সরকারের কাছে রোহিঙ্গা সমাবেশের আগাম খবর ছিল না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৬ আগস্ট ২০১৯, ২১:২৫, আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০১৯, ২১:৫৫
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ সম্পর্কে সরকারের কাছে আগাম তথ্য ছিল না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন বলেছেন, বস্তুত টেলিভিশন থেকেই প্রথম এই তথ্য পেলাম। আমাদের জানানো হয়েছিল রোহিঙ্গারা দিবসটি উপলক্ষে দোয়া করবে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিরাট সমাবেশ হয়েছে। এতে অনেক দাবি-দাওয়াও এসেছে। ইস্যুটা কিভাবে মোকাবেলা করা যায় তা আমরা নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করব।
সোমবার জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রোববার উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন মাঠে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে বিশাল সমাবেশ করে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীরা। এতে রোহিঙ্গাদের নাগরিত্ব ফিরিয়ে দেয়াসহ মিয়ানমারের কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার মূল কারণ মিয়ানমার। প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে রাখাইনে কি কি কাজ করা হয়েছে তা রোহিঙ্গাদের বোঝাতে সক্ষম হয়নি প্রতিবেশী দেশটি। মিয়ানমারের বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারেনি। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার দায়িত্ব মিয়ানমারের।
ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের আন্দোলন ঠেকানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ড. মোমেন বলেন, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইতোমধ্যে সাথে এ ব্যাপারে আলাপ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রোববার বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়ার দুই বছর পূর্তি হয়েছে। ২০১৭ সালের এই দিনে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা বিপুল সংখ্যায় বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। এরপর খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে সাত লাখের বেশী রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়।