২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বসাহিত্যের টুকিটাকি : এলা কিংয়ের প্রথম উপন্যাস

এলা কিংয়ের প্রথম উপন্যাস -

এলা কিংয়ের ডেব্যু উপন্যাস ব্যাড ফ্রুুট নানা কারণে সমালোচকদের দৃষ্টি কেড়েছে। এর প্রধান চরিত্র লিলি। তার বাড়িতে খুব ভুল কিছু আছে বা হচ্ছে এ ধারণা নিয়ে উপন্যাসটি শুরু হয়। সেখানে তার বাবা-মায়ের মধ্যে চিৎকার, মারামারি ও অপ্রীতিকর ঘটনা রয়েছে, যা তাকে আহত করে। এক দিন লিলি তার মেকআপ খোলার আগে তার বিশেষ ধরনের চশমা, কনটাক্ট লেন্স খুলে ফেলার পর আয়নায় নিজেকে দেখে অবাক হয়। নিজেকে মনে হয় তার চেহারার চীনা ভার্সন। সে সিঙ্গাপুরি মায়ের শ্বেতাঙ্গ কন্যা হিসেবে আবিষ্কার করে। তার মা-ও চেয়েছে মেয়ে তার মতো হোক। ১৭ বছরের লিলি স্কলারশিপ পেয়ে অক্সফোর্ডের কাছে সাউথ লন্ডনের একটি স্কুলে পড়তে গেছে। সে তার বাবা-মায়ের সাথেই ছিল, কিন্তু একপর্যায়ে মায়ের সাথে রাগ করে ঘর ছাড়ে। এখন তার মাকে মনে পড়ছে, সিঙ্গাপুরে ছোটবেলার দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে। তার মনে পরিবর্তন আসে, সে নিজেকে একজন বাজে মেয়ে হিসেবে চিন্তা করে দুঃখ পায়। সে ভাবতে শেখে এখানে কিছু পচা জিনিস আছে যা তাকে নষ্ট হতে সহায়তা করেছে। মায়ের সাথে তার সম্পর্কটি একদিকে ডিসটার্বিং, অন্যদিকে তাকে স্মৃতিকাতর করে। সে ভাবতে থাকে মা মেয়ের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত। কিন্তু এখন লিলির এমন স্মৃতি রয়েছে যা সে বিশ্বাস করে যে তার মায়ের ছিল। সেই স্মৃতি যা তার মা তাকে সিঙ্গাপুরে তার শৈশব সম্পর্কে বলেছিল সে সম্পর্কে সন্দেহ জাগিয়েছে। উপন্যাসটি একযোগে বিরক্তিকর, মর্মান্তিক ও স্মরণীয়- এক কন্যা ও তার মায়ের মধ্যে অত্যন্ত অন্ধকার সম্পর্কের অন্বেষণ। লেখক ক্যারল জনস্টোনও দ্য ব্ল্যাক হাউজ উপন্যাসে অবিশ্বস্ত শৈশব স্মৃতির ভঙ্গুরতা এবং বিপদগুলো অন্বেষণ করেছেন, যেখানে ম্যাগি তার মায়ের মৃত্যুর পর প্রত্যন্ত গ্রামে ফিরে আসে। জনস্টোন বাস্তবতা ও অতিপ্রাকৃত সম্পর্কে পাঠকের উপলব্ধি নিয়ে কাজ করেছেন। এলা কিংয়ের উপন্যাসেও জনস্টোনের কাজের সাথে কিছু মিল আছে। এভাবে কাহিনী এগিয়ে যায়। এর ভাষা ও বর্ণনাভঙ্গি পাঠককে মোহিত করেছে। এলা কিং বর্ণিত কাহিনী মা-মেয়ের বিষাক্ত সম্পর্ককে সবার সামনে উপস্থাপন করেছে, যা নতুনত্বে ভরপুর। এলা লন্ডনে বড় হয়েছেন, ফিলোসফি ও থিয়োলজি নিয়ে তিনি অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ে পড়েছেন। তিনি ফেবার একাডেমির ‘রাইটিংয়ে নভেল’ কোর্স করে লেখালেখির দিকে আকৃষ্ট হন। ২০১৯ সালে ‘অরোরা প্রাইজ ফর শর্ট ফিকশন’ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার ও একই বছর ‘ব্লু-পেন্সিল এজেন্সি পিস প্রাইজ’ লাভ করেন। তিনি করপোরেট ল’ইয়ার হিসেবে কাজ করেছেন এবং ‘এন্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ও ডমেস্টিক ভায়োলেন্স চ্যারিটি’র সাথেও যুক্ত আছেন। তার ‘ব্যাড ফ্রুট’ বইটি গার্ডিয়ানের আগস্ট মাসের ‘থ্রিলার অব দ্য মান্থ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েেেছ। ৩২০ পৃষ্ঠার এ বইটির প্রকাশক লন্ডনের প্রকাশনা সংস্থা হার্পার কলিন্স।


আরো সংবাদ



premium cement