২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গানের পাখি নজরুল

-

তাঁকে বলা হয় স্বশিক্ষিত প্রখর শ্রুতিধর। তিনি যেখানে যা পেয়েছেন সর্বান্তকরণে তা কুড়িয়ে পেয়েছেন সযতেœ আর তা গেঁথে নিয়েছেন জীবন-মালায় একজন নিত্যশিক্ষার্থীর মতো। জন্মগতভাবেই তিনি সুরের মোহন বাস্তুকারের আশীর্বাদে পুষ্ট হয়েছিলেন। না হলে শুধু গুরুমুখী বা একাডেমিক শিক্ষায় এটি সম্ভব হওয়ার কথা কি? মোটেই না। বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সঙ্গীত সমালোচক নারায়ণ চৌধুরী একটি নিবন্ধে লিখলেন,
‘আমরা তো গান শুনি না, গানের কথা শুনি। মুগ্ধ হয়ে ভাবি, গানের সুরের প্রেমে মুগ্ধ হয়েছি। নজরুলের গানে সুরের জাদুর কথা ছেড়েও যদি দেয়া যায়, এত বিচিত্র শ্রেণীর গান কি আর কোনো সুরকার রচনা করেছেন? তিন হাজার গান তো আর অমনি হয়নি?’
ধর্মাচারী পরিবারের সন্তান নজরুল তাঁর নিজ ধর্মসাহিত্য পুস্তকাদি তো পড়তেনই। তার ওপর কুরআনের পাশাপাশি রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ আর ভগবত তিনি সেই অল্পবয়স থেকে পড়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই অত্যল্প সময়টুকুর মধ্যে তাঁর গূঢ় উপলব্ধি এলো কোথা থেকে! আর সাঙ্গীতিক গুণাবলি যে তাকে আরেক মহিমায় ভরপুর করে উদ্ভাসিত করে তুলেছিল সেই অল্পবয়স থেকেই সেই বিষয়টি কিরকম আশ্চর্য হওয়ার মতোন? এতসব তিনি কখন পড়লেন, শিখলেন এবং নিজের ভেতর ধারণ করলেন? অর্থাৎ ধর্ম ও শিল্প-সাহিত্য সব একই রকমভাবে তাকে একজন অলৌকিক মানবে রূপদান করেছিল। তার মেধা ও সুরপ্রীতির কথা অসাধারণ কবিত্বশক্তি ও একই সাথে রাগ-সঙ্গীতের প্রতি অগাধ প্রতিভূস্বরূপ ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গীতজীবনের সূত্রপাত গজল গান দিয়ে। যদিও বালক বা কিশোর বয়সে লেটো, ভক্তিগীতি, চাষার সং, কবিগান দিয়ে সঙ্গীত ও ছন্দ প্রতিভা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু আর একটু বয়সে অর্থাৎ সমাগত যৌবন বয়সে গজল গানে তাঁর প্রথম প্রকাশ। তারপর ক্রমে ক্রমে কাওয়ালি, নাত, হামদ, নাতিয়া গজল, ভজন, শ্যামা, ভক্তিগীতি, আধুনিক দেশাত্মবোধক, লোকসুরের গান, ইসলামী, রাগপ্রধান, ভাঙার গান, ঠুংরি, খেয়াল, ছোটোদের গান, আধুনিক গান, বিদেশী সুর, মার্চের সুর, নারী জাগরণের গান, উদ্দীপনা গান এমনকি হাসির গানেও তাঁর জুড়ি নেই। এসব কত সহজেই তিনি সৃষ্টি করেছেন তার সহজ স্বভাবসুলভ বৈশিষ্ট্যে।
শুধু এটুকু বললেই অনেক হয় না আরো বহু রকমের গানও তিনি লিখেছেন এবং সুর করেছেন। মজার ব্যাপার তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের গান রচনা করেছেন এবং সুর দিয়েছেন।
একবার একজন বিখ্যাত ওস্তাদের গান শুনতে গিয়েছিলেন কলকাতার এক ধনীর বাড়িতে। ওস্তাদজির গান কী অপূর্ব সুন্দর। যে গানের মধ্যে ইমন ও ভৈরবী রাগের অদ্ভুত সমন্বয় সাধিত হয়েছে। কাজী নজরুল তখন ওই ওস্তাদজিকে গানটি তাকে শিখিয়ে দেয়ার অনুরোধ করলেন। বিনিময়ে তিনি বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করলেন। যার ক্ষমতা কাজী নজরুলের থাকার কথা নয়। পরের দিন তিনি আবার ওই আসরে গেলেন। ওস্তাদজি তখনো গান শুরু করেননি। কাছে গিয়ে বললেন, ‘ওস্তাদজি আপনাকে একটা বাংলা গান শোনাতে চাই, দয়া করে অনুমতি দেবেন কি? ওস্তাদজি তো অবাক। উনি গানটি গেয়ে শোনালেন। আসলে সেই গানটি ছিল ওস্তাদজির আগের দিনের গাওয়া গানের সুরের হুবহু গান- কিন্তু বাংলা। ইমন ও ভৈরবীর সমন্বয়ে ধানশ্রী।
‘সন্ধ্যা-মালতী যবে ফুল বনে ঝুরে
কে আসি বাজালে বাঁশি ভৈরবী সুরে’
মজার ব্যাপার হলো এ গানটির কথার সাথে রাগের অঙ্গাঙ্গি মিলমিশ এক্কেবারে আটকে রাখে শ্রোতাকে। যেমনÑ
সাঁঝের পূর্ণ চাঁদে অরুণ ভাবিয়া
পাপিয়া প্রভাতী সুরে উঠিল গাহিয়া,
ভোরের কমল ভেবে সাঁঝের শাপলা ফুলে
গুঞ্জরে ভ্রমর, ঘুরে ঘুরে
বিকালের বিষাদে ঢাকা ছিল বনভূমি
সকালের মল্লিকা ফোটাইলে তুমি
রাঙিল ঊষার রঙ্গে গোধূলি লগন
শোনালে আশার বাণী বিরহ-বিধুরে।
অপূর্ব- অপূর্ব এই গীতাংশ এবং সুরারোপ। আমাদের দিনরাত্রের চার প্রহরে দুটো সন্ধিক্ষণ আছে। এই দুই প্রহরের সন্ধিক্ষণকে বলা হয় সন্ধিপ্রকাশকাল। বিভিন্ন রকম রাগরাগিণীর ভেতরও সন্ধিপ্রকাশ রাগরাগিণী আছে। আর প্রত্যেকটি প্রহরের সাথে এক-একটা রাগেরও নিবিড় সম্পর্ক আছে এবং তার পূর্ণপ্রকাশ ঘটে। এই গানটিতেও সে-রকম সন্ধিপ্রকাশবোধক শব্দাবলি চয়ন করা হয়েছে। এটি একটি একেবারেই ব্যতিক্রমী গীত কাজী নজরুলের। তেমনি সুরের ব্যাপারটিও। এতে প্রস্ফুটিত সকালের আলোর নরম সুর ঘুম ভাঙার সুরের স্বরগ্রাম এবং বিকাল-সাঁঝের পড়ন্ত বেলার বিষাদ ছায়ার ম্রিয়মাণতার করুণ সুরÑ এই দুই সন্ধিপ্রকাশ সময়ের চেহারাটা বাস্তুবদর্শনেও কিন্তু এরকমই মনে হয়। হঠাৎ গভীর ঘুম ভেঙে গেলে সকাল নাকি বিকাল এটি ঠাওরাতে আমাদেরও কিন্তু কয়েক মুহূর্ত সময় লেগে যায়। বাস্তবেও কখনো কখনো। সেখানে ভ্রমরের যদি ভ্রান্তি আসে ভোরের কমলকে সাঁঝের শাপলা ভেবে, ভ্রমরের দোষ কী? যা হোক এরকম অনেক ঘটনার প্রেক্ষাপট আছে এক একটি গান রচিত হওয়ার পেছনে।
গজল গানের কথা বলতে গেলে তাঁর রচিত বিখ্যাত সব গজলগুলোর মধ্যে কয়েকটি
১. বাগিচায় বুলবুলি তুই
ফুল শাখাতে দিসনে আজি দোল।
২. মৃদুল বায়ে বকুল ছায়ে
গোপন পায়ে কে ঐ আসে।
৩. চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না।
এ নয়ন পানে।
৪. এতজল ও কাজল চোখে
পাষানি আনলে বল কে।
৫. উচাটন মন ঘরে রয়না
ডাকে পথে বাকা তব নয়না।
৬. করুণ কেন অরুণ আঁখি
দাও গো সাকী দাও শরাব।
৭. শূন্য আজি গুলবাগিচা।
যায় কেঁদে দক্ষিণ হাওয়া।
৮. আমারে চোখ ইশারায়
ডাক দিলে হায় কে গো দরদী।
৯. মদির আবেশে
কে চলে ঢুলুঢুলু আঁখি।
১০. মুসাফির মোছরে আঁখিজল
ফিরে চল আপনারে নিয়া।
১১. অতীত দিনের স্মৃতি
কেউ ভোলে না কেউ ভোলে।
১২. তোমার কুসুম বনে আমি
আসিয়াছি ভুলে
ইত্যাদি আরো অনেক। এছাড়া বহু ইসলামী গজলগুলো তো আছেই। দারুণ রকমের সেই গানগুলো। কয়টির নাম উল্লেখ করি
১. বাজলো কিরে ভোরের সানাই
নিদ মহলার আঁধার পুরে।
২. তোমার নামে একি নেশা
হে প্রিয় হজরত।
৩. বক্ষে আমার কাবার ছবি
চক্ষে মোহাম্মদ রসুল
৪. বহিছে সাহারায় শোকেরই লু হাওয়ায়
কাঁদে অসীম আকাশ আকুল রোদনে।
৫. মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লেআলা।
তুমি বাদশার বাদশাহ কমলিওয়ালা।
৬. মোহাম্মদ মোর নয়নমণি
মোহাম্মদ নাম জপমালা।
৭. মোহাম্মদ নাম যতই জপি
ততই মধুর লাগে।
৮. মোহাম্মদের নাম জপেছিলি
বুলবুলি তুই আগে।
৯. খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী
বিশ্ব দুলালী নবী নন্দিনী।
১০. এ কোন মধুর শরাব দিলে
আল আরবী সাকী।
১১. খোদা এই গরিবের শোনো মোনাজাত
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠাণ্ডা পানি
ক্ষুধা পেলে লবণ ভাত।
আরো অনেক। এছাড়া ইসলামী জাগরণী গানগুলো বিশাল জায়গা নিয়ে আছে।
১. দিকে দিকে পুনঃ জ্বলিয়া উঠিছে।
দ্বীন ই ইসলামী লাল মশাল
ওরে বেখবর তুইও ওঠ জেগে
তুইও তোর প্রাণ-প্রদ্বীপ জ্বাল
২. শহীদী ঈদগাহে দেখ
আজ জমায়েত ভারী
হবে দুনিয়াতে আবার
ইসলামী ফরমান জারী।
৩. তৌফিক দাও খোদা ইসলামে
মুসলিম জাঁহা পুন হোক আবাদ।
দাও সেই হারানো সালতানত
দাও সেই বাহু সেই দি আজাদ।
৪. জাগে না সে জোশ ল’য়ে আর মুসলমান
হায় করিল জয় যে তেজ লয়ে দুনিয়া জাহান।
৫. বাজিছে দামামা
বাঁধরে আমামা
শির উঁচু করি মুসলমান
দাওয়াত এসেছে নয়া জামানার
ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।
ইসলামী ভক্তি গীতি, হামদ, না’ত এসবের সঙ্গে ইসলামী জাগরণী গানের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো।
আমাদের বাংলা-সঙ্গীতে কি এই সম্পদের কোনো তুলনা কিংবা উপমা আছে?
বিশেষ করে তাঁর সঙ্গীত রচনার স্বীয় প্রকরণ-পদ্ধতির মধ্যে খেয়াল, ঠুংরির সুরভঙ্গিতে তিনি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। তার প্রমাণ তাঁর হারামণি’, ‘নবরাগ ইত্যাদি। তাঁর সাথে সাথে তিনি হিন্দুস্তানি ঘরানা ভেঙেই একটা মুসলমানি ঘরানার প্রবর্তন করেছেন এটি তার আর একটা বড় বৈশিষ্ট্য। যেমন ধ্রুপদী ভারী আগল থেকে মুক্ত হয়ে জানালার ঘুলঘুলিতে মুখ-চোখ রেখে একটা অন্য রকমের হালকা আলো-বাতাসে আন্দোলিত হওয়া যেন।
উত্তর-ভারতীয় হিন্দুস্তানি সুরের সাথে দক্ষিণ-ভারতীয় হিন্দুস্তানি সুরের মেলবন্ধনে সৃষ্টি হয়েছে তার বিভিন্ন গান।
দু-একটা উপমা রাখছি ;
১. ‘নীরব কেন কবি ফুলের জলসায়
(ভৈরব, মালকোষ ও বিভাস রাগের মিশ্রণ)
২. ‘কাবেরী নদী জলে কে গো বালিকা’
(কর্নাটকি সামন্ত)
৩. ‘মেঘলানিশি ভোরে মন যে কেমন করে’
৪. ‘আমি পুরব দেশের পুরনারী’
(কর্নাটকি) ইত্যাদি।
আরো কত গানে তিনি একটি রাগের সাথে আরেকটি রাগ কিংবা অন্য প্রদেশের রাগটি যেমন মেশালেন তেমনি অন্য দেশের সুরও মিলিয়ে দিলেন এই চারণ কবি। আর আমাদের বাংলা গানের জগতে বিচিত্র এক গান-বাগানে সুরের বিচিত্র ফুল শোভিত হতে লাগল। যে ফুল কণ্ঠে কণ্ঠে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে নানা রঙে, নানা ঢঙে।
কাজী নজরুল স্বশিক্ষিত বটে, তবে মেধা ও তীক্ষè স্মৃতিশক্তি ও জন্মগত জ্ঞান তাঁকে এই অনির্বচনীয় সৃষ্টির ধারক বলে মানুষের জন্যই আল্লাহ তায়ালা তাঁকে দান করে দিয়েছেন। এই স্বীকারোক্তি করতে আমরা কুণ্ঠিত কেন, আজও জানি না। যিনি বললেন, ‘আমাকে কেবল মুসলমান বলে দেখবেন না। আমি যদি আসি, আসব হিন্দু-মুসলমান সব জাতির ঊর্ধ্বে যিনি একমেবাদ্বিতীয়ম, তাঁরই দাস হয়ে।’
তাঁর লেখা তিন হাজার গানের অধিকাংশ গানে সুর দিয়ে নানা অনুষ্ঠানে সেসব গান শুনিয়েছেন, বলেছেনÑ
আমি কবি। বনের পাখির মতো স্বভাব আমার গান করার। কাহারও ভালো লাগিলেও গাই, ভালো না লাগিলেও গাহিয়া যাই। বায়স-ফিঙে যখন বেচারা গানের পাখিদের তাড়া করে, সে আর এক গাছে গিয়া গান করে। তার সমবয়সী বিশিষ্ট গায়ক ও সুরকার, দীলিপকুমার রায় কাজী নজরুলের প্রচণ্ড জনপ্রিয়তার কথা বলেছিলেনÑ
নজরুল এমন গাইত, যে ভাঙা গলাকেও ভাঙা বলে মনে হতো না। আগুন ছুটিয়ে দিত সে। এমন প্রাণোন্মাদী গায়ক কি আর দেখব এমন মরা যুগে! তাঁর প্রিয় বন্ধু পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ‘চলমান জীবন’ গ্রন্থে এক জায়গায় লিখছেন, ঘর কাঁপিয়ে, মাথা ঝাঁকিয়ে, সর্বাঙ্গ দুলিয়ে গেয়ে চলল নজরুল। প্রতিটি কথা স্পষ্ট, জোর করে উচ্চারণ করছে যেন সুরের তলায় কথা চাপা না পড়ে।
এত জানার পরও কী করে বলি আমরা নজরুলের গানের বাণীর প্রাধান্য নাই আছে সুরের। আমি বলি এ ধরনের কথার উত্থাপন দেখে দুঃখ হয় ভীষণ, দুঃখ হয়। ‘শনিবারের চিঠি’ যাদের ব্যঙ্গের আঘাত থেকে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত রেহাই পাননি সেই শনিবারের চিঠির অন্যতম লেখক পরিমল গোস্বামী পর্যন্ত নজরুলের গানের প্রশংসা না করে পারেননি। বললেন,
গাইবার সময় নজরুল মেতে উঠতেন। হরিঘোষ স্ট্রিটের বাড়িতে বসে তার গান শুনেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গলা মধুর ছিল না, কিন্তু গানের মধ্যে এমন প্রাণ ঢেলে দিতেন যে, মুগ্ধ না হয়ে পারা যেত না।
তাই তো নজরুল নিজেই ঠাট্টার সুরে বলেছিলেন, ‘আমি তো গলা দিয়ে গাইনে, গান করি আমার কলজে দিয়ে।’
নজরুল প্রতিভার কথা বলে বা পড়ে তো কোনো উপসংহারে আসা যায় না। তাঁর কবিগুণ নাকি সঙ্গীতগুণ এগুলো নিয়ে একপেশে আলোচনা করাও ভারি মুশকিল। কারণ গানের সাথে কবিতা, কবিতার সাথে গান, বাণীর সাথে সুর, সুরের সাথে বাণী অঙ্গাঙ্গিভাবে লতিয়ে আছে। আলাদা করা সম্ভব না এবং এই সব মনন বা চেতনার ঢেউ জেগে উঠেছে বিপ্লবী সমুদ্রে। যেখান থেকে সৃষ্ট নব নব স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়েছে সমগ্র জাতিধর্মনির্বিশেষে সবার মধ্যে। যার ফলস্বরূপ বাঙালি জাতিসত্তা, এই গভীর প্রাথিত শিকড়ের অনুসন্ধান এবং স্বীকৃতিকে আমরা অস্বীকার করি কিভাবেÑ
‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী
আর হাতে রণতূর্য’
এইতো নজরুল। এইতো নজরুলের পরিচয়। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪ গফরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ রংপুরে মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি, অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে : ধর্মমন্ত্রী সিলেটে ৪৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৪ অবৈধ সম্পদ : এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জুন

সকল