২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যে ক থা হ য় নি ব লা

-

সেই স্বপ্ন আমাকে ঘুমোতে দেয় না : জাহিদুল হক
কেন ুুলিখতে এলেন?
আমি নিজেকেই কবিতার ব্রিজ পেরিয়ে কিছু কথা বলার জন্য লিখতে এসেছি। হ্যাঁ, সন্দেহ নেই, আমার সেই কথাগুলো, কবিতাগুলো কিছু পাঠকও (বোদলেয়ার যাদের যমজ ভাই বলেছেন) পড়ে!
লেখালেখি না করলে কী করতেন?
আমি ছোটোবেলায় মনে মনে ভেবেছিলাম যে আমি স্মাগলার হবো। শুনেছিলাম, স্মাগলাররা নাকি গোপনে সীমান্ত দিয়ে গোপন মালামাল পাচার করে। রহস্যময় লাগত তাদের কথা ভাবলে। কবিরাও তো অলৌকিক স্মাগলার, রহস্যময় সব শব্দ পাচার করে। আমি কবিতা না লিখলে স্মাগলারই হতাম, হয়তো।
জীবনের ব্যর্থতার কথা বলুন!
লেখক হওয়ার পথে আমি কবিতার মেদ এবং জঞ্জালাদিকেই প্রতিবন্ধকতার মতো দেখেছি ও পেয়েছি এবং অনেক কষ্ট করে সেগুলোকে অতিক্রম করে এসেছি। যা কিছু কবিতা নয় তাকে অতিক্রম করে কবিতায় ফেরাই কবির কাজ।
লেখক হওয়ার পথে যে প্রতিবন্ধকতা জয় করেছেন?
‘জীবন’ শব্দটাই তো ব্যর্থতা। মানুষ অনেক সাধ্যসাধনা করে তাকে কিছুটা সার্থক করার চেষ্টা করে। আমিও কিছুটা করেছি। কিছুটা করিওনি।
এখনো অপূর্ণ যে স্বপ্ন?
মানুষের স্বপ্ন পূর্ণ হয় না। আমি কবিতায় কিছু স্বপ্নকে হয়তো পূর্ণ করতে পেরেছি। আর সেই স্বপ্ন আমাকে ঘুমোতে দেয় না!
পাঠকের ভালোবাসা কেমন পান?
আমি কোনো জনপ্রিয় ধারার কবি নই, তারপরও পাই কিছু কিছু। সেটাও কম নয় বলে মনে করি।
যে গল্প এখনো হয়নি বলা?
হা হা হা আমি গল্পও লিখি। ওগুলোর ঝুঁকে থাকাটা কবিতার দিকে। তোমার প্রশ্নটি বুঝতে পারিনি ভেবেছো? পেরেছি। আসলে সেই গল্পটি আর বলাই হয় না, আসলেই বলা হয় না।
কবিতা সম্পর্কে আপনার নিজস্ব সংজ্ঞা কী?
অলৌকিক শব্দগুচ্ছের নাম কবিতা।
বারবার কোন বই পড়ার ইচ্ছে তাড়িত করে?
কবি তাড়িত না হলে তবে কে আর তাড়িত হতে পারে তার সমান! আমি খুব বেছে বেছে বই পড়ি এবং সেগুলো বারবার পড়ার জন্যও তাড়িত হই। আমার প্রিয় বইগুলো বারবার ঘুরেফিরে আমার বিছানায়, বালিশের আশপাশে চলে আসে। আমার বেছে নেয়া বইগুলো অনন্তযৌবনা।
কোন বাণী আপনাকে এখনো উজ্জীবিত রাখে?
‘হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল, তুুুুুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো, অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো।’
Ñ মেজবাহ মুকুল


কবি-লেখকদের একটি মিলনক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আমার : শাহুুুুুীন রেজা
কেন লিখতে এলেন?
আমার আব্বা খুব ভালো কবিতা আবৃত্তি করতেন। তার আবৃত্তি শুনতে শুনতে ছড়া-কবিতায় আকৃষ্ট হই। একদিন কাটাকাটি করতে করতেই দেখলাম একটা ছড়া হয়ে গেছে। আব্বাকে ভয়ে ভয়ে দেখালাম। তিনি খুশি হয়ে পিঠ চাপড়ে দিলেন। সেই শুরু। এরপর আর থেমে থাকিনি।
লেখালেখি না করলে কী করতেন?
আর তো কিছু শিখিনি। আমার মনে হয়, কলম ধরার জন্যই আমার জন্ম হয়েছিল। কবি জন্মই আমার নিয়তি। একে এড়াই কি করে?
আবৃত্তির ওপর এত তৃষ্ণা কেন?
কবিতাকে মর্মে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তার যথার্থ পাঠ জরুরি। যথাযথ আবৃত্তি একটি কবিতাকে যতটা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেÑ অন্য কিছুতে না নয়। তাই আবৃত্তির প্রতি এই পক্ষপাত।
জীবনের ব্যর্থতার কথা বলুনÑ
আমার মনে হয় আমি যা লিখতে চাই, তা পরিপূর্ণভাবে লেখা হয়ে ওঠে না। এ জন্য একটা অতৃপ্তি সারাক্ষণ আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। এ ছাড়া তেমন কোনো ব্যর্থতা আমার নেই। আমি সত্যিই একজন পরিপূর্ণ মানুষ। আমার কোনো শূন্যতা নেই।
লেখক হওয়ার পথে যে প্রতিবন্ধকতা জয় করেছেনÑ
আমার যেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতাও নেই। অতীতেও ছিল না। তাই জয় করার প্রশ্নও আসে না।
এখনো অপূর্ণ যে স্বপ্নÑ
প্রত্যেকের জীবনেই কিছু স্বপ্ন থাকে, যা কখনোই পূর্ণ হয় না। আমার জীবনেও যে নেই Ñ তা বলি না। তবে সে সব উল্লেখ করতে চাই না। যতটুকু পেয়েছি তাতেই আমি তৃপ্ত, সন্তুষ্ট। তবে একটা জিনিস, কবি-লেখকদের জন্য একটি মিলনক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আমার চিরকালের। হয়তো সেটা স্বপ্নই থেকে যাবে।
পাঠকের ভালোবাসা নিয়ে কিছু বলুন
পাঠকের ভালোবাসা আছে বলেই হয়তো এখনো বেঁচে আছি। কলম চলছে, কবিতা বেরুচ্ছে। আসলে একজন লেখকের বেড়ে ওঠা এবং বেঁচে থাকার জন্য পাঠকের ভালোবাসা একান্ত জরুরি। আমি ভাগ্যবান, সেটা থেকে বঞ্চিত হইনি।
বারবার পড়তে ইচ্ছে হয় এমন কোনো বই?
মাক্সিম গোর্কির ‘মা’ আর আল মাহমুদের ‘কবিতা সমগ্র’। এ দুটো যত পড়ি তত আবার পড়তে ইচ্ছে হয়।
কবিতা সম্পর্কে আপনার নিজস্ব ভাবনা কী?
একজন মানুষের আপন হৃদয়ে বেড়ে ওঠা যে নিভৃতি সেটাই কবিতা। জন্মগতভাবে সব মানুষই কবি। কেউ কেউ তার প্রকাশ ঘটাতে পারেন, কেউ কেউ পারেন না। কবির জন্ম ঘটে পারিপার্শ্বিকতা থেকে। চারপাশের চলমান ঘটনাপঞ্জি থেকে শুরু করে আত্মার নিভৃতি, বিশ্বাস, বিশ্ব ও বিধাতা, প্রকৃতি এবং ভালোবাসাÑ সব কিছুই উঠে আসতে পারে এর উপাদান হিসেবে।


আরো সংবাদ



premium cement