২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যাটিংয়ে হতশ্রী দশা কাটবে তো

-

প্রায় আনকোরা এক দলের বিপক্ষে বোলাররা দেখিয়েছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। কিন্তু ব্যাটিংয়ে ছিল হতশ্রী দশা। ৬ উইকেটের জয়টাকে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই, কিন্তু প্রতিপক্ষ দুর্বল বলেই এই ব্যবধানটা ছোট মনে হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং লাইনআপে আলজারি জোসেফ ছাড়া নামকরা কেউ নেই। তারপরও ১২২ রান তাড়া করতে একটু গলদঘর্ম হতেই হলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
স্বাগতিকদের হয়ে ৬৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। স্ট্রাইক রেট ৬৩.৭৭। চোখ ধাঁধানো সব শটে স্টেডিয়াম মাতানো লিটন দাসও ছিলেন নিষ্প্রভ। ৩৮ বলে করেছেন মাত্র ১৪ রান। স্বল্প টার্গেটে জয়ের জন্য খেলতে হয়েছে ৩৩.৫ ওভার। করোনা পরবর্তী সময়ে এটিকে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের ভালো শুরু বলা যাবে না। অবশ্য দোষের তো একটা জায়গা আছে সেটি হলো উইকেট।
তামিম বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য এটা ছিল কঠিন উইকেট। চাইলেও সেখানে শট খেলা সম্ভব নয়। প্রথম ম্যাচে সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি বিধায় কাউকে দোষ দেয়া যাবে না। তারপরও যারা ব্যাটিং করেছে, দায়িত্ব নিয়েই করেছে।’
তবে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো সামগ্রিক কথাই বললেন, ‘ক্রিকেটারদের মাঝে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জড়তাও ছিল। সব মিলিয়েই আসলে গতকাল (প্রথম ম্যাচ) ব্যাটিং ভালো হয়নি। আমরা জানি ওদের গুণ, সামর্থ্য ও শক্তি। হয়তো দ্বিতীয় ম্যাচেই জড়তা কেটে যাবে। আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। হুট করে সব চাইলেই তো হবে না।’
দুর্দান্ত জয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ। স্বস্তির জয়ের সিরিজ শুরু করলেও এখনো লক্ষ্যে পৌঁছা হয়নি। সে লক্ষ্যেই গতকাল কাগজে কলমে বিশ্রাম থাকলেও সেটি না নিয়ে ঐচ্ছিক অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে টাইগার বাহিনী। অনুশীলনে ছুটে আসেন স্কোয়াডের ১১ জন। বাকিরা হোটেলে সময় কাটিয়েছেন।
মধ্য দুপুরের পর শেরেবাংলার ইনডোরের নেটে ব্যাট হাতে কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন তামিম, সাকিব, মুশফিক ও সৌম্যরা। প্রথম ম্যাচে একাদশের বাইরে থাকা মোহাম্মদ মিঠুনও যোগ দেন অনুশীলনে। বোলিংয়ে পুরোটা সময় ব্যস্ত ছিলেন তিনি।
একপাশের নেটে ব্যাটিং কোচ জন লুইস একাই লিটনকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। লুইস বল নিক্ষেপ করছিলেন। সাবলীল ব্যাটিং করা লিটনের কখনো ভুল হলে কাছে গিয়ে শুধরে দিয়েছেন। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে ভুগেছেন লিটন। ৪৩ বলে করেছেন মাত্র ৮ রান। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাটিং হয়নি বলেই বাড়তি মনোযোগ ছিল তার।
নির্বাসন কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব বল হাতে মায়াবী জাদুতে বেঁধে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষকে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নড়বড়ে ১৯ রান। তাই তো ঐচ্ছিক অনুশীলনে সাকিবের লড়াই ছিল ব্যাট হাতে। অনুশীলনে নামার আগে প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সাথে একান্ত আলাপচারিতায় ছিলেন সাকিব। এরপর নেটে মিরাজের বল দিয়ে শুরু করেন অনুশীলন, সাথে ছিলেন দু’জন থ্রোয়ার। মিরাজের সাথে ইনডোরের নেটে হাত ঘুরিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
অনুশীলনে তাসকিন আহমেদের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। বোলিং কোচ ওটিস গিবসন শুরু থেকেই পরখ করছিলেন এই ডানহাতি পেসারকে। প্রতিটি বোলিংয়ের পর ভুল ধরিয়ে দিচ্ছিলেন। প্রথম ওয়ানডেতে দলে ছিলেন না তিনি। মোস্তাফিজের সাথে পেস আক্রমণে ছিলেন রুবেল হোসেন ও হাসান মাহমুদ। মোস্তাফিজ-হাসান আগুন ঝরালেও রুবেল ছিলেন নিষ্প্রভ। তার পরিবর্তে তাসকিনের দ্বিতীয় ওয়ানডে সুযোগ হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।
মুশফিকের অনুশীলন বরাবরই একটু লম্বা। থ্রোয়ার ও বোলারদের বল খেলার পর বোলিং মেশিনে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন। উদ্দেশ্য একটাইÑ সিরিজ জয়।
তবে সাকিব বললেন, ‘আমরা সব সময় তাদের সম্মান করি। তারা ভালো ক্রিকেট খেলতে সামর্থ্যবান। উইকেট কঠিন ছিল। হয়তো অভিজ্ঞতার কারণে ভালো খেলেছি। তার মানে এই না যে, আমরা সামনের দুই ম্যাচ আরামে জিতে যাবো। আমাদের হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement