লেখালেখি শুরুর গল্প
- ০২ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
আমার লেখালেখি শুরুর গল্পটি একটু অন্যরকম। হয় তো সবারই আলাদা গল্প থাকে। যেমন আমার আছে। এ গল্পটিই আমার লেখালেখিতে আসারও কারণ। ১৯৬৪ সালের কথা। সম্ভবত ডিসেম্বর মাস হবে। আমাদের স্কুলে গল্প লেখা প্রতিযোগিতা হবে বলে নোটিশ দেয়া হয়। আমার ইচ্ছে হলো আমি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবো এবং ভেতর থেকে লেখার তাড়া অনুভব করলাম। সে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমি দু’টি গল্প লিখি। সেই প্রথম লেখা। সেই লেখালেখির শুরু। কী যে একটা ভেতরে অন্যরকম কাজ করতে শুরু করল। আহা! আমার লেখা প্রতিযোগিতায় যাবে। আমার লেখা পড়বে মানুষ! এসব ভাবতে ভাবতেও খুব আনন্দ পেতাম। সে আনন্দ আমাকে আরো লেখার দিকে ঠেলে দিলো।
সেই দুটো গল্পের নাম আজ মনে নেই। প্রতিযোগিতায় আমি প্রথম স্থান অধিকার করি। সে কী উচ্ছ্বাস! সে কী উল্লাস! সে থেকেই নিজের ভেতর লেখক হওয়ার স্বপ্ন কাজ করতে শুরু করে। তবে আমি প্রথম দিকে কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর কবিতা লেখা হয়নি আর। কিন্তু প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া সেই দু’টি গল্পের কোনো হদিস নেই। কোনো পত্রিকায় ছাপা হয়নি। আমার লেখা কোনো গ্রন্থেও নেই। তবে বাসায় খুঁজলে হয়তো পাবো। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার কয়েক বছর পর আমার গল্পের বই বের হয়। এক অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করে তখন।
আমি লেখালেখি কখনো পেশা হিসেবে নেইনি। বাসা থেকে বের হলেও আমি অনেক কিছু দেখি। ভালো-মন্দ দু’টি দিকই আমাকে টানত এবং সেই টান থেকে আমি লিখতাম। এখনো লিখি।
১৯৬৪ সালের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী না হলে কী হতাম তা জানি না তবে প্রতিযোগিতার পর সিদ্ধান্ত নেই যে আমি লেখক হবো। সংস্কৃতির অনেকগুলো মাধ্যমের চর্চা আমার হতো। নাচ গান গিটার বাজানোসহ আরো অনেক কিছু। লেখালেখিতে এসে অন্যগুলো কিছুটা চর্চার বাইরে চলে গেল আর লেখালেখি এখনো অনবরত চলছে। লেখালেখিতে এসে আমি নিজের বাস্তবতাকে নিয়ে সন্তুষ্ট। কোনো খেদ নেই। এখন পর্যন্ত ভালো আছি। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লেখালেখি করতে চাই। কী পেলাম কী পেলাম না তা নিয়ে কোনো হিসাব করতে চাই না। লিখে যাওয়াই আমার আনন্দ!
অনুলিখন : হাসান সাইদুল
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা