১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বসাহিত্যের টুকিটাকি

আরব লেখক আল আউনের উপন্যাস
আরব লেখক আল আউনের উপন্যাস -

ঔপন্যাসিকরা পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে লিখতে ভালোবাসেন। ‘দ্য ইন্ডিয়ান টি প্যাসেজ’ (আরবি নাম : মামার আল-শাই আল-হিন্দি) নামক উপন্যাসে আরব ঔপন্যাসিক মোহামেদ আল-আউন মিসরের সমসাময়িক জীবন সম্পর্কে একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। উপন্যাসটির কাহিনী এমন নয় যা ঘটেছিল, বরং এটি এখনো ঘটে চলেছে। এটিই উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা যা আল-আউন নিয়ে এসেছেন। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রমিজ, শহরের কেন্দ্রস্থলে তার মা-বাবার সাথে অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন, যা কায়রোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইন্ডিয়ান টি প্যাসেজ নামক স্থানে অবস্থিত। তাই উপন্যাসের এই শিরোনাম। শহরের কেন্দ্রস্থলে বসবাস করার কারণে শহরের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত থাকা যায়। উপন্যাসে বেদনা ও যন্ত্রণার কথা থাকে, তবে এটি সে ধরনের উপন্যাস নয়। আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে, জীবনের পথ খুঁজে পেতে এবং নিজের প্রতিভার ওপর আস্থা রাখার ওপর নির্মিত। রমিজ ডায়েরি লিখতেন, পড়েছেন প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে। তবে তার জীবন সুখের হয়নি। বিয়ে করেছিলেন সে সংসার টেকেনি কারণ স্ত্রী ছিলেন একরোখা। মহিলা প্রথম প্রেমের মর্যাদা দিতে শেখে নি বলে বিয়েটি টেকেনি। দ্বিতীয় প্রেমের গল্পটি ছিল যখন রমিজ সাপ্তাহিক সেমিনারে যোগদানকারী কবিদের একজনের প্রেমে পড়েছিলেন। রমিজের জন্য এটি প্রথম দর্শনে প্রেম ছিল। শেষে মেয়েটি তাকে পছন্দ করে এবং বাগদান সম্পন্ন হয়। সে ছিল রমিজের অনুপ্রেরণা; তার ডায়েরিটিকে উপন্যাসে পরিণত করে, এটি ছিল সম্পূর্ণ নতুন ক্যারিয়ারের সূচনা। আল-আউন উপন্যাসে অনেক খুঁটিনাটি তুলে ধরতে সক্ষম হন। আরবি ভাষায় লেখা এ উপন্যাসে আরেকটি চরিত্র হলো মার্টিনা, একজন ইউরোপীয় মহিলা যিনি কয়েক বছর ধরে মিসরে বসবাস করছেন এবং তিনি রমিজের প্রতিবেশী। তরুণ লেখক এবং কবিদের একটি অংশ মার্টিনার সাথে দেখা করার জন্য পাগল থাকত। রমিজ এ ফাঁদ এড়িয়ে গেছেন। সমালোচকদের মতে উপন্যাসটি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নয় বরং এটি শহরের সামাজিক জীবনের একটি ডকুমেন্টেশন। বইটি প্রকাশিত হয়েছে দারফাদাত পাবলিশিং আম্মান, জর্দান থেকে।


আরো সংবাদ



premium cement