২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইউরোপে নজরুল চর্চা

ইউরোপে নজরুল চর্চা -

[গত সংখ্যার পর]

খ্যাতিমান লেখক শ্রীময়ী ভট্টাচার্য (SREEMOYEE BHATTACHARYA) কবি নজরুলকে নিয়ে দুই ঘণ্টার একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানিয়েছেন ২০১৪ সালে। ২০১৭ সালে এটির প্রথম প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই বছর তা কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। শ্রীময়ী ভট্টাচার্য বলেন, নজরুলের প্রতিটি দিককে স্পর্শ করবে এমন কোনও তথ্যচিত্র ছিল না। ১৯৬৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেলুলয়েড ‘নজরুল’ নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছিল, যা আর পাওয়া যায় না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে কাজ করার পর নজরুলের মতো বৈচিত্র্যময় ব্যক্তিত্বকে আরো ভালোভাবে জানার গুরুত্ব আমি উপলব্ধি করেছি। কবিতা, সঙ্গীত ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নজরুলের অবদান অকল্পনীয়। কাজী নজরুল ইসলামকে আমরা ‘বিদ্রোহী কবি’ বলে থাকি। আমার ডকুমেন্টারির মাধ্যমে আমি সঙ্গীতের দৃশ্যপটে তার অবদানকেও স্পর্শ করেছি। তিনি গান লিখতেন। থিয়েটার, চলচ্চিত্র এমনকি প্রশিক্ষিত শিল্পীদের জন্য সুর তৈরি করতেন। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে ‘হারমনি’ অনুষ্ঠানের জন্য তিনি পুরনো রাগগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন।
লন্ডনের সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ গুরুত্বের সাথে নজরুল চর্চা হয়। বাংলার বিদ্রোহী কবি : নজরুল ইসলাম (THE REBEL POET OF BENGAL: NAZRUL ISLAM) শিরোনামে অনেক তথ্যবহুল লেখা তাদের ওয়েবসাইটে রয়েছে। স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (SOAS) এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের অধ্যয়নের জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে MULOSIGE - Multilingual Locals and Significant Geographies নামে ইউরোপীয় রিসার্চ কাউন্সিলের অর্থায়নকৃত গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক ফ্রান্সেসকা ওরসিনি। MULOSIGE প্রকল্পে বিশ্ব সাহিত্যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অসংখ্য লেখা অন্বেষণ করে বহুভাষিক সমাজের সামনে উপস্থাপন করা হয়। কবি নজরুলের লেখা এতে বিশেষ ভাবে স্থান পেয়েছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিশ্বসাহিত্যের উপাদান বিবেচনায় সুলেখক মরিয়ম ইরাজ নজরুল সম্পর্কে উর্দু সাহিত্যের অনেক মূল্যবান লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন কবির কবিতা নিয়ে কাজ করে পয়েম হান্টার (POEM HUNTER). কবি নজরুলের অনেক কবিতা তারা ইংরেজিতে অনুবাদ করে পাঠকের হাতে তুলে দিয়েছে।
সুইডেনে কবি নজরুলকে নিয়ে অনুষ্ঠান ও লেখালেখি চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ (REMINISCENCES: BANGLADESH NATIONAL POET KAZI NAZRUL ISLAM) তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এশিয়ান ট্রিবিউন থেকে নিয়ে এইচটি ডিজিটাল কন্টেন্ট সার্ভিসেস এটা প্রকাশ করেছে। ইংরেজি সাহিত্যের কবি জর্জ গর্ডন লর্ড বায়রন ও আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম সম্পর্কে BYRON AND NAZRUL AS POET শিরোনামে ১৭ জুন ২০২১ তারিখে দৈনিক সান পত্রিকায় লেখাটি বেশ পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই লেখা ইউরোপের কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি অধ্যাপক এম মতিউর রহমান লেখাটি সম্পর্কে বলেন, আমি যে শিরোনামে লিখেছি, তা দুই কবির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণের একটি অংশ। সাধারণভাবে বলতে গেলে আমরা জানি, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের কবি এবং জর্জ গর্ডন লর্ড বায়রন ইংরেজি সাহিত্যের কবি। নিখুঁত বিশ্লেষণের জন্য কবি হিসেবে তাদের মধ্যে মিল এবং অমিলগুলো তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
ইউরোপিয়ান আমেরিকান জার্নালে (EUROPEAN - AMERICAN JOURNALS) কাজী নজরুল ইসলাম এবং তার বিদ্রোহী কবিতার উপর একটি গবেষণা রয়েছে। THE COMPULSIVE VOICE OF DECOLONIZATION: A STUDY ON KAZI NAZRUL ISLAM AND HIS REBELLIOUS POEMS শিরোনামে লেখাটি পাঠকমহলে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। লেখক তানজিন সুলতানার মতে, অন্য দেশ দ্বারা দখল ও নিয়ন্ত্রিত একটি দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা ও নিজস্ব সংস্কৃতি গড়ে তোলা সহজ নয়। আফ্রিকা এবং এশিয়ার ইউরোপীয় উপনিবেশগুলোকে মুক্ত করার সঙ্কল্প বিংশ শতাব্দীতে একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া। ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য ভারতীয় উপমহাদেশে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাম বেশ প্রাসঙ্গিক। তার কবিতা ও সাংবাদিকতার সবচেয়ে অসামান্য দিক হলো অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। তিনি জানেন ঔপনিবেশিকদের শোষণ বন্ধ করতে হলে সাম্রাজ্যবাদের শক্তিকে উৎখাত করতে হবে। নিপীড়িত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিদ্রোহী কবিতার মাধ্যমে তিনি পশ্চিমা উপনিবেশ থেকে নিজের ভূখণ্ড, সংস্কৃতি এবং মানুষের মন-স্বাধীন করতে চেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের DISABILITY ARTS ONLINE নজরুল সম্পর্কে লেখাসমূহ গুরুত্বের সাথে প্রচার করে। দেবযানী চ্যাটার্জি একজন কবি হিসেবে তার জীবন এবং কর্মজীবনে নজরুলের কবিতার প্রভাবের বিবরণ দিয়েছেন, যা দুটি মহাদেশের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। তার মতে, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বাঙালি বহুভাষী লেখক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং বিপ্লবী। ‘নজরুল’ নামে জনপ্রিয়, তার কবিতা ও সঙ্গীত ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ইন্দো-ইসলামিক নবজাগরণ এবং তীব্র আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ। নজরুল হলেন একজন মহান সাহিত্যিক, কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, গায়ক, অভিনেতা, সৈনিক এবং বিপ্লবী। তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ গীতিকার-সুরকার। তার সবচেয়ে ফলপ্রসূ কয়েক বছর অল ইন্ডিয়া রেডিওতে কাজ করেছেন। তিনি নারী, যুবক, প্রতিবন্ধী, দরিদ্র এবং নির্যাতিত সকলের জন্য হিন্দু-মুসলিম সংহতি এবং সমতাকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন।
ব্রিটেনের জাতীয় কবি ডব্লিউ ওয়ার্ডসওয়ার্থ, পার্সি বি শেলি এবং কাজী নজরুল ইসলামের রোমান্টিক কবিতায় নৈতিকতা নিয়ে অধ্যাপক মোস্তফা মুনীর (PROFESSOR MUSTOFA MUNIR) চমৎকার একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। ETHICALITY IN ROMANTIC POETRY- W. WORDSWORTH, PERCY B SHELLEY AND KAZI NAZRUL ISLAM শিরোনামের লেখাটি ২৯ মে ২০২১ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। https://www.observerbd.com/news.php?id=314585. ইউরোপেও পাঠকনন্দিত এই লেখায় মোস্তফা মুনীর বলছেন, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, শেলি এবং বিংশ শতাব্দীর কবি নজরুল তাদের স্বতন্ত্র প্রতিভা, দক্ষতা এবং রোমান্টিক কবিতা লেখার শৈলীর জন্য অত্যন্ত সম্মানিত। সাহিত্যে তাদের কাব্যিক অবদানের প্রভাব বিশাল ও গভীর। ক্লাসিক রোমান্টিক কবিতাগুলো তৈরি করার সময় নৈতিক মূল্যবোধ, আধ্যাত্মিকতা এবং ভালোবাসার সাথে প্রকৃতির মার্জিত পরিবেশের সাহায্যে তাদের কল্পনাশক্তি ব্যবহার করেছেন।
ক্যামব্রিজে প্রকাশিত (CAMBRIDGE UNIVERSITY PRESS) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কবিতায় নজরুলের লেখা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে। THE CAMBRIDGE COMPANION TO THE POETRY OF THE FIRST WORLD WAR শিরোনামে বিশ্বখ্যাত লেখকদের কবিতা সঙ্কলিত হয়েছে।
বিশ্বের সেরা নিউজরিল সংরক্ষণাগার ‘ব্রিটিশ পাথে’ কবি নজরুলকে দারুণভাবে মূল্যায়ন করেছে। কবির শেষ যাত্রায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণের ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছে। BANGLADESH: HUNDREDS OF THOUSANDS ATTEND HERO'S FUNERAL FOR BENGALI "REBEL" POET, NAZRUL ISLAM সংবাদ ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, শেষ বিদায়ে কবি লাখো জনতার দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত।
প্রায় ৮৫ হাজার চলচ্চিত্রের ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ ব্রিটিশ পাথ। বিনামূল্যে অনলাইনে দেখার জন্য কোম্পানির Facebook, Twitter, Instagram, Pinterest, Tumblr, WordPress Ges LinkedIn-এ তা রয়েছে। ১৮৯৬ থেকে বিশ্বজুড়ে প্রধান ইভেন্ট, বিখ্যাত ব্যক্তি ও সংস্কৃতির ফুটেজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের ক্ষেত্রে অতুলনীয়।
ইউরোপসহ বিশ্বময় অত্যন্ত জনপ্রিয় বিশ্বকোষ নিউ ওয়ার্ল্ড এনসাইক্লোপিডিয়া (NEW WORLD ENCYCLOPEDIA) কবি নজরুল সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা দিয়েছে। বিশ্বদর্শন হিসেবে খ্যাত নিউ ওয়ার্ল্ড এনসাইক্লোপিডিয়া (NWE) মানুষের জ্ঞানকে সংগঠিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে সমগ্র বিশ্বের কাছে সহজে তথ্য পৌঁছতে পারে। এটি ১৭৬৮ সাল থেকে বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের জন্য একটি দরকারি টুল এবং শিক্ষা ও গবেষণার জন্য আদর্শ সম্পদ।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (THE UNIVERSITY OF SYDNEY) নজরুল চর্চার প্রয়াস প্রশংসার দাবি রাখে। সেখানে প্রকাশিত ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক গবেষণা KAZI NAZRUL ISLAM AND W.B. YEATS: THE VOICES OF SPIRITUAL FREEDOM, NATIONALISM AND INTERNATIONALISM একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ। এতে কাজী নজরুল ইসলাম এবং ড. ইয়েটসকে ভারতীয় উপমহাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মানুষের আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা, জাতীয়তাবাদ এবং আন্তর্জাতিকতাবাদের কণ্ঠস্বর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
জাজ মিউজিক গ্রুপের গ্র্যান্ড ইউনিয়ন অর্কেস্ট্রারে নেতৃস্থানীয় গায়িকা হিসেবে খ্যাত লুসি রহমান কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী চেতনার অন্বেষণের প্রয়াসে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের অসংখ্য মঞ্চ, টেলিভিশন এবং রেডিওতে অনুষ্ঠান করেন। বিবিসি এবং চ্যানেল ৪ টেলিভিশনে একক অনুষ্ঠান করেছেন। অনেক প্ল্যাব্যাক গানের গায়িকা হিসেবেও গান গেয়েছেন। তিনি খ্যাতিমান শিল্পী আমিনা খৈয়ামের সাথে ২০১৫ সালের ২৪ এবং ২৫ মার্চ লন্ডনে একটি পারফরম্যান্স উপস্থাপন করেন। লুসি রহমান বলেন, তাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে নজরুলের কাজকে সামনে নিয়ে আসা, যাতে আজকের বিশ্বসমাজ তার প্রাসঙ্গিকতা অন্বেষণ করে।
ওয়ার্ডস উইদাউট বর্ডারস (WORDS WITHOUT BORDERS) কবি নজরুলকে নিয়ে দীর্ঘ প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে নজরুলের তাৎপর্য একাডেমিক ক্ষেত্রের বাইরেও বিস্তৃত। তিনি নিজেকে বিপ্লবী প্রমাণ করে বাংলা সাহিত্য এবং রাজনীতি উভয়ই প্রজ্বলিত করেছেন। ওয়ার্ডস উইদাউট বর্ডারস আন্তর্জাতিক সাহিত্যের অনুবাদ, প্রকাশনা এবং প্রচারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া প্রসারিত করে। তাদের প্রকাশনা এবং প্রোগ্রামগুলো সারা বিশ্বের ইংরেজি পাঠকদের জন্য বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গি, অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ভাষার লেখকদের দ্বারা প্রদত্ত ঘটনাগুলোতে সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গির দরজা খুলে দেয়।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে THE NAZRUL-BURNS CENTRE, The Centre for East-West Arts and Cultural Excellence, Scotland. এর মূল উদ্দেশ্য হলো বহুমাত্রিক বৈশ্বিক সংস্কৃতি চর্চা এগিয়ে নেয়া এবং বিশ্ব্যব্যাপী তার প্রচার। এজন্য তারা স্কটিশ কবি রবার্ট বার্নস ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তাদের লেখা নিয়ে গবেষণা করছেন। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী শিল্প, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বহু-সংস্কৃতির বিকাশ সাধনের জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
[বাকি অংশ আগামী সংখ্যায়]


আরো সংবাদ



premium cement