২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বসাহিত্যের টুকিটাকি

-


ফিলিস্তিনিদের দুঃখগাথা রারগুতির বইয়ে

ফিলিস্তিনি সাহিত্যিকরা আরবি সাহিত্যকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তারা রচনা করছেন ছোটগল্প উপন্যাস, লিখছেন কবিতা। আর তা অনুবাদ হয়ে বিশ^ সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করছে। তাদেরই একজন কবি মউরিদ বারগুতি। তার স্ত্রী রাদওয়া আশুরও একজন লেখিকা। তবে রাদওয়া মিসরীয়। তিনিও বই লিখে বেশ নাম করেছেন, তাকে বলা হয় ‘আইকনিক ইজিপশিয়ান অথর’। ‘গ্রানাডা’ তার সেরা উপন্যাস। এটি একটি ট্রিলজি। বারগুতির লেখায় উঠে এসেছে ফিলিস্তিনি সংগ্রাম, তাদের দুঃখের জীবনগাথা। ভাষা বৈশিষ্ট্যের কারণে ফিলিস্তিনিরা তাকে মনে রাখবে, মনে রাখবে আরব সাহিত্য অঙ্গন। মনে রাখবে এই কারণে বলতে হচ্ছে তিনি আর বেঁচে নেই, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আম্মানে তিনি মারা যান। আর তার স্ত্রী মারা গেছেন ছয় বছর আগে। বারগুতি তার গল্পে বাস্তুভিটা হারা ফিলিস্তিনিদের মনের কথা তাদের দুঃখবোধ ও সংগ্রামমুখর জীবন তুলে এনেছেন। ফিলিস্তিনের রামাল্লায় তার জন্ম, ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন মিসরের কায়রো বিশ^বিদ্যালয়ে। তিনি যে বছর ডিগ্রি নেন সেই ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের অবশিষ্ট এলাকার দখল করে, ফলে তিনি আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। মাঝখানে কিছুদিন বারগুতি দম্পতি বসবাস করেছেন হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে। বাড়ি অর্থাৎ রামাল্লায় ফিরেছেন ৩০ বছর পর ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তির পর। এই রামাল্লা ভ্রমণ নিয়ে তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক বই ‘আইস রামাল্লাহ’ (আরবি নাম রায়াত রামাল্লাহ) লিখেছেন। এটি প্রকাশ করে কায়রোর প্রকাশনা সংস্থা দার আল হিলাল। পরে আরেক বিখ্যাত লেখিকা আহদাফ সয়ুফ এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন, বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন নাম করা লেখক অ্যাডোয়ার্ড সাঈদ। এটির ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ করে এইউসি প্রেস। এই বইয়ে বারগুতি গৃহবাসী ও গৃহহারা লোকদের অবস্থা তুলে ধরে ফিলিস্তিনিদের হাহাকারের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি ২০১৭ সালে এই বইয়ের জন্য নাগিব মাহফুজ পুরস্কারে ভূষিত হন।
তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘আই ওয়াজ বর্ন দেয়ার, আই ওয়াজ বর্ন হেয়ার’। এটিও সয়ুফের অনুবাদে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।
এ ছাড়া তার ১২টি কবিতার বই বের হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement