আন্তরিক বর্ণনা
- ১৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
তরুণ লেখিকা, আমাদের ছোট বোন এবং আদর্শ মেঘনা সামাজিক সংগঠনের সভানেত্রী নাসরিন সুলতানা রচিত তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘অসমাপ্ত ভলোবাসা’ হাতে পেয়ে আজ সন্ধ্যায় পড়ে শেষ করলাম। কথাসাহিত্যিক নাসরিনকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ এ চমৎকার উপন্যাসটি লিখে আমাকে উপহার দেয়ার জন্য। উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে স্নেহা। তাকে আবর্তন করেই সে নিজের জীবনের উপাখ্যান নিজেই বর্ণনা করেছেন এ উপন্যাসে। স্নেহা- সঞ্জিবের ভালোবাসাকে মূল স্রোতে রেখে শাখা উপশাখায় আবর্তিত হয়েছে ‘অসমাপ্ত ভালোবাসা।’ এ স্রোতধারায় সংযুক্ত হয়েছে শিহাব, সৈকত, বেলা, সৌমিতা ইত্যাদি চরিত্র। উপন্যাসের নায়িকা স্নেহার চরিত্রটি আবহমান বাংলার চিরায়ত নারীদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে সঞ্জিবের চরিত্রটা উপন্যাসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠকের কাছে কল্পনার জগতে বিচরণ করেছে। ফলে নায়ক হিসেবে সঞ্জিবে থেকে বাংলাদেশে চলে আসা এবং একসাথে পথ চলার প্রস্তাব রাখে উপন্যাসটিকে ক্লাইম্যাক্সে নিয়ে গেছে। সৈকতের সাথে স্নেহার বিবাহ এবং দীর্ঘদিন স্বামীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা, পাঠক হিসেবে আমাকে কষ্ট দিয়েছে। স্নেহা চরিত্রটি উজ্জ্বলতা পেয়েছে সৌমিতার মা হয়ে ওঠার মাধ্যমে। উপন্যাসটির গতি, ধারাবাহিকতা, উপস্থাপনা এবং লেখকের আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সার্বিকভাবে নাসরিনের অসমাপ্ত ভালোবাসা একটি সার্থক উপন্যাস। শুরুটা সুন্দর হয়েছে। ভবিষ্যতে এ জাতীয় আরো সৃজনশীল লেখার প্রত্যাশায় রাখলাম।
মো. মোসলেম উদ্দিন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা