২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভূ-কৌশলগত বিরোধ নয় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভূ-কৌশলগত বিরোধ নয় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী - ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ভূ-কৌশলগত বা রাজনৈতিক বিরোধ নয়, আঞ্চলিক শান্তি ও অগ্রগতির জন্য সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা চায়। তিনি বলেন, স্থিতিশীলতার জন্য আমাদের টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে। সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে পারষ্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করে এমন যে কোনো বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক উদ্যোগে যোগ দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগের সমাপনী অধিবেশনে তিনি এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) যৌথভাবে এই ডায়ালগের আয়োজন করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়া মুক্তি বাণিজ্য অঞ্চল চুক্তির (সাফটা) আওতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পণ্য ও সেবা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান অল্প সময়ের মধ্যেই অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হবে। এশিয়া-প্যাসেফিক বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের আওতায় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা পরবর্তী ধাপে উন্নীত হচ্ছে। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডোর উৎপাদন, বিতরন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। বেল্ট এন্ড রোড (বিআরআই) উদ্যোগের মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপকে স্থল ও সমুদ্রপথে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। অবকাঠামো উন্নয়নকে মূল মন্ত্র করে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে।

তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে এককভাবে কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। পারষ্পরিক শক্তি ও সক্ষমতা থেকে লাভবান হতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কানেক্টিভিটি প্রয়োজন। আর কানেক্টিভিটির জন্য প্রয়োজন পার্টনারশীপ (অংশীদারিত্ব)। সবার সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এ পার্টনারশিপকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগের মধ্য দিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের গুরুত্ব সম্পর্কে সবাই জানতে পেরেছে। এটা খুবই ইতিবাচক একটি উদ্যোগ।

এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সব কিছু ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে হয় না। ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আমাদের নিজস্ব কনসেপ্ট (ধারণা) আছে, চীনের নিজস্ব কনসেপ্ট আছে, আসিয়ানের নিজস্ব কনসেপ্ট আছে। এর মধ্য দিয়েই আমাদের একে অপরের সহযোগিতা বাড়াতে হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement