বিস্মৃত বর্ষার আকাশ
- এ কে আজাদ
- ১৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০
একদা উপচে পড়া বর্ষা এসে ভিজিয়ে দিত রাত্রির শরীর!
বিলের থৈ থৈ পানিতে সাঁতার কাটত একটা আবেশী ডাহুক।
দিনমান ডাকাডাকি আর সোরগোলে মুখর থাকতো সারাটা মাঠ!
শয্যার বর্ণিল আয়োজনে হেসে উঠতো আপ্লুত বাসর!
আর রাত্রি শেষে মাঠের ওপারে শুকনো আলের ওপরে
বসত বকেদের গানের আসর।
আজ সে বিল নেই, মাঠ নেই, নেই উপচানো বর্ষার হৈ চৈ!
কেবলই দুঃস্বপ্নের আঁধারে জেগে থাকা ঝিঁঝিঁদের উৎপাত!
এলোমেলো রাত্রি শেষে একদল দাঁড়কাকের চিৎকারে
ছিঁড়ে যাওয়া ভোরের আলখেল্লা থেকে উঠে
আসে বিষণœ সূর্যের কিরণ!
মাস্তুল ভাঙা বাতাসের সাথে মিশে যায় একটা দীর্ঘশ্বাস!
শকুনের লোভে কর্পুরের মতোন উবে যায় এক মিনার বিশ্বাস!
একবাটি দুধে পেট ভরে না লোভী হুলোটার!
হাজার কালিতেও গায়ে দাগ লাগে না কুলটার!
এমনই সময় এখন আষাঢ়ের চোখে কালো কাপড় বাঁধে,
রৌদ্রের খরতাপে বসে কেবলই শ্রাবণ কাঁদে!
সুখের সরোবরে পূর্ণিমা নেই, মন খারাপের ভাটা!
গানের পাখিরা উড়ে গেছে, পড়ে আছে শুধুই পালকের ছটা!
এভাবেই বসন্তের বদলে চৈত্রের খরতাপ আসে,
এক জোড়া মলিন চোখ কেবলই চেয়ে থাকে
জ্বলে যাওয়া বিস্মৃত বর্ষার আকাশে!
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা