২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

প্রতিদিনের জীবন থেকে

-

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাই জাতির প্রাণ। সেই দিন কি আদৌ আসবে কোনো দিন? এই তো গেলো বিশ্ব শিক্ষক দিবস। পেশাদার শিক্ষকদের বাড়তি আনন্দের দিন। মহান এ পেশার মর্যাদা বিশ্বের সব দেশে সব যুগে সমান নয়।
মাগুরার সন্তান কবি কাজী কাদের নেওয়াজ লিখেছিলেন- আজ হতে চির উন্নত হলো শিক্ষাগুরুর শির/ সত্যিই তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর।
বাদশাহ আলমগীরের মতো শিক্ষকপ্রিয় নৃপতি পৃথিবীতে এখন আছে কি? একবার এক শিক্ষক দরদি প্রেসিডেন্ট তার অফিসে যাওয়ার পথে দেখলেন একজন অধ্যাপক দাঁড়িয়ে গাড়ির অপেক্ষা করছেন। প্রেসিডেন্ট তার গাড়ি থামিয়ে অধ্যাপক সাহেবকে তুলে নিলেন। অধ্যাপক বিস্মিত হয়ে বলতে চাইলেন- আপনি গাড়ি থামিয়ে.....
প্রেসিডেন্ট হেসে হেসে- আপনার দেরি হলে শিক্ষার্থীরা
পাঠবঞ্চিত হবে। জাতি হবে দুর্বল। পুরো দেশ ও জাতি আপনার সুচিন্তা থেকে বঞ্চিত হবে। আমার চেয়ে আপনার যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছা উচিত।
ভারতের এক ব্যারিস্টার তার অফিস কেরানিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন তার সন্তানদের গৃহশিক্ষক হিসেবে। শিক্ষাগুরু প্রথম দিনই ব্যারিস্টার সাহেবের বাড়ির গেটে ঢুকে অবাক! ব্যারিস্টার সাহেব গেটে এসেছেন শিক্ষককে বরণ করতে!
Teachers are the builders of a nation কথাটি যখন স্বীকৃত তখন সরকারের উচিত সর্বপর্যায়ের শিক্ষকদের জীবনমানের দিকে খেয়াল করা। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে একজন হাইস্কুল টিচার প্রথম মাসের বেতন পেয়ে ব্যাংকে পাঁচ হাজার টাকা কিস্তি দিয়ে একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে নিতে পারেন!
শ্রীলঙ্কার শিক্ষাব্যবস্থার দ্রুত উন্নতির ইতিহাস বিবেচনায় আনলে সরকার বাহাদুর পারবেন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। শ্রীলঙ্কা এখন তাদের প্রাইমারি স্কুলের প্রধানদের প্রিন্সিপ্যাল পদবি দিয়েছে। এর চেয়ে বড় কথা দিতে পেরেছে।
বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছিলেন- Teachers are the guardians of civilization. আরেকজন মনীষী বলেছেন- চিকিৎসকের ব্যর্থতায় দৈহিক মৃত্যু ঘটে, সাংবাদিকের ব্যর্থতায় সামাজিক মৃত্যু ঘটে আর শিক্ষকের ব্যর্থতায় নৈতিক মৃত্যু ঘটে।
স্তরান্তর ভেদে কর্মজীবনে কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন এমন শিক্ষকের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। আবার বেসরকারি পর্যায়ে পেটেভাতে জীবনযাপনরত অনেক শিক্ষক রয়েছেন। দুর্বল অবকাঠাময় প্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
তাই সুস্থ সুন্দর সুশৃঙ্খল সমাজ বিনির্মাণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আদর্শ, যুগোপযোগী বেতনধারী, নীতিবান শিক্ষকের কোনো বিকল্প নেই।
আমাদের দেশে যে দিন ব্যাংক কর্মকর্তারা লোভনীয় চাকরি মনে করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করবেন। অথবা ম্যাজিস্ট্র্রেটরা স্বপ্ন দেখবেন- হাইস্কুল টিচার হওয়ার, সে দিন আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পৌঁছাবে আমার মতো অনেকের স্বপ্নের ঠিকানায়।
সেই দিন কি আদৌ আসবে কোনো দিন?


আরো সংবাদ



premium cement
‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩

সকল