বানভাসিদের করুণ আর্তনাদ
- শাহীন আরা আনওয়ারী
- ০১ জুলাই ২০২২, ০০:০০
“তিন দিন ধইরা দানাপানি
পেটে কিছু পড়ে নাই।
কেউ তেরান লইয়া আসুক।”
শিশু কোলে কোমর ভেজা পানিতে
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা
ক্ষুব্ধ বাতাসেরা তেড়ে আসে
বিবেকের কোষগুলোকে ধোলাই করে।
ওদের চোখের লোনা পানি মিশে
বন্যার জলতো আরো ঘোলাটে।
শুকনো হৃদয়, ভেজা শরীর।
শিশুরা কাঁপছে। ক্ষুধার জ্বালা।
কালো মেঘেরা গর্জে ওঠে বারবার।
প্রবল স্রোতের টানে ভেসে গেছে কত রহিমা।
ঘরবাড়ি পশুপাখি ফসল সবকিছু ।
কি অসীম নিঃস্ব আজ ওরা!
আমাদের হৃদয়গুলো ঢেলে দেয়ার এখনই সময়।
ষোল কোটি আমরা আরো তৎপর হই।
ওদের পাশে শক্তভাবে দাঁড়াতেই হবে।
নইলে পেট ভর্তি সাপ বিচ্ছু নিয়ে
হাশরে সবার সামনে উঠতে হবে।
সোনাদানা উত্তপ্ত করে করে
চোখেমুখে পিঠে দাগের যন্ত্রণা সইতে হবে।
হায় আল্লাহ! আমার শব্দেরা জর্জরিত।
কলম কাঁপছে। কি সীমাহীন কষ্ট ওদের!
হৃদয়ের রক্তক্ষরণে ক্লান্ত আমি
বিবেক ধূসরিত। ওদের বাঁচাতেই হবে।
ক্ষুধার জ্বালা খাবার পানি
মাথা গোঁজার ব্যবস্থায় আর দেরি নয়।
ষোল কোটি আমরা আবার মুখরিত হই সেবায়।
সরকারি-বেসরকারি সব মহল থেকে
দু-তিন দিনের বেতন ওদের কিংবা আরো বেশি
আরো কিছু ওই বানভাসিদের জন্যে দেই।
দেশে বিদেশে আমাদের যারা আছেন
তাদের সহযোগিতা এখন সময়ের প্রধান দাবি।
করোনার শিক্ষা ভুলি কেমনে?
হে রব- তুমি হতাশ হতে বারণ করেছো।
একপাশে রোহিঙ্গার ঢল
অন্যপাশ থেকে প্রবল স্রোতে ভাসানোর জল।
আমাদের ধৈর্য ধরে মোকাবেলার শক্তি দাও।
কলম মিডিয়া জাতিসঙ্ঘে আন্তর্জাতিক চাপ
প্রয়োগসহ যা কিছু প্রয়োজন।
যে যেভাবেই পারেন এক সাথে মিলেমিশে
কাজ করার এখনই সময়।
নইলে ঘটবে মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়।
সব রকম সাহায্য করো ওগো দয়াময়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা