২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দাগ রেখে যাই

-

১৭.

আমার ছোটবেলা অর্থাৎ ষাটের দশকে আমাদের ধানের জমিতে আউশ ও আমন এই প্রকার ধানই প্রধান ছিলো। আমন ধানের আবার আলাদা আলাদা চিত্তাকর্ষক নাম ছিলো এই যেমন : লক্ষ্মীলতা, পরাঙ্গী, নলচ, কালোবাউশ, বউপাগল, দীঘা। তবে বাসমতী ধানেরও আবাদ হতো। এখনকার দিনের মত বরো, ইরি, বারি, ধানের চাষ হতো না। এখন ধান বীজ করপোরেট ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। প্রতি বছরই বীজধান তাদের নিকট থেকে চড়া দামে ক্রয় করতে হয়। আগে কৃষকের বাড়িতে বীজধান পাওয়া যেত। ধান বীজ ছড়ানো পর চারা গজালে বৈশাখী বৃষ্টির ওপর ধানের ভাগ্য নির্ভর করত। এখন সেচের মাধ্যমে জমিতে প্রয়োজনীয় পানি দেওয়া হয়। আল্লাহর দেয়া বৃষ্টির পানিতে যে ফসল হতো তাতে কৃষকের খাদ্যাভাব হতো না। অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টিতে ফসলের কাক্সিক্ষত পরিমাণের আবাদ হতো না। খরাপীড়িত, বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিত।
আউশ ধান একটু আগেই অর্থাৎ আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে জমি থেকে সংগ্রহ করতে হতো। ধান কাটার পর মাড়াই দিয়ে খড় বিচালি থেকে ধান আলাদা করা হতো। এর পর বীজধান কিছু পরিমাণ আলাদা করে খোরাকির জন্য বাকি ধান সেদ্ধ করে রৌদ্রে শুকানো হতো। অনেক সময় টানা বৃষ্টির কারণে রোদে শুকাতে না পারলে পুরো ধান পচে যেত। কৃষকের মাথায় বাড়ি পড়ত।
কিন্তু আমন ধানের কপালে এ দুর্গতি ছিলো না। আমন ধান অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে জমি থেকে তুলতে হতো। মাড়াই, সেদ্ধকরা, রোদে শুকানো এর কোন স্তরে বৃষ্টির বালাই ছিল না।
পৌষ-মাঘ মাসে আমন ধান কাটা হয়। এসময়ে আবহাওয়া শুকনো থাকে। ফলে ধান কাটা, মলনদেয়া বা ধান মাড়াই, ধান সেদ্ধ করা, রোদে শুকানো, খৈলানে সেই শুকনো ধান কুলায় করে বিশেষ কায়দায় বাতাসে ঝেড়ে ছোট্ট খড় অন্য আবর্জনা আলাদা করার কসরতে কোনো অসুবিধা হয় না।
আমাদের নিজ চাষের জমিতে এবং বর্গা দেয়া জমিতে আমন ধানের আবাদ বেশি হতো। এ জন্য এ সময়ে আমাদের বাড়িতে বিরাট কর্মযজ্ঞ শুরু হতো। পুরো বাড়িতে একটা কর্মকুশলের আনন্দ জোয়ার বইয়ে যেত। এই বিরাট কর্মপ্রক্রিয়ায় তিন স্তরের কর্মীসহযোগী নিয়োগ দেয়া হতো। আমার আব্বা এ সময় এসব কাজের দায়িত্ব দিতেন বাড়ির ম্যানেজার সাজাহান, কালুমোল্লা অথবা লাল্লু সমাদ্দরকে। সমগ্র কাজ সুচারুভাবে সম্পাদন করার জন্য প্রথম ধাপে জমি থেকে ধান কাটার জন্য বিশ-পঁচিশ জনের একদল চৌকস দাওয়াল ঠিক করা হতো। চাকরিতে কর্মী বা অফিসার নিয়োগের জন্য যেভাবে ইন্টারভিউ নেয়া হয়, এখানেও সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা হতো। তবে বিষয়টি ছিলো বেশ ইন্টারেস্টিং বেশি লেখাপড়া জানলে সে অযোগ্য বলে বিবেচিত হতো। তবে এদেরকে কর্মে দক্ষ, শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত অবশ্যই হতে হতো। কাজের জন্য কোন টাকা মজুরি হিসেবে দেয়া হতো না। এরা আপখোরাকি ও জমির উত্তোলিত ফসলের ভাগীদার হতো। জমি থেকে ধান কাটা, ধানের আঁটি বা বোঝা মাথায় করে গৃহস্থের বা মালিকের বাড়ির উঠোনে গাঁদি মেরে রাখা, সপ্তাহ অন্তে সেই ধান মলন দেয়া বা ধান মাড়াই দেয়া, এর পর ধানবীজ পৈকায় করে মেপে মালিকের অংশ বুঝিয়ে এবং নিজেদের ভাগও তদ্রƒপ মেপে নেয়া ছিলো দাওয়ালদের কাজ। বাড়িতে ধান মলাই ও ধান ভাগ করার সময় আমি ম্যানেজারদের সাথে অতিরিক্ত পাহারাদার কাম উৎসাহী দর্শকের ভূমিকা পালন করতাম মাঝে মাঝে।
আব্বা বাড়িতে থাকলেও অধিকাংশ সময় এতে তিনি সম্পৃক্ত হতেন না। তবে কয়শ পৈকা ধান আমরা পেয়েছি আর দাওয়ালেরা পেয়েছে কত পৈকা তা আমার নিকট থেকে শুনে নিতেন। আমি এসবের হিসাব আলাদা খাতায় লিপিবদ্ধ করতাম। এই হিসাব-নিকাশের জাররা জাররা আমাকে যত না আকর্ষণ করত তার চেয়ে দাওয়ালাদের ধান মলন দেয়ার সময় গরু খেদানোর মনোরম কৌশল বেশি আকৃষ্ট করত। ধান মলন বা মাড়াইয়ের কাজে আট দশটি গরুর গলায় দড়ি বেঁধে সাজোরে তাদের একটি গাছের শক্ত খুঁটিতে বেঁধে বৃত্তাকারে ঘোরানো হতো।
গরুগুলোর পায়ের নিচে পিষ্ট হতো পালান মারা ধানগাছের দঙ্গল। এতে ধানগুলো ধানগাছের আলতো বোঁটা থেকে ঝরে পড়ত। তবে বিষয়টি এত সহজ নয় গরুবৃন্দের এক নাগাড়ে ঘণ্টাখানেক বৃত্তাকারে ঘুরতে হতো। গরুদের বৃত্তাকরে ঘোরাতে উৎসাহী শক্তিমন্ত যুবক শ্রেণীর দাওয়াল নিযুক্ত করা হতো। একাজ অত্যন্ত আনন্দের সাথে সম্পাদন করত হোসেন মোল্লা, শুকুর সেখ, মকো, আকোসহ আরও অনেকে। তবে এখানেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু ছিলো।
ধান মলন দেয়ার সময় বৃত্তাকারে গরু ঘোরানোর কাজ বেশ পরিশ্রমের। পালাক্রমে সকল দাওয়ালই এ কাজে অংশগ্রহণ করত। তবে তাদের ভেতরের লিডার বা মাতব্বর সর্বশেষে গরুঘোরানোর কাজ করতেন। আমি মালিক পক্ষের খুদে পাহারদার মিয়ার বেটা মিয়া কাচারির বারান্দায় চেয়ারে বসে বাড়ির বহিরাঙ্গনের খলটে বা উঠোনের এই কর্মকাণ্ড যতটা না নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করতাম তার চেয়ে তাদের গরুঘোরানোর সময় গুরুর গায়ে কখনো বাঁশের নড়ি দিয়ে খোঁচানো, মৃদু কঠিন বাড়ি মারার নির্মমতায় বিদীর্ণ হতাম। কখনও বা নড়ি দিয়ে গরুর গায়ে বাড়ি মারার সময় বা খোঁচা দেওয়ার সময় দাওয়াল সোনা মুখ ভেংচি দিয়ে বা মুখের আকৃতি বিবর্তন করে গরুর প্রতি যে অদ্ভুত আওয়াজ করত যেমন: ‘হুত-হু-হু-হু, হৈ-হৈ-হৈ, হুররে-হুর-রুর-রুর-হুররে। আ-লো-দেকছনি। আররে যা-যা-যা-দৌড়, হুর-হুর-রে-রে-রে। ইশশি-রে, আলো-যা-যা,দৌড়, দৌড় হুহ্, হু, হুট-হুররে।’ এ রকম অদ্ভুত সুন্দর নতুন নতুন অনুকারময়, ধ্বনিব্যঞ্জনা তারা সৃষ্টি করত, তা তারা কোন ধ্বনিতত্ত্ব পড়ে শিখেনি বরং নিজেরাই এর স্রষ্টা। আমি বিস্ময় বিমুগ্ধচিত্তে তাদের ওই আনন্দময় ধ্বনি আবৃত্তি উপভোগ করতাম।
ধান মলন শেষে খড়কুটো পরিষ্কার করে তারা বেতের তৈরি পৈকা দিয়ে ধান মাপত অর্থাৎ কত কেজি, কত মণ হয়েছে তার পরিমাপ করত। তখন পাল্লা পাথরের মাধ্যমে জিনিসপত্র ওজন দেয়ার রেওয়াজ থাকলেও এই পৈকার সহযোগিতা নেয়া হতো। পৈকা হলো আমাদের এলাকায় বেত দিয়ে ঋষিরা ধান চাল মাপার যে বিশেষ পাত্র- যার আকার আয়তন বেতের শের এর চেয়ে বড় এবং বেতের তৈরি ধামার চেয়ে ছোট যার মধ্যে প্রায় দশ কেজির মত ধান ধরানো যেতো।
দাওয়ালরা এই পৈকার মাপের সাত ভাগের এক ভাগ পেত। ধান মাপার সময় দাওয়ালের মধ্যে একটু চতুর প্রকৃতির লোক এই মাপ পরিমাপের কাজে নিয়োজিত হতো। তারা ধান মাপার সময় গৃহস্থের অংশের ধান দ্রুত তালে মেপে যেত এবং মাঝে মধ্যে সংখ্যা গণনের ধারাবাহিকতায় গোঁজামিল দিত। নিজেদের অংশের ধান ঠেসে পৈকার ভেতর চালান দিত,তখন মিয়ার বেটা মিয়ার মনে হতো,নববধূকে যেভাবে ক’জন ধরে ঠেলে ঠেসে পালকির ভেতর ভরে দিত, ব্যাপারটি যেন তাই হচ্ছে। মিয়ার বেটার অন্তরে দয়ালু মেঘ গুড়গুড় করত- ধরিস নে ওদের ইচ্ছাকৃত ভুল ওরা গরিব বেচারা কত আর বেশি নেবে। [চলবে]

 


যে ক থা হ য় নি ব লা
স্বাধীনভাবে লিখবো বলে স্বেচ্ছায় আধা-গরিব জীবন বেছে নিয়েছিলাম : সরকার মাসুদ
যে প্রতিবন্ধকতা জয় করে লেখক হলেন
বেশি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়নি আমাকে। শামসুর রাহমান বিচিত্রায় আমার কবিতা ছেপেছিলেন লেখা দেয়ার মাস খানেকের মধ্যেই। তবে আহসান হাবীব তিনবার কবিতা দিয়ে আসার পরেও ছাপেননি। ছেপেছিলেন চতুর্থ কবিতাটা। তিনি ছন্দ-মাত্রার ব্যাপারে খুঁতখুঁতে ছিলেন তো! রফিক আজাদ ‘রোববার’-এ আমার কবিতা পত্রস্থ করেছিলেন পঞ্চমবার লেখা দেয়ার পর। ‘যুগান্তর’ ও ‘জনকণ্ঠ’ একবার করে আমার প্রবন্ধ ছাপেনি। ভ্যানগঘের ওপর রচিত আমার একটা গদ্য ‘শৈলী’ পত্রিকার দফতর থেকে কেউ একজন উধাও করে দিয়েছিল ঈর্ষাবশত।
কেন লিখতে এলেন?
লেখক হওয়াটাই আমার নিয়তিতে ছিল। সাহিত্যের প্রেমে পড়েছিলাম খুব অল্প বয়সে। ক্লাস এইটে পড়ার সময় থেকেই বাবা বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে তিনটা দৈনিক পত্রিকা রাখতেন বাসায়। বাংলা কাগজগুলোয় রোববার সাহিত্যের পাতা থাকত। সেখানে শামসুর রাহমান, আলাউদ্দীন আল আজাদ, সিকদার আমিনুল হক, রফিক আজাদ প্রমুখের কবিতা বেরুত। বড় বড় অক্ষরে ছাপা কবিদের নামগুলো আমাকে খুব আকর্ষণ করত। ভাবতাম, বাহ্, দারুণ তো! কবিতা ছাপা হলে মানুষ নাম জানতে পারে!
লেখক না হলে কী হতেন?
সেটা তো বলা মুশকিল। তবে সে ক্ষেত্রে এতদিনে বোধ হয় একজন বড় ব্যাংকার হতাম। ২৬ বছর বয়সে জনতা ব্যাংকে অফিসার পদে চাকরি পেয়েছিলাম। তখন আমি ঢাকায় নবাগত। ইতোমধ্যে বড় বড় পত্রিকায় ৬-৭টা কবিতা বেরিয়েছে। ইত্তেফাকে প্রবন্ধ ছেপেছেন কবি আল মুজাহিদী। হেলাল হাফিজ দৈনিক দেশ-এ একটা গল্পও ছেপেছেন। বন্ধুরা বলল, খবরদার, ব্যাংকে চাকরি নিও না। লেখালেখির বারোটা বাজবে।
সৃজনশীল রচনা শিল্পসম্মত হওয়ার পূর্বশর্ত কী?
যথাসম্ভব অল্প কথায় লেখা উপস্থাপন করা। প্রতীক, ইশারা-ইঙ্গিত, কবিতার ক্ষেত্রে চিত্রকল্পের প্রয়োগ, বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য ভাষা ও আঙ্গিকের যথাযথ ব্যবহার... এইসব। সর্বোপরি লেখাটা সুলিখিত হওয়া চাই যাতে তা হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে।
নিজের সম্বন্ধে যে অভিযোগ মিষ্টি মনে হয়
পাঠক হিসেবে আমি নাক-উঁচু। নবীন লেখকদের লেখা পড়ি না, এমন অভিযোগ আছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, নবীনদের অনেকের লেখাই আমি মন দিয়ে পড়ি। তাদের কারো কারো সম্বন্ধে লিখিও।
এখনো অপূর্ণ যে স্বপ্ন
বড় মাপের একটা উপন্যাস লেখার ইচ্ছা আছে। আমেরিকায় গিয়ে বাংলা কবিতার সাফল্যের ওপর দীর্ঘ বক্তৃতা দিতে পারতাম যদি!
জীবনের ব্যর্থতার কথা বলুন
স্বাধীনভাবে লিখবো বলে অধ্যাপনার চাকরি করেছি অর্থাৎ স্বেচ্ছায় আধা-গরিব জীবন বেছে নিয়েছিলাম। লেখক হিসেবে কিছুটা সুনাম হয়েছে। টাকা-পয়সা হয়নি।
কোন জীবন বেশি উপভোগ্য লেখক নাকি জাগতিক জীবন?
অবশ্যই লেখক জীবন ও তার সাথে সম্পর্কিত নানা কর্মকাণ্ড।
কোন বই বারবার পড়ার ইচ্ছা এখনো তাড়িত করে?
তেমন বই অনেক আছে, যেমন জেন অস্টেনের চৎরফব ধহফ ঢ়ৎবলঁফরপব, লরেন্সের ঝড়হং ধহফ ষড়াবৎং, জেমস জয়েসের ঞযব উঁনষরহবৎং মার্কেজের খবধভ ংঃড়ৎস ধহফ ড়ঃযবৎ ংঃড়ৎরবং কাহলিল জিবরানের ঞযব চৎড়ঢ়যবঃ, তারাশঙ্করের ‘কবি’, মানিকের ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, বিনয় মজুমদারের শ্রেষ্ঠ কবিতা, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ৫০টি গল্প প্রভৃতি।
সাহিত্যে কেমন অবদান রেখেছেন বলে মনে করেন?
সেটা তো বলবেন অন্যরা যারা সাহিত্যটা বোঝেন। আমি বড়জোর বলতে পারি, আমার বই এখন বিক্রি হয়। আমার কাব্যগ্রন্থ ‘জংগলের চাবি’, ‘পাখির আত্মকথা’ প্রবন্ধের বই ‘দশকের বৃত্ত পেরিয়ে...’, গল্পগ্রন্থ ‘আরোবুনিয়ার কাটা’, ‘অপমানের দিন’ এগুলোর প্রতি পাঠক বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে।
লেখক জীবনের শেষ ইচ্ছে কী?
কথাসাহিত্য, কবিতা ও প্রবন্ধ মিলে কমপক্ষে আরো গোটা দশেক বই লেখা।
খ্যাতির তৃষ্ণা একজন লেখকের জন্য ক্ষতিকর নয় কি?
অবশ্যই ক্ষতিকর, বিশেষ করে লেখকের নিজেকে গড়ে তোলার বছরগুলোয়।
কবিতা যেমন উন্নত হতে হবে, কবিকেও হতে হবে উন্নত মানুষ, আমাদের কবিরা কি এ কথা ভাবেন?
আমাদের খুব কম কবিই এটা ভাবেন। এ দেশে কবি পরিচয়ধারী অসংখ্য ব্যক্তি মানুষ হিসাবে নীচু মানের। তাদের লেখাও নিম্নশ্রেণীর।
পাঠকের ভালোবাসা কেমন পান?
আমার পাঠকরা অগ্রসর পাঠক। আমার লেখা পড়ে কেউ কেউ যখন সামনাসামনি অথবা ফোনে তাদের ভালোলাগা ব্যক্ত করেন তখন মনে হয় একেবারে ব্যর্থ হয়নি এ জীবন।
এখনো উজ্জীবিত রাখে যে বাণী
‘নিজের কাজকে সম্মান করুন আর সেই কাজটা করুন নিষ্ঠার সঙ্গে’ কে বলেছেন মনে নেই।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : মেজবাহ মুকুল


আরো সংবাদ



premium cement