২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে ক থা হ য় নি ব লা

-

প্রতিটি মানুষ একসময় একাকী : দিলারা মেসবাহ
যে প্রতিবন্ধকতা জয় করে লেখক হলেন?
প্রত্যেক মানুষের যাপিত জীবনের প্রতিবন্ধকতার ভিন্ন রূপ দেখি। নিজের বিষয় বলতে গেলে বলতে পারি যৌথ পরিবারের দায়-দায়িত্বে এবং নিজস্ব সংসারের মঙ্গলের জন্য অনেকটা সময় কেটে গেছে। অমূল্য সময়ের অপচয় হয়েছে বৈকি! সাহিত্যচর্চা বিলাসিতা নয়, সঠিক সাধনা থাকে এর মূলে। সেসব দায়বদ্ধতা প্রতিবন্ধকতার নামান্তর বলা যায়।
লেখক না হলে কী হতেন?
লেখক না হলে হয়তো শিক্ষকতা করতাম, কলেজে। ডাকও পেয়েছিলাম। কিংবা ছবি আঁকতাম। নিদেনপক্ষে ছোট্ট একটি বাগানবাড়ি সাজাতাম।
সৃজনশীল রচনা শিল্পসম্মত হওয়ার পূর্বশর্ত কী?
সৃজনশীল লেখার বোধকরি একটাই পূর্বশর্ত সাহিত্য পাঠ। প্রচুর পাঠাভ্যাস নিতান্ত প্রয়োজন।
নিজের সম্পর্কে যে অভিযোগ মিষ্টি মনে হয়?
অনেকেই বলেন আমি নিভৃতচারী। এ যুগে বিষয়টি প্রশংসনীয় নয় হয়তো। তবে কিছুটা আড়ালের মানুষ, এ কথা আংশিক সত্য!
এখনো অপূর্ণ যে স্বপ্ন?
আদতে আমি সামান্য লেখক। ঢের ঢের স্বপ্ন অবচেতনে বুনে যাই। আর লেখকের অতৃপ্তি (স্বপ্ন?) জীবনব্যাপী জাগিয়ে রাখে।
নিজের লেখা কোন বইটি অধিক প্রিয়?
গল্পসমগ্র কখনো বা কিশোরসমগ্র।
জীবনের ব্যর্থতার কথা বলুন!
ভালো লেখা লিখতে না পারার বেদনা।
কোন জীবন বেশি উপভোগ্যÑ লেখক নাকি জাগতিক জীবন?
৮০ ভাগ লেখক জীবন, ২০ ভাগ জাগতিক।
কোন বই পড়ার ইচ্ছা এখনো তাড়িত করে?
প্রচুর বই চোখের সামনে আছে, প্রতিদিন হাত বাড়াই। অথচ উটকো ঝামেলায় ভেস্তে যায়।
পাঠকের ভালোবাসা কেমন পান?
যেহেতু আমি খানিক দলছুট মানুষ, সেই হেতু পাঠকের পাঠ প্রতিক্রিয়া কমই জানতে পারি। তবে চেনা মহলের বন্ধুজনের ভালোবাসা পাই বটে।
এখনো উজ্জীবিত রাখে যে বাণী?
এখনো উজ্জীবিত করে বিস্তৃত নীলিমা লতাগুল্ম বৃক্ষ পাখ পাখালির গান। প্রকৃতি আমার পরম আরাধ্য। আর সাহিত্য পাঠের অতুল আনন্দ। প্রতিটি মানুষ একসময় একাকী, তখন মায়াবী গেরস্থালির বন্ধন থেকে আত্মার মুক্তি খোঁজে!...

নিয়ম ভাঙতে হলেও নিয়মের ওপর আগে দাঁড়াতে হয় : নাজীব ওয়াদুদ
লেখক না হলে কী হতেন?
লেখক হওয়ার বাসনা সেই কৈশোর থেকে। তবে তখন জানতাম না জীবিকা বলে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, আর লেখালেখি এ দেশে জীবিকার নিশ্চয়তা দেয় না। বাপ-মা চেয়েছিলেন ডাক্তার হই, জীবিকার জন্য শেষ পর্যন্ত তা-ই হতে হয়েছে। তার মানে লেখক না হলেও ডাক্তারই হতাম, কারণ ডাক্তার তো হয়েছিই।
যে প্রতিবন্ধকতা জয় করে লেখক হলেন?
বাউণ্ডুলে জীবনযাপন করেছি অনেক দিন। আমার এই জীবন লেখালেখির ক্ষেত্রে একটা বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল। তা ছাড়া বাংলাদেশে বুঝে-শুনে-শিখে সাহিত্য করার সুযোগ কম, সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা একেবারেই নেই, দলবাজি-গোষ্ঠীবাজি-তেলবাজি তো রয়েছেই। মফস্বলের বঞ্চনা আর আমার আত্মমুখী চরিত্রও প্রতিবন্ধকতা ছিল। এসব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে পেরেছি সে দাবি এখনো করতে পারছি না। তার পরও লেগে ছিলাম বা আছি আরকি।
সৃজনশীল রচনা শিল্পসম্মত হওয়ার পূর্বশর্ত কী?
এভাবে কোনো পূর্বশর্ত জুড়ে দেয়া কষ্টকর, হয়তো অসম্ভবও বটে বা তার কোনো প্রয়োজনও নেই। লেখার কোনো ব্যাকরণ নেই বা ছাঁচও নেই। তবে হ্যাঁ, দিনে দিনে কিছু ন্যূনতম নিয়মকানুন তো দাঁড়িয়ে গেছে, সেগুলো একটা লেখায় থাকা দরকার। নিয়ম ভাঙতে হলেও নিয়মের ওপর আগে দাঁড়াতে হয়। একটা মানুষের দেহসৌষ্ঠব যেমন তার বহিরাঙ্গগুলোর সামঞ্জস্যশীল সংস্থানের ওপর নির্ভরশীল, তেমনই কোনো একটি লেখায়ও তার অঙ্গসংস্থান সুসামঞ্জস্য হওয়া দরকার। এটা একেবারেই প্রাথমিক কথা। বিষয়, বক্তব্য, ভাষা, আঙ্গিক, উপস্থাপনা, জীবনবোধ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
জীবনের ব্যর্থতার কথা বলুন!
ব্যর্থতার কাহিনী বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তবে হ্যাঁ, সাফল্য ও ব্যর্থতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। ইদানীং আমার কেবলই মনে হয়, সৃষ্টিকর্তা অনেক ধরনের যোগ্যতা দিয়েছিলেন, তার কোনোটাই ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারিনি। তার কাছে গিয়ে কী উত্তর দেবো সেটাই ভাবি।
নিজের সম্পর্কে যে অভিযোগ মিষ্টি মনে হয়?
অভিযোগ মিষ্টি হয় কি না জানি না। তবে যখন পাঠকরা বলেন, আপনার লেখা আরো পড়তে চাই, কিন্তু আপনি এত কম লেখেন! তখন অসহায় বোধ করি, তবে একটু ভালোও লাগে। এটাকে হয়তো মিষ্টি অভিযোগ বলা যেতে পারে।
এখনো অপূর্ণ যে স্বপ্ন?
বহু স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গিয়েছে। লেখক হিসেবে স্বপ্ন ছিল, এ দেশের মাটি, মানুষ ও ইতিহাসকে ধারণ করে একটা বড় উপন্যাস লিখব, সেটা এখনো করে উঠতে পারিনি।
সাহিত্যে কেমন অবদান রেখেছেন বলে মনে করেন?
সেটি বলা মুশকিল। পাঠক এবং সাহিত্যের বিদ্বৎসমাজ সে রায় দেবেন। আমি আমার মতো করে লিখে যাই, কে পড়ল বা পড়ল না সেটা নিয়ে ভাবি না। আরেক সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, দেশের অধিকাংশ বড় বা প্রতিষ্ঠিত লেখক, সম্পাদক বা প্রকাশকের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো যোগাযোগ নেই। লেখা ছাপা, বই প্রকাশ বা আলোচনা-উন্মোচনের পাদপ্রদীপে স্থান করে নেয়ার চেষ্টা আমি কখনো করিনি। সে জন্য আমি আদৌ কোনো অবদান রাখতে পেরেছি কি না বুঝতে পারি না। আমার কিছু পাঠক আছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন লেখকও শামিল, তারা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে আমার লেখার দোষ-গুণ নিয়ে কথা বলেন, স্বল্প কয়েকজন লিখেও তাদের মূল্যায়ন প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন আমি নাকি ছোটগল্প ভালো লিখি, অনুবাদও ভালো করি, কিছু ছড়া আর প্রবন্ধও ভালো লিখেছি। এদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই।
যে বই পড়তে মন বারবার তাড়িত করে?
আমার একটা বড় দোষ, কোনো একটা বই বারবার পড়তে ভালো লাগে না, মানে সাহিত্যের কথা বলছি।
পাঠকের ভালোবাসা কেমন পান?
আমি তো জনপ্রিয় ধারার লেখক নই, তাই পাঠক সীমিতই বলতে গেলে। আমার ভালো লাগে যে, আমার এই পাঠকগোষ্ঠী সত্যিকারের সাহিত্যেরই পাঠক, তারা শুধু যে আমার লেখা পড়েন এমন নয়, অন্য আরো অনেক লেখকের লেখারও ভক্ত তারা। তাদের ভালোবাসা অকৃত্রিম, অফুরন্ত।
এখনো উজ্জীবিত রাখে যে বাণী?
নিশ্চয়ই সমস্ত কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীলÑ মহানবী সা:
সাক্ষাৎকার গ্রহণÑ মেজবাহ মুকুল


আরো সংবাদ



premium cement
লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ উত্তর গাজায় আবারো ইসরাইলের গোলাবর্ষণ ধামরাইয়ে তাপদাহে জনজীবন কাহিল, ডায়রিয়াসহ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশী কেএনএফ সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতাসহ কারাগারে ৭ স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল রাজশাহীর পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক দুমকিতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সভাপতির নির্দেশে ক্লাস চালু

সকল