২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ব ই আ লো চ না

নগর জীবনের নিখুঁত এক চিত্র

-

আধুনিক জীবনের করপোরেট দুনিয়ার একটি নিপুণ চিত্র দেখতে পাই ‘ডেকে যায় ফাল্গুনের রোদ’ উপন্যাসে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হাসান, উপন্যাসের নায়ক। কংক্রিটের শহর ঢাকায় তার কোন আত্মীয় নেই। বেঁচে থাকার জন্য বেছে নিতে হলো টিউশনির পথ। এই সামান্য আয়ে যেখানে একজনের চলা দায় সেখানে ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার খরচও চালিয়ে নিতে হয় তাকে। হাসানের অবশ্য বিশেষ প্রতিভা হলো সে ছবি আঁকতে পারে। মেসের এক রুমমেটের কারণে হাসানের আঁকা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একসময়। পরবর্তীতে সেটাই জীবিকার একটি অংশ হয়েও দাঁড়ায় উপন্যাসের নায়িকা পাপিয়ার মাধ্যমে। একটি দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে পাপিয়ার সাথে পরিচয় হাসানের। পাপিয়া একদিন পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলে ধানমন্ডিতে। কিন্তু কে জানত, পাপিয়ার হারানো পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে গিয়ে হাসানের জীবনে নেমে আসবে আরেকটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তবুও হাসান স্বপ্ন দেখে, এক সন্ধ্যায় হাসান অবাক হয়ে দেখবে পাপিয়া নামে এক রূপবতী তরুণী তার জীবনটা বদলে দিয়েছে। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি! স্কেচ প্রদর্শনীর নামে এক গ্যাংয়ের ইন্দ্রজালে ফেঁসে যায় দু’জীবন। ভয়ঙ্কর এক ত্রাসের রাজত্ব চলে দিনদুপুরে এই শহরে। আরো দেখতে পাওয়া যায় সমাজে প্রায় ষাটোর্ধ বয়সী মানুষ কিভাবে আজো আঠারো বছরের যুবতীদের ঘরণীর নামে ভোগের বস্তু করে রাখে তারও একটি নির্মম চিত্র দেখতে পাওয়া এ উপন্যাসে। সবমিলিয়ে ‘ডেকে যায় ফাল্গ–নের রোদ’ উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক আধুনিক নগরজীবনের এক নিখুঁত চিত্র এঁকেছেন কথাসাহিত্যিক ইমন চৌধুরী। যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে প্রবল আগ্রহ জাগিয়ে। এখানেই একটি উপন্যাসের সার্থকতা। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে সাহিত্যদেশ প্রকাশনী। হোসাফ টাওয়ার-২য় তলা, মালিবাগ মোড়, ঢাকা-১২১৭। মূল্য ১৬০ টাকা মাত্র।
Ñ মারইয়াম সুজলা

 


আরো সংবাদ



premium cement