলকাতার ইডেনে শুরু হচ্ছে দিন-রাতের ‘পিঙ্ক টেস্ট’। ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ইডেনে কাল চাঁদের হাট বসবে। উপস্থিত থাকবেন বিশ্বনাথন আনন্দ, লিয়েন্ডার পেজ, সানিয়া মির্জাসহ ২০০০ সালে ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচ টিমের প্লেয়াররা এবং আরো অনেকে। একইসাথে ইডেনে গোলাপি টেস্ট দেখতে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। কাল ইডেনে একসাথে বসে পিঙ্ক টেস্ট দেখবেন হাসিনা-মমতা। একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে শেখ হাসিনা তাকে ফোন করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারতের সংবাদ মাধ্যম জি নিউজের বাংলা ভার্সনে এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কাল ইডেনে খেলা। আমি থাকব। হাসিনা থাকবেন। আমাকে আজকে হাসিনা ফোন করেছিলেন।’ মুখ্যমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, শুধু ইডেনে বসে একসাথে খেলা দেখা নয়, আগামীকাল মোট তিন বার হাসিনার সাথে দেখা হবে তার। ইডেনে খেলা দেখা ছাড়াও কাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একটি কূটনৈতিক বৈঠকও করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় তাজ বেঙ্গলে বৈঠক রয়েছে। মমতার সাথে হাসিনার এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক দিক থেকে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

উল্লেখ্য, এর আগে শেখ হাসিনা যখন দিল্লিতে এসেছিলেন তখন ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কথা হয়েছিল তার। সেইসময় তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি নিয়ে কথা হয় দুজনে। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ তিস্তার পানি পাওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়টি অমীমাংসিত হয়ে রয়েছে। আর তা নিয়ে দেশে বেশ চাপের মধ্যেই আছেন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলেন, তখন তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তিস্তার পানি দেয়া হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা বাস্তবায়িত হয়নি।

এক্ষেত্রে প্রধান কারণ মমতার আপত্তি। তিস্তার পানি বাংলাদেশকে দেয়ার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বারই আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। এরফলে উত্তরবঙ্গে পানির সমস্যা হয়ে যাবে বলে বার বার সরব হয়েছেন তিনি। ফলে বিষয়টি এখনো ঝুলে রয়েছে। আগামীকালের বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, আরো যে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তার একটি হল এনআরসি ইস্যু ও অন্যটি সীমান্ত সমস্যা। দিল্লিতে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশে কাউকে পাঠানো হবে না। ইতিমধ্যে গতকালই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সারা দেশে এনআরসি লাগু হবে বলে ঘোষণা করেছেন। তাই এনআরসি ইস্যুতে কথা হতে পারে মমতার সাথে।

পাশাপাশি, সীমান্ত সমস্যা। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভারতীয় মৎস্যজীবীদের আটক করে নিয়ে যায় বিজিবি। তাদের উদ্ধারে গিয়ে বিজিবির সাথে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় এক বিএসএফ জওয়ানের। একজন মৎস্যজীবী এখনো বিজিবির হাতে আটক। বৈঠকে উঠতে পারে সেই প্রসঙ্গও। এছাড়া রাজ্যের জেলে বেশ কিছু বাংলাদেশি রয়ে গেছে। তাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়েও কথা হতে পারে।

সূত্র : জি নিউজ

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement