২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কী লিখছি কেন লিখছি

-

একজন লেখক যেমন নিজের জন্য লেখেন, তেমনি আবার পাঠকের জন্যও লেখেন। লেখক নিজের অন্তর্গত তাগিদ থেকেই লেখেন।
পাঠকের দিকে চেয়ে বা তথা পাঠকের মনোরঞ্জনের জন্য কোনো লেখক লেখেন না। যদি সে লক্ষ্যে লেখেন সেটা সাহিত্য নয়Ñ অসাহিত্য
লেখাপড়া ও লেখালেখি অবিরত চলছে। প্রতিদিনই পড়ছি ও লিখছি। আমার লেখাপড়ার বিষয় সাহিত্য হলেও আমি ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতিও আগ্রহী। এ আগ্রহের কারণেই আমি কবিতা লিখছি, আলোচনা-সমালোচনা লিখছি এবং এর পাশাপাশি সময়-সুযোগ মতো লিখছি ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়েও। এ সব লেখার উদ্দেশ্য হলোÑ নিজের জানা বিষয় অন্যকেও জানানো। এভাবে জানা ও জানানোর মধ্য দিয়েই তো জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে ওঠে। আর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই তো আমাদের জাতীয় আকাক্সক্ষা।
এখন আমি তিনটি বইয়ের কাজ করছি : প্রথমটি একটি কবিতার বই, কবিতা যা-ই চলছে, আবার নতুন লেখা হচ্ছে, নানা রকম কবিতা লিখছি। কবিতা লেখা সবসময়ই চলে, ভালো-মন্দ যা-ই হোক না কেন। পরে আবার বাছাইতে অনেক কবিতা বাদ পড়ে যায়, আবার কিছু কবিতার কিছু অংশ ভালো লাগলে সেটিকে সম্প্রসারিত করে স্বতন্ত্র কবিতা করে ফেলি। কবিতা লিখছি অন্তর্গত ও স্বভাবগত তাড়নায়, উদ্দেশ্য হলোÑ শিল্পসৃষ্টি। সৃষ্টির আনন্দ উপভোগ করার জন্যই লিখছি কবিতা।
কবিতার বাইরে এখন লিখছি ইতিহাসধর্মী বইÑ ‘নোয়াখালীতে বঙ্গবন্ধু : সফর ও সংবর্ধনা’। এর উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ নোয়াখালীর মাটি ও মানুষের সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কসূত্র উদ্ঘাটন। একই সাথে সম্পাদনা করছি একটি গ্রন্থ ‘ঢাকা প্রকাশে নোয়াখালী’। ঢাকার প্রথম সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ‘ঢাকা প্রকাশ’ ১৯৬০ সাল থেকে প্রকাশিত হয়ে পরবর্তী এক শ’ বছর পর্যন্ত প্রকাশনা অব্যাহত থাকে। এ পত্রিকায় নোয়াখালীর সংবাদদাতার বড় বড় সংবাদাদি ছাপা হতো কয়েক সংখ্যা পরপরই। সেগুলো সংগ্রহ ও সঙ্কলন এবং সম্পাদনা (এক হাজার ৯০০ পর্যন্ত) করছি এই বইটিতে। এ বই থেকে সেকালের নোয়াখালীর শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সমাজ, শাসন, কোর্ট-কাচারি, আদালত, প্রাকৃতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক প্রামাণ্য তথ্য জানা যাবে।
এ ছাড়াও, বিভিন্ন বিষয়ে কিছু বিচ্ছিন্ন প্রবন্ধ লিখছি। যেমনÑ কিছুদিন আগে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে একটি প্রবন্ধÑ ‘বিদ্রোহী কবিতার প্রাসঙ্গিকতা ও পরিপ্রেক্ষিত’ লিখে শেষ করেছি, জমা দিয়েছি একটি স্মারকগ্রন্থে প্রকাশের জন্য। এ ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, যার আবেদন সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বদেশের, সব মানুষের। কারণ মানুষের সংগ্রাম কোনো দিন শেষ হওয়ার নয়।
আসলে বলতে কি, একজন লেখক যেমন নিজের জন্য লেখেন, তেমনি আবার পাঠকের জন্যও লেখেন। লেখক নিজের অন্তর্গত তাগিদ থেকেই লেখেন।
পাঠকের দিকে চেয়ে বা তথা পাঠকের মনোরঞ্জনের জন্য কোনো লেখক লেখেন না। যদি সে লক্ষ্যে লেখেন সেটা সাহিত্য নয়Ñ অসাহিত্য। কারণ তা পাঠকের চেতনার ইতিবাচক রূপান্তরে কোনো ভূমিকা রাখে না।


আরো সংবাদ



premium cement
সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে : প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন সাকিবের প্রশংসায় পোথাস আদমদীঘিতে ২৩০ চালকল বন্ধ : বেকার ৭ হাজার শ্রমিক সাকিবে উজ্জীবিত বাংলাদেশের লক্ষ্য সিরিজে সমতা কুলাউড়ায় জঙ্গল থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার ঈদগাঁওতে মাদককারবারি গ্রেফতার শিক্ষায় ব্যাঘাত : ফেসবুক-টিকটক-ইনস্টাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে ২৯০ কোটি ডলারের মামলা আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সকল