২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কবিতা

-

কয়েকটি দেশ একত্রে যাদের শীতকাল ও তুষারপাত অনেকটা মৃত্যুর প্রতীক এবং গ্রীষ্মকাল হলো জীবনের উচ্ছলতার প্রতীক, সে দেশগুলোকেই বলা হয় স্ক্যান্ডিনেভিয়া। মূলত সুইডেন, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। কখনো ফিনল্যান্ডকেও অন্তর্র্ভুক্ত করা হয়। এরা নরডিক জাতিগোষ্ঠী। এই গোত্রের প্রধান ভাষা হলো সুইডিশ যা উত্তর-জার্মানীয় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত। সাহিত্যে সুইডেন সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাাতিকভাবে নোবেল পুরস্কার অর্জনে আলোচিত। পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেল জন্মেছিলেন সুইডেনে। সুইডেনে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন- সেলমা ল্যাগারল্যেফ ১৯০৯ সালে, ভেরমার ভন হাউডেনস্টার্ম ১৯১৬ সালে, ১৯৩১ সালে পেয়েছেন এরিখ এক্সেল কার্লফেল্ট, ১৯৫১ সালে পেয়েছেন পার ল্যগারর্কভিস্ট, ১৯৬৬ সালে পেয়েছেন নেলি সাচ্স, ১৯৭৪ সালে আইভিল্ট জনসন ও হারি মারটিনসন এবং ২০ সালে পেয়েছেন টোমাস ট্রেন্সট্রমার।
প্রাচীন নর্স কবিতা
নর্স কবিতার ফর্মটি আট শতক থেকে তেরো শতক পর্যন্ত প্রতীয়মান ছিল। বেশির ভাগ প্রাচীন নর্স কবিতা পাথরে লিখিত অবস্থায় আছে, যা আইসল্যান্ড সংরক্ষিত। তবে সুইডেন-এ একশত বাইশ এবং চুয়ান্নটি নরওয়ে এবং বারোটি ডেনমার্কে সংরক্ষিত আছে। ভাইকিংদের সামাজিক ও ধর্মীয় জগতে এ ধরনের কবিতার বিশেষ ভূমিকা ছিল। নর্স পোয়েটিক কাহিনীতে প্রাচীন ফর্মের পঞ্চাশ হাজার শব্দ রয়েছে। প্রাচীন নর্স কবিতার বৈশিষ্ট্য হলো কোনো কিছুকে চিহ্নিতকরণ (যা মূলত দেবতাদের গল্প থেকে নেয়া)। প্রাচীন নর্স কবিতাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। এডাইক কবিতা ও স্কালডিক কবিতা। এডাইক কবিতা- প্রচলিত গল্প কেন্দ্রিক কবিতা ও অন্যান্য অনুরূপ কবিতা। আর স্কালভিক কবিতার ধরন বা বৈশিষ্ট্য হলো; যা ইতোমধ্যে উল্লেখ করা হয়নি সেই বিষয়ভিত্তিক। প্রাচীন নর্স কবিতার অনেক ছন্দময় রূপ রয়েছে।
পুরনো নর্স মূলত বেনামী কবিতাগুলোর শিরোনামহীন সঙ্কলন যা আইসল্যান্ডিয় মধ্যযুগীয় পাণ্ডুলিপি বা কোভেক্স রেগিয়াস নামে পরিচিত। জার্মানিক বীরত্বপূর্ণ কিংবদন্তিগুলোই এই কবিতার উৎস। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে এটি পরবর্তী স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সাহিত্যে শক্তিশালী প্রভাব ফেলেছিল।
স্কালভিক কবিতা- আইসল্যান্ডিয় ভাষায় ‘স্কাল্ড’ শব্দের অর্থ কবি। এই কবিতার মধ্যে রয়েছে পৌরাণিক বিবরণ। যুদ্ধের বিবরণ, আদালতের পৃষ্ঠপোষকের কাজ এবং ব্যক্তিগত বিবৃতি। এডিক কবিতায় প্রচুর সংখ্যক সংলাপ থাকে, কদাচিৎ যুদ্ধের বিবরণ দেয়া হয়।
ড্যানিশ কবিতা
ড্যানিশ প্রাচীন কবিতা মানে স্মারক পাথর ও অন্যান্য বস্তুর ওপর রেনিক শিলালিপি
যার মধ্যে কিছু ছোট কবিতা রয়েছে। ষোল শতকে লুথেরান সংস্কার ডেনমার্ক ও জাতীয় সাহিত্যে-নতুন সময়ের সংযোজন ঘটায়। সে সময়ের ক্রিস্টিয়ার্ন পেডারসন (১৪৮০-১৫৫৪) তিনি নিউ টেস্টামেন্ট অনুবাদ করেন। থমাস কিঙ্গো (১৬৩৪-১৭০৩) কিছু স্তব বা প্রার্থনা সঙ্গীত রচনা করেন। সতেরো শতকের শুরু দিকে কিছু পরিশুদ্ধ কবিতা রচনা করেন অর্ন্ডাস র্অ্যাবো (১৫৮৭-১৬৩৭)। ড্যানিশ কবিতার স্বর্ণযুগ ধরা হয় ১৮০০ থেকে ১৮৫০ সাল পর্যন্ত। উনিশ শতকের লেখকদের মধ্যে কাসোফুস খ্রিষ্টান শেনর্ডফ (১৮৩৬-১৯০১) তিনিও মার্ডন ব্রেক থ্রুর একজন সদস্য ছিলেন। ১৮৬২ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন, যা রোমান্টিকশৈলীতে লেখা। এই গ্রন্থটিই তার প্রতিভার চূড়ান্ত ইঙ্গিত দেয়। হোলগা হেনফেট হেয়াথেটে থাকম্যান (১৮৪৬-১৯০৮) ড্যানিশ কবি হয়েও একজন সফল নাট্যকার ও চিত্রশিল্পী ছিলেন। তিনি স্কাগেন শৈল্পিক উপনিবেশের সদস্য ছিলেন এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান মর্ডান ব্রেক থ্রু মুভমেন্টের একজন ব্যক্তিত্ব হয়েছিলেন। আধুনিক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ড্যানিশ কবি। আধুনিক বিদ্রোহী মনোভাব, নারী ও ইতিহাসের একটি সত্যিই রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গিকে একত্রিত করেছিলেন। জেন পিটা ইয়াকভসন (১৮৪৭-১৮৮৫) একজন কবি ও উপন্যাসিক। ড্যানিশ সাহিত্যে প্রকৃতিবাদী আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তার কবিতা অতি রোমান্টিকতায় পূর্ণ তার অসাধারণ কবিতা ‘আরবেস্কু’ তাকে অমরত্ব এনে দেয়। তবে তিনি ডেনিশ প্রতীকী কবিতাকে অনুপ্রাণিত করে ছিলেন। ল অ্যাডর্ফ গেলেহোপ (১৮৫৭-১৯১৯) তাদের পূর্বপুরুষদের কবিতা ও ধর্মের প্রতি উৎসাহ জাগিয়ে ছিল মানুষের যখন নাটক নিয়ে মঞ্চের দিকে দৃষ্টি তখন তিনি রোমান্টিক ট্র্যাজেডি কবিতা দিয়ে সবার দৃষ্টি কেড়ে ছিলেন। তিনি ১৯১৭ সালে সাহিত্যে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। জেপে ওকেয়া (১৮৬৬-১৯৩০) ড্যানিশ সাহিত্যে ‘জুটল্যান্ড আন্দোলন’-এর একজন সদস্য ছিলেন। তার কবিতায় দারিদ্র্যের চিত্র ও গ্রামীণ অস্তিত্বের সম্পর্ক ছিল। ১৯০৫ সালে তার কবিতা ‘রুজেন্স সং’ বা রাই-এর গান এবং হিমডালের গান প্রশংসিত হয়। বেনি অ্যান্ডারসন (১৯২৯-২০১৮) কবি, গীতিকার, সুরকার ও পিয়ানোবাদক ছিলেন। ড্যানিশ সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় তার গান জনপ্রিয় সঙ্গীত বিভাগে অন্তর্ভুক্তি পায় তার ‘সামলেডি দিগতে’ বা সংগৃহীত কবিতা এক লক্ষ্যেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। পিয়া ট্যাফড্রাপ (জন্ম ১৯৫২) ১৯৮১ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের সাথে সাথেই পাঠকের সুনজরে পড়েন। পরবর্তী দশ বছরে তরুণ কবি হিসেবে প্রথম সারিতে চলে আসেন। তিনি মনে করেন, ‘কবিতা কেবল শব্দ, ছন্দ, ধ্বনির সমাহার নয়, কবিতার শরীর থাকা চাই’।
নরওয়ের কবিতা
চৌদ্দ শতক থেকে উনিশ শতক সময়কালকে নরওয়ের সাহিত্যে অন্ধকার যুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে জাতীয়তাবাদের আবির্ভাব ও স্বাধীনতার সংগ্রামের সাথে সাথে জাতীয় সাহিত্যে নতুন সময় আবির্ভূত হয়। আবার সেখানে পশ্চিমা বা ইউরোপীয় সাহিত্যের প্রভাব এসে পড়ে। বিশ শতকে নরওয়ের লেখকদের মধ্যে সাহিত্য তিনজন নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
ওরসমুন ওলিভসন ভিননিয়া (১৮১৮-১৮৭০) নরওয়ের কবি এবং সাংবাদিক হয়েও ভ্রমণকাহিনীর জন্যও স্মরণীয়। তিনি প্রথম ঘুহড়ৎংশ ব্যবহার করেন। এখনো তার কবিতা নরওয়েতে বেঁচে আছে সঙ্গীত হিসেবে, বিশেষভাবে ঠবফ জঁহফধসবড়ৎফ ও ঠধৎবহ (শেষ বসন্ত)। বিয়োর্মস্কারমা মুরটেনিয়াস বিওনসুন (১৮৩২-১৯১০) ১৯০৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন ‘তার অসাধারণ কবিতা প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে’। তিনি নরওয়ের জনজীবন এক স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সাংস্কৃতিক বিতর্কে একজন প্রবক্তা ছিলেন। নরওয়ের সাহিত্যাঙ্গনে ‘ঞযব ঋড়ঁৎ এৎবধঃং’ -এর একজন ছিলেন। সিগ্বিউন যুব্সফেলডে (১৮৬৬-১৯০০) নরওয়ের আধুনিকবাদী কবি। প্রাচীন প্রথা ভেঙে বা নরওয়েজিয়ান কবিতার অনমনীয় কাঠামো থেকে বিদায় নেয়ার জন্য নিজস্ব মুক্ত শ্লোক সৃষ্টি করেছিলেন। তার কবিতায় প্রায়ই উদ্বেগ একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্নতার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক প্রবণতা লক্ষণীয়। ওলাফ ইয়াকব মার্টিন লিফতে ব্রেয়াদা বুঁয় (১৮৮৩-১৯৩৩)। কবিতার জন্য ছয়বার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। ১৯০৯ সালে তার কাব্য সঙ্কলন ‘কবিতা’র ভিত্তি তাকে নরওয়েজিয়ান প্রধানতম কবি হিসেবে স্বীকৃতি এনে দেয়। নরওয়েজিয়ান সেনট্রালিক (কেন্দ্রীয় লিরিক) ব্যবহার করেন। তার মূল বিষয় ছিল দুঃখ ও মৃত্যুর কবিতা। তিনি স্থির স্তবক প্যাটার্ন ব্যবহার করেছেন এবং শক্তিশালী এক আবেগপূর্ণ চিত্রের জন্য পরিচিত লাভ করেন। তার কবিতাশক্তি ও নিজের ব্যক্তিত্বের জোরালো প্রকাশ রয়েছে সর্বত্র। তার কবিতা গভীরভাবে অনুভূত কম্পনপ্রবণ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক গুণে সমৃদ্ধ। ওসনে ভ্যো (১৮৮৯-১৯৬৫) একজন কবি ও নাট্যকার- তার কবিতার মধ্যে স্থানীয় ঐতিহ্য এক আন্তর্জাতিক প্রভাবের মিশ্রণ ঘটেছে। স্বামীর সাথে বিদেশে থাকার সময় তিনি পেরিসে আর্ট এবং বার্লিনে পরীক্ষামূলক থিয়েটার নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৩৪ সালে ঘড়ৎফ ও ষবরঃব নামক কাব্য সঙ্কলন তার সাহিত্যিক জীবনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওলে পিয়ার্ত আরনুফ ওভেলাম (১৮৮৯-১৯৬৮) তার কবিতা দ্বিতীয় যুদ্ধের সময় জার্মান দখলদারিত্বের প্রতিরোধ আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ১৯১১ সালে তার প্রথম কবিতা সঙ্কলন প্রকাশিত হয়। তারেয়াই লিয়াসোস (১৮৯৭-১৯৭০) তিনি ব্যাপকভাবে কবি ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে বিবেচিত। সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই শক্তিমান কবি। অস্ত্রিত তোলেপসন (১৮৯৭-১৯৭৩) তার কবি প্রতীভার বিকাশ এবং বিস্তার ঘটে প্রথম কাব্যগ্রন্থ চড়ৎঃৎবঃঃ ও ংঢ়বরষ (১৯৪৭) এর কারণে। ওলাভ হাকমসুন হেয়্গে (১৯০৮-১৯৯৪) তার প্রথম কবিতার বই ঐতিহাসিক ফর্মে প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে। তিনি পরবর্তীতে আধুনিক কবিতা ও বিশেষ করে মূর্ত কবিতা- লিখে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তোলেন। অস্ত্রিত ইয়াতেনয়েস অ্যান্ডারসন (১৯১৯-১৯৮৫) ১৯৫০ এর দিকে তার কবিতা নরওয়ের যুদ্ধ-পরবর্তীতে আধুনিকবাদী প্রতীকবাদের সাথে সুস্পষ্ট সংযোগ স্থাপন করে। তার নিজস্ব রচনাশৈলী তিনি তৈরি করতে পেরেছিলেন। ইয়ান এরিক ভোঁও (জন্ম ১৯৩৯) নরওয়ের গীতিকবি তৎকালীন সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রোফাইল প্রজন্ম’-এর সাথে যুক্ত ছিলেন। তার কবিতায় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সাধারণ জনতার কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন। নরওয়ের কবিতার নবায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে তিনি স্টকহোম-এ বসবাস করছেন। থ্যুল উলভেন (১৯৫৩-১৯২৫) যুদ্ধোত্তর যুগে নরওয়ের প্রধান কবিদের একজন হিসেবে বিবেচিত। তার কবিতা ঐত্যিবাহী আধুনিকতার মিশ্রণ তবে তিনি ফরাসি পরাবাস্তববাদ আন্দোলনের প্রভাবিত। গত শতকের আট দশকে তিনি শৈলিগত এবং বিয়োগতভাবে স্বাধীন কণ্ঠস্বর তৈরি করেছিলেন। অন্যান্য নরওয়েজিন কবিদের মধ্যে রয়েছে, হানস বারলি (১৯১৮-১৯৪৯) হাররা যুরলিক স্মাইরদ্রুপ (১৯২৩-১৯৯২) মারিয়ে রগলিনথাকবাম (১৯২৬-২০০৮) ইয়ার্ল আন-দ্রেবিয়ারক্যে (১৯১৮-১৯৮৫) প্রমুখ।
সুইডিশ কবিতা
সাহিত্যে সর্বাধিক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে সুইডেন। সুইডিশ ইতিহাসে ১৬৩০ থেকে ১৭১৮ পর্যন্ত সময়কাল সুইডিশ সাম্রাজ্য নামে পরিচিত এবং এই সময়কেই ঐতিহ্যের সূচনা বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় রেনেসাঁস সাহিত্য সে সময়েই রচিত হয়েছিল। তবে সুইডিশ সাহিত্যেও সূচনাকাল ধরা হয় ওলায়েসু পেত্রি ও লোরেন্টিস পেত্রি ভ্রাতৃদ্বয়ের সুইডিশ ভাষায় অনুদিত ওল্ড টেস্টমেন্ট থেকে। তবে সুইডিশ কাব্যেন সূচনা কাল ধরাহয় জর্জ স্টাইমহেলম (১৫৯৮-১৬৭২) ও অন্যান্য সতের শতকের কবিদেও সময় থেকে। ১৬৫৮ সালে জর্জ স্টাইমহেল্ম সুইডিশ ভাষায় প্রথম ষড়মাত্রিক কবিতা হারকুলাস প্রকাশ করেন। ক্রমান্বয়ে সুইডেন একটি মহান শক্তি হয়ে ওঠে, একটি শক্তিশালী মধ্যবিত্ত সংস্কৃতির উদ্ভব হয়। এই যুগে তৎকালীন নেতৃস্থানীয় দেশগুলো, যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, হল্যান্ড ও ইতালি সাহিত্যের প্রভাব পড়ে। লক্ষণীয় যে সুইডেনের প্রথম কবি জর্জ স্টাইমহেল্ম খ্রিষ্টীয় শিক্ষার চেয়ে প্রাচীন দর্শনের সাথে বেশি পরিচিত ছিলেন। সে সময় গথিসিজমাস নামে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের শক্তি অর্জন করেছিল। সুইডিশ সাম্রাজ্য আমলে, এটি একটি সাহিত্যিক দৃষ্টান্তে বিকশিত হয়েছিল।
[বাকি অংশ আগামী সংখ্যায়]


আরো সংবাদ



premium cement