২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বুকার লংলিস্ট ঘোষণা শর্টলিস্টে থাকছেন কারা

-

সম্প্রতি প্রকাশিত বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজের লংলিস্ট নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা জল্পনা কল্পনা এখন লল্ডনের সাহিত্য অঙ্গনের হট ইস্যু। এক দিকে নতুন পুরনো সব লেখকই আছেন তালিকায়। সেটা নিয়মিতই হয়ে থাকে। ১৩টি বইয়ের এই দীর্ঘ তালিকায় আছেন ইরান, স্পেন, ফরাসি, আর্জেন্টিনা, নরওয়ে, জার্মানি, জাপান, নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকার লেখক-লেখিকারা। দেশের দিক থেকে এই তালিকা বেশ বৈচিত্র্যময়ই বলতে হবে। বিশেষ করে নামী-দামি প্রকাশকের বই কম থাকায় সমালোচনাও হচ্ছে।
বুকার পুরস্কারের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজের প্রবর্তন করা হয়। বিদেশী লেখক-লেখিকাদের ইংরেজিতে অনূদিত ও যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ড থেকে প্রকাশিত বই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত। প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয়া হয়। আর এই পুরস্কারে অনুবাদককেও যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়। পুরস্কারের ৫০ হাজার পাউন্ড মূল লেখক ও অনুবাদককে ভাগ করে দেয়া হয়। এই পুরস্কারের টাইম লাইন বুকার পুরস্কারের থেকে আলাদা। বুকার দেয়া হয় নোবেলের পরপরই। আর আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার দেয়া হয় মে মাসে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৩টি বইয়ের দীর্ঘ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল সেখান থেকে ৬টি বইয়ের শর্টলিস্ট প্রকাশিত হবে। আর পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ১৯ মে। এ বছর বিচারকমণ্ডলীতে চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন লেখক গবেষক টেড হডকিনসন। সদস্যরা হলের জীত থাইল, লুসি ক্যাম্পোস, জেনিফার ক্রফট ও ভ্যালেরিয়া লুসেলি। শেষোক্ত তিনজন নারী। আর তারা সবাই লেখক-লেখিকা গবেষক হিসেবে সুপরিচিত।
বুকারের দীর্ঘ ইতিহাসে দেখা যায় বহু নামী-দামি লেখক ব্রিটেনের এই মর্যাদাবান পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। নতুন নতুন লেখকও পেয়েছেন এই পুরস্কার। নোবেল পুরস্কারের পর বুকার পুরস্কারকেই সবচেয়ে মর্যাদা ও আর্থিক দিক থেকে মূল্যবান পুরস্কার মনে করা হয়। গত বছর এ পুরস্কারের ৫০ বছর পূর্তি লন্ডনে জাঁকজমকের সাথে উদযাপিত হয়। মাঝখানে স্পন্সর পরিবর্তনের ফলে এই পুরস্কারের নাম হয়েছিল ম্যান বুকার। আবার স্পন্সর পরিবর্তন হওয়ায় গত বছরের জুনে স্বনামে অর্থাৎ বুকার নামে ফিরেছে এই পুরস্কার। নতুন স্পন্সর পুরস্কারের নামে তাদের নাম যুক্ত করেনি, যেমনটা করেছিল ম্যান গ্রুপ পিএলসি। তারা ১৮ বছর এই পুরস্কারের সফল স্পন্সর ছিল। বলে রাখা ভালো নতুন স্পন্সর হলো ক্র্যাংকস্টার্ট। এটি একটি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন। এর প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল মরিটজ এবং তার স্ত্রী হ্যারিয়েট হেম্যান। আর বলাই বাহুল্য ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজের বয়স কম। ২০০৫ সালে চালুর পর প্রতি দুই বছরে একবার দেয়া হতো। ২০১৬ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে প্রতি বছর। ২০০৫ সালে প্রথম বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ পান আলবেনিয়ার ইসমাইল কাদারে। বাংলা ভাষাতেও তার বই অনূদিত হয়েছে।
এ বছরের লংলিস্ট একটু দেখে নেয়া যাক। এই তালিকায় আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইলেম অ্যাংকার। তার বইয়ের নাম ‘রেড ডগ’, অনুবাদ করেছেন মাইকেল হেইন্স। প্রকাশক পুশকিন প্রেস। ইরানের লেখিকা শোকোফেহ আজর আছেন তার বই ‘দি এনলাইটেনমেন্ট অব দ্য গ্রিনগেজ’ নিয়ে। অনুবাদকের নাম অজ্ঞাত, প্রকাশক ইউরোপা। আর্জেন্টিনার লেখিকা কাবেজন কামারার বইয়ের নাম ‘দি অ্যাডভেঞ্চার অব চায়না আয়রন’। স্পেনিশ ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন লোনা মেকিনটায়ার ও ফিওনা ম্যাকিনটস। প্রকাশক চারকো প্রেস। নরওয়ের জন ফসি আছেন তার ‘ দি আদার নেম : সেপ্টোলজি ১-২’ নিয়ে। অনুবাদক ড্যামিওন সিয়ার্লস। আর প্রকাশ করেছে ফিটকারাল্ডো। জর্জিয়ার লেখিকা নিনো হারাটিশভিলের বইয়ের নাম ‘ দি এইটথ’। জার্মান থেকে অনুবাদ করেছেন চার্লট কলিন্স ও রুথ মার্টিন। প্রকাশক স্ক্রাইব ইউকে। ফ্রান্সের মিশেল হলিবেক আছেন তার বই ‘সেরোটোনিন’ নিয়ে। অনুবাদ শাউন হোয়াইটসাইড। প্রকাশক উইলিয়াম হেনিম্যান। জার্মান লেখক ড্যানিয়েল কেহলম্যান এর বই হচ্ছে ‘টাইল’। অনুবাদক রস বেঞ্জামিন। প্রকাশক কুয়ারকাস। মেক্সিকোর লেখিকা ফারনান্ডো মেলকরের বইয়ের নাম ‘হারিকেন সিজন’। স্পেনিশ থেকে অনুবাদ করেছেন সোফি হিউজ। আর প্রকাশ ফিজকারাল্ডো। জাপানের ইয়োকো ওগাওয়ার বইয়ের নাম ‘দি মেমোরি পুলিশ’। অনুবাদক স্টিফেন স্নাইডার আর প্রকাশক হারভিল সেকার। ফ্রান্সের আরেক লেখক ইমানুয়েলি পাগানোর বই ‘ফেসেস অন দ্য টিপ অফ মাই টাং। অনুবাদ করেছেন সোফি লুইস ও জেনিফার হিগিন্স। প্রকাশক পিরিন প্রেস। আর্জেন্টিনার আরেক লেখিকা সামান্তা স্কুইবিনের বইয়ের নাম ‘লিটল আইজ’। স্পেনিশ থেকে অনুবাদ করেছেন মেগান ম্যাকডোয়েল। আর প্রকাশক ওয়ানওয়ার্ক। নেদারল্যান্ডসের মেরিক লুকাস রিনেভেল্ডের বই হচ্ছে ‘দি ডিসকমফোর্ট অব ইভনিং’। অনুবাদ করেছেন মাইকেলি হাচিসন। আর প্রকাশ করেছে ফেবার অ্যান্ড ফেবার। তালিকার শেষ বই স্পেনের এনরিক ভিরা মাতাসের ‘ম্যাক অ্যান্ড হিজ প্রবলেম’। অনুবাদ করেছেন মার্গারেট জুল কস্টা ও সোফি হিউজ। প্রকাশক হারভিল সেকার।
তালিকায় দেখা যাচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ফান্সের দু’জন করে লেখক-লেখিকা আছেন। আর্জেন্টিনার দু’জনই লেখিকা। এ ছাড়া আরো কয়েকজন নারী আছেন। দেখা যাচ্ছে যারা এবার তালিকায় আছেন সেসব দেশের মধ্যে অধিকাংশ দেশেরই কোনো লেখক-লেখিকা এই পুরস্কার পাননি। ফলে এ বছর নতুন কোনো দেশ পুরস্কার পেতে পারে। দেশ না বলে নতুন কোনো দেশের লেখক-লেখিকা বলাই ভালো। কে পাবেন, তার আগে শর্টলিস্টে কারা থাকবেন এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। জাপান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার কোনো লেখক দেখা যাচ্ছে না। আরেকটি কথা সবাই বলছেন, এবার বড় প্রকাশনা সংস্থার বই কম। অনেক প্রকাশনা সংস্থাই নতুন অথবা তেমন নাম করা নয়। জল্পনা-কল্পনা যতই চলুক চূড়ান্ত জল্পনা-কল্পনা শুরু হবে শর্টলিস্ট প্রকাশ হওয়ার পর। ফলে ২ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। হ


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল