২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চেতনাজুড়ে বয়ে যাক

-

আকাশে ঘুড়ি উড়ছে। কবুতরের দল ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে।। সূর্য পূর্ব থেকে উঠে পশ্চিমে ডুবে যাচ্ছে। পাখিরা ডাকছে। গাছে গাছে ফুল ফলের উৎসব। কালা মেঘ ধলা মেঘ ছাই রঙা মেঘ নীল আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, উড়ে বেড়াচ্ছে, বৃষ্টিতে ঝরে পড়ছে। বাতাসে অনুরণন তৈরি হচ্ছে, শির শির শিহরণের সুর বাজিয়ে যাচ্ছে। ঋতু বদল হচ্ছে, ঋতু বদলে কোন গাছে ফুল ফল আসছে, কোন গাছে ফুল ফল ঝরে যাচ্ছে। মানবজীবনেও কেউ কষ্টে কেউ আনন্দে কাটাচ্ছে। এসবই মহা পৃথিবীর মহান নিয়মের আবর্তে চলমান। চলমান এই বাঁধাধরা নিয়মের মাঝেই কারো অনিয়ম কারো নিয়ম মেনে চলা। চিরস্থায়ী সুখ বলতে যেমন এখানে কিছু নেই, তেমনি চিরস্থায়ী দুঃখ বলতেও কিছু নেই। এর মাঝেই মানুষের ছুটে চলা, ছুটে চলা এই জীবনের পরিক্রমায় বিভিন্ন ধরনের বাধা আসে। বাধাকে জয় করতে হাত,পা, চোখ, কান, নাক, মুখ দেয়া হয়েছে। আবার এগুলোর সঠিক ব্যবহারের জন্য মাথা দেয়া হয়েছে। মাথার ভেতর মস্তিষ্ক নামক এক যন্ত্রের মাধ্যমে সে বিচার বুদ্ধি বিবেচনা করবে। এই বিবেচনা অনুযায়ী সে তার হাত, পা, নাক, কান, চোখ, মুখকে ব্যবহার করবে। সঠিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাধা-বিঘœ জয় করে সে এগিয়ে যাবে। এগিয়ে কোথায় যাবে? মহাকালের নিয়ম অনুযায়ী মানুষ আসলে জন্মের পর থেকে মৃত্যুর দিকেই ধাবিত। মানুষের সব বাধা বিপত্তির জয় আসলে মৃত্যু থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে তোলার যাবতীয় প্রয়াস। আসলে কি সে মৃত্যু থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে? সে ক্ষমতা কি সে রাখে? রাখে না। রাখে না বলেই মৃত্যু আসেই। মানুষ মরণশীল। তাই মৃত্যু এক অবধারিত সত্য। এখন মানুষ মৃত্যুকে ভুলে থাকতে চায়। আর ভুলে থাকার জন্য এখন তার যত আয়োজন। এই আয়োজনে সে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চায়। সাহিত্য সংস্কৃতি খেলাধুলা, সৃজনশীল বিভিন্ন কিছুতে মগ্ন রাখতে চায়। মৃত্যুকে সে ভয় পায়। এদেরই মধ্যে আরেক শ্রেণী আছে যারা মৃত্যুকে ভুলে থাকতে নয় বরং তারা নিশ্চয়তা চায়। অনিবার্য মৃত্যুর পরের জীবনের শান্তির নিশ্চয়তা, সাথে মৃত্যু-পূর্ব শান্তি। তাই তারা ধর্মের দিকে মনোনিবেশে ব্যস্ত। ধর্মের বিধি-নিষেধকে মেনে চলাই জীবনের মূল শান্তি মনে করে। এদের মধ্যে দুঃখ কষ্ট এলেও এরা এটাকে পরীক্ষা হিসেবে নিয়ে পরীক্ষা দেয়। সেই পরীক্ষাতেও তারা আশ্রয় চায় মহান আল্লাহর। কারণ তাদের বিশ্বাসের সব কেন্দ্রবিন্দুতে আল্লাহ বিরাজমান। দ্বন্দ্বের শুরু এখান থেকেই, এক শ্রেণী মৃত্যুকে ভুলে থাকতে চায় আরেকশ্রেণী মৃত্যুকে ভুলে নয় বরং জীবন ও মৃত্যুতে শান্তি কামনা করে। যারা মৃত্যুকে ভুলে থাকতে চান, তারা সন্দিহান, মৃত্যু নিয়ে, মৃত্যু মানে তাদের কাছে এক ধরনের রোমান্টিক আবেশ। মৃত্যু মানে মৃতদেহের ওপর ফুল, কবরের ওপর ফুল। মৃতব্যক্তির স্মৃতিচারণে সীমাবদ্ধ। আর যারা বিশ্বাসী তাদের কাছে মৃত্যু মানে আরেকটা শুরু, যে শুরুর শেষ নেই। যেখানে মৃত্যু মানে অনন্ত যাত্রা। মৃত্যু মানেই সৎ সতত, অসৎ অসত্যের বিচার, বিচারের রায়, রায়ের বাস্তবায়নের প্রতি বিশ্বাস।
এই বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে যোগ হয়েছে বিজ্ঞান ও দর্শন। বিজ্ঞান আবিষ্কারের নেশায় মত্ত। বিজ্ঞান সবকিছুকে দৃশ্যমান চায়। যুক্তি দিয়ে বিচার করে এগোতে চায়। বিশ্বাসও যেহেতু যুক্তিকে সাথে নিয়ে চলতে প্রস্তুত। তাই বিজ্ঞানের সাথে বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব যৎসামান্য। কিন্তু বস্তুবাদী দর্শনকেও যখন বিজ্ঞানের অংশ বা বিজ্ঞান বলে চালিয়ে নেয়া হয় তখনই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। কেননা এই জাতীয় দর্শনের পেছনে যে দার্শনিক কাজ করেন তিনি তার জ্ঞান বুঝ দ্বারা ব্যাখ্যা করে থাকেন। তার ব্যাখ্যা আর চলমান জীবনের গতি যখনই টক্কর খায়, তখন দর্শনের গতি বদলায়। নতুন ব্যাখ্যা তৈরি হয়, নতুন দার্শনিকের আবির্ভাব ঘটে। এভাবে দর্শন ক্রমাগত অস্থিরভাবে মানবসমাজে বিরাজ করে। আজ ব্যাখ্যা দ্বারা যেটাকে সত্য বলা হচ্ছে, কাল সেটা মিথ্যা হিসেবে প্রতিফলিত হয়ে নতুন আরেক তত্ত্ব দেয়া হচ্ছে। এভাবে নিত্যনতুন তত্ত্ব ও তথ্যের মাধ্যমে দর্শনও একের পর এক পরিবর্তন হয়ে চলছে। অদল বদল জীবনের এই অস্থির দর্শনের দার্শনিক ব্যাখ্যাও অন্তহীন। এর কোনো স্থিরতা নেই। পশ্চিমা বিশ্ব তথা ইউরোপ যখন শাসন পরিচালনার দায়ভার থেকে তথাকথিত ধর্মকে আলাদা করল এবং ডারউইনের মতবাদকে সামনে নিয়ে এলো, তখন থেকেই ইউরোপ বলতে শুরু করল শিল্পবিপ্লবের যুগ। মানবসভ্যতার আলোকিত রূপ। আসলে কি তাই? পশ্চিমা বিশ্ব যখন মনে করল তখন তারা তাদের শাসন পরিচালনায় তাদের ধর্মকে আমলে আনল যখন প্রয়োজন মনে করল তখন তারা তাদের ধর্মকে আলাদা করে দিলো। ডারউইন বলতে চাইল বিবর্তনের মধ্য এই পৃথিবীর পরিবর্তন নিহিত। তার এই বিবর্তনবাদের খসে যাওয়া লেজের কারণে বানর থেকে মানুষের যে আবির্ভাব তত্ত্ব তার ভেতর আসলে এক ধরনের জানোয়ার মনোবৃত্তি উসকে উঠল। এই মনোবৃত্তির জেরে তাদের কলাকৌশল তৈরি হতে থাকল। প্রাচীন মানুষ ছিল উলঙ্গ। বিবর্তনের ফলে ক্রমে মানুষ তার প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় জিনিস সঞ্চয় করতে গিয়েই সভ্যতার আবির্ভাব ঘটাল। জীবিকার জন্য শিকার, শিকারের জন্য দলগত অবস্থান করতে গিয়েই মানুষ একতাবদ্ধ হলো, বসতি গড়ল, বংশবিস্তার করল, সভ্য হলো, সভ্য সমাজ রাষ্ট্র গড়ে তুলল। মোটাদাগে বিষয়টা এমনই। মানুষের সৃষ্টির ইতিহাস উলঙ্গতারই উপাখ্যান। এই উপাখ্যান যখন মানুষের মনে ঢুকিয়ে দেয়া হলো, তখন থেকেই উদ্ভব হতে থাকল সমাজব্যবস্থার নোংরামি। মানবসভ্যতার ধ্বংসস্তূপ। আজ তাই লেসবিয়ান সমকামিতার মতো জঘন্য কুৎসিত নোংরা বিষয়কে সমাজে স্থান দেয়ার কথা ভাবতে শুরু করল। এইভাবে এসব উদ্ভট দার্শনিক ব্যাখ্যা আর দর্শনতত্ত্ব ঘুরতে ঘুরতে এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, সবই এখন পণ্য, ভোগ্যপণ্য।
আরেক দিকে বলা হচ্ছে, মানুষ কখনই উলঙ্গ ছিল না কোনো জানোয়ারের লেজ খসে সৃষ্টি হয়নি। প্রথম মানব মানবী আদম ( আ:), ও হাওয়া (আ:)কে আল্লাহ মানুষ রূপেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই সভ্য ও মানবিক। সে আদিতেও সভ্য, আজো সভ্য। সে অসংখ্যগুণের ভাণ্ডার। সে এমনি এমনি হয়নি। কোনো কিছুই এমনি এমনি হয়েছে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে লেজ খসে বানর থেকে গজিয়েছে এ বিশ্বাস করতে সে অপারগ। মানুষ মানবতাবাদী। সে যেমন মানুষের তেমনি সে আল্লাহর। বিশ্বজগতের সব কিছু যেমন তার জন্য সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি বিশ্বজগতের সবকিছুর ভারসাম্য রক্ষা করার দায়িত্ব তার ওপর দেয়া হয়েছে। কিভাবে এ দায়িত্ব পালন করতে হবে, সে বিষয়েও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পালন করলে ভালো থাকবে, না করলে খারাপ হবে। এই পালন করারা জন্য যে রূপরেখা নবী-রাসূলগণের মধ্য দিয়ে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন। এর বাইরে আসলে বিপদ বিরাজমান। আজ যারা বলে আমরা ধর্মে বিশ্বাসী না মানবতায় বিশ্বাসী। মানবতা কি ধর্মের বাইরে কিছু? না। মানবতা এর ভেতরেরই অংশ। ইসলামে মানবতার স্পষ্ট ব্যাখ্যা কুরআন হাদিস দ্বারা দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ নবী মুহম্মদ সা:ুুু থেকে আজ পর্যন্ত একই ব্যাখ্যায় যে মানবতা দাঁড়িয়া আছে। সেই মানবতায় একে অন্যের প্রাপ্য নষ্ট করা তখনো নিষিদ্ধ, এখনো নিষিদ্ধ, ভবিষ্যতেও নিষিদ্ধ। তখনো অন্যায়, এখনো অন্যায়, ভবিষ্যতেও অন্যায়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমাতে যাওয়া তখনো যে নিয়ুুুম, আজো তাই, ভবিষ্যতেও একই। নিজেকে পরিচালনা থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত তখনো যা, আজো তা, ভবিষ্যতেও তাই। পরিবার-পরিজন আত্মীয়-অনাত্মীয়, পরিচিত-অপরিচিত, সকলের ক্ষেত্রে তখনো যে নিয়ম, আজো একই, ভবিষ্যতেও একই নিয়মে চলবে। কোনো পরিবর্তন নেই। একই নিয়মে চলে আসছে, চলছে, চলবে। ত্যাগ এবং ভোগ দুটোকেই সাম্যের বণ্টনে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ যাকে যতটুকু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাকে সেই অনুযায়ীই প্রাপ্য বণ্টন করা হয়েছে। বাড়াবাড়ি নেই। যুক্তির দ্বারা অযৌক্তিক ব্যাখ্যার কোন অবকাশ নেই। তাই ইসলামী জীবনধারায় যেমন অন্যায়, অহঙ্কার, রাগ, ক্ষোভ, হতাশার কোনো সুযোগ নেই। তেমনি আনন্দের আতিশয্যে আস্ফালন, লোক দেখানো কায় কারবার, মানবতার নামে রোমান্টিক হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। মানুষ এখানে সুন্দর। সে ধনী হলেও সুন্দর দরিদ্র হলেও সুন্দর। বয়স বেশি হলেও সুন্দর, কম হলেও সুন্দর। সে জীবনেও সুন্দর, মৃত্যুতেও সুন্দর। যে যেমন জীবনের জয়গান গাইতে প্রস্তুত, তেমনি মৃত্যুতেও জয়ী হতে আগ্রহী। ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজজীবনে যেমন বাধ্যতায় শান্তিতে আশাবাদী। তেমনি মৃত্যু-পরবর্তী জীবনেও সে আশাবাদী। মানবজীবনের এই আশাবাদ ও সুন্দরের কথা আমাদেরকে তুলে ধরতে হবে। প্রচারমাধ্যমে যেমন, শিল্প সাহিত্যেও তেমন। আমাদের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে এই সত্য, সুন্দর আশাবাদগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের প্রচার মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের, অসুন্দরের বিরুদ্ধে সুন্দরের, হতাশার বিরুদ্ধে আশাবাদের। তাই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে গল্পে, কবিতায় উপন্যাসে প্রবন্ধে নিবন্ধে। আমাদের পূর্ব পুরুষগণের ইতিহাস নিয়ে আসতে হবে। যে ইতিহাস আজ উলটোপথে উলটোরথে হাঁটছে। নিঃসন্দেহে পথ কঠিন। তবুও এই কঠিন পথকে শব্দ কথায় বাক্যে সহজ করে এনে পৌঁছে দিতে হবে মানুষের দরজায়। হাজী শরীয়তউল্লাহ, তিতুমীর, নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ এদের আন্দোলন চিন্তা-চেতনার বিপরীতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে কাদেরকে দাঁড় করানো হয়েছে। কারা বাংলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল আর কারা বাংলাকে, বাংলার মানুষের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করেছিলেন। ইতিহাসের এইসব সত্যকে ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে এনে মেলে ধরতে হবে সাহিত্য সংস্কৃতিতে। শুধু মীর জাফরের নাম উচ্চারণ করলেই চলবে না, সাথে সাথেই উল্লেখ করতে হবে জগৎ শেঠ, রাজবল্লভ, উমিচাঁদদের বেঈমানীর কথাও। ভুলে গেলে চলবে না নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে উৎখাত করে মীরজাফরকে মসনদে বসানোর ষড়যন্ত্রে কবি রবীন্দ্রনাথে ঠাকুরের প্রপিতামহও জড়িত ছিলেন। লর্ড ক্লাইভের সাথে রবীন্দ্রনাথের প্রপিতামহও মীরজাফরকে ক্ষমতায় বসিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে জমিদারি এস্টেট ক্রয় করেছিলেন।
আজ আমাদের নাটক সিনেমা ওয়েব সিরিজ নামক নষ্ট সিরিজগুলোতে নষ্ট মানুষের নষ্ট মানসিকতা যুব সমাজের কাছে উপস্থাপন করে, তাদের মানসিকতাকে নষ্ট করে তোলার চেষ্টা চলছে। মনে রাখা দরকার নষ্ট মানসিকতার দ্বারা যে উত্তেজনা ও উন্মাদনা তৈরি করা হচ্ছে, পরে এর ভয়াবহ পরিণতি দেখলে শিউরে উঠতে হয়। যারা এসব তৈরি করছেন, তাদের ব্যক্তিগত জীবনগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাই কি হতাশা আর অবস্বাদে দিগি¦দিক দিশেহারা। তাই আমাদেরকে আমাদের সংস্কৃতি তুলে ধরতে হবে। আমাদেরকে জানতে হবে বুঝতে হবে, আমরা পশু থেকে পাশবিক না। আমরা সৃষ্টি থেকেই মানুষ তাই আমরা মানবিক। আমরা কখনই বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো আদিম জানোয়ারের উত্তরাধিকার না। আমাদের পূর্বপুরুষ আদিপিতা আদম (আ:)। আমাদের পূর্বপুরুষ কখনই অসভ্য উলঙ্গ বানর ছিল না। আমাদের পূর্বপুরুষ সভ্য মানুষ ছিলেন। তাই আমাদের বিশ্বাসজুড়ে কোথাও বর্বরতা আদিমতা অসভ্যতা স্থান পায়নি, পাবেও না। আমাদের চেতনাজুড়ে সততা ও মানবতার সভ্যতা বিরাজমান। তাই মানুষ হিসেবে সভ্য হিসেবেই আমাদেরকে অসভ্য বর্বরদের বিরুদ্ধে পশু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলে যেতে হবে। অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের জয়গান গাইতে হবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement