২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট পদে নিয়োগ

-

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৮৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সÑদ্বিতীয় পর্বে পুরুষ ও মহিলা অফিসার ক্যাডেট নিয়োগের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে।
আবেদনের শেষ তারিখ : ২৭ নভেম্বর ২০১৯। আবেদন করতে ভিজিট করুন : যঃঃঢ়ং:// লড়রহনধহমষধফবংযধৎসু.ধৎসু.সরষ.নফ। লিখেছেন মাহমুদ কবীর

আবেদনের যোগ্যতা : বয়স : ১ জুলাই ২০২০ তারিখে ১৭-২১ বছর (এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়)। সশস্ত্রবাহিনীতে কর্মরত প্রার্থীদের জন্য ১৮-২৩ বছর ।
শারীরিক যোগ্যতা : পুরুষ প্রার্থী : উচ্চতা : ১.৬৩ মিটার (৫ ফুট ৪ ইঞ্চি), ওজন : ৫৪ কেজি (১২০ পাউন্ড), বুক : স্বাভাবিক অবস্থায় ০.৭৬ মিটার (৩০ ইঞ্চি), প্রসারণ অবস্থায় ০.৮১ মিটার (৩২ ইঞ্চি)।
মহিলা প্রার্থী : উচ্চতা : ১.৫৭ মিটার (৫ ফুট ২ ইঞ্চি), ওজন : ৪৭ কেজি (১০৩ পাউন্ড), বুক : স্বাভাবিক অবস্থায় ০.৭১ মিটার (২৮ ইঞ্চি), প্রসারণ অবস্থায় ০.৭৬ মিটার (৩০ ইঞ্চি)।
শিক্ষাগত যোগ্যতা : জাতীয় মাধ্যম : এসএসসি ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় সর্বমোট জিপিএ ৯.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
ইংরেজি মাধ্যম : ইংরেজি মাধ্যমের প্রার্থীদের জন্য ‘ও’ লেভেলে ৬টি বিষয়ের মধ্যে কমপক্ষে ৩টিতে অ গ্রেড ও ৩টিতে ই গ্রেড থাকতে হবে এবং ‘এ’ লেভেলে ২টি বিষয়েই ন্যূনতম ই গ্রেড থাকতে হবে। অথবা ‘ও’ লেভেলে ৬টি বিষয়ের মধ্যে কমপক্ষে ২টিতে অ গ্রেড, ৩টিতে ই গ্রেড ও ১টিতে ঈ গ্রেড থাকতে হবে এবং ‘এ’ লেভেলে ২টি বিষয়ের মধ্যে কমপক্ষে ১টিতে অ গ্রেড ও ১টিতে ই গ্রেড থাকতে হবে।
বৈবাহিক অবস্থা : প্রার্থীদের অবিবাহিত হতে হবে।
জাতীয়তা : জন্মসূত্রে বাংলাদেশী হতে হবে।
প্রার্থীর অযোগ্যতা : সেনা/নৌ/বিমান বাহিনী অথবা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত/ বরখাস্ত/স্বেচ্ছায় পদত্যাগ গ্রহণ। আইএসএসবি কর্তৃক দুইবার স্ক্রিন্ড আউট/ প্রত্যাখ্যাত (একবার স্ক্রিন্ড আউট ও একবার প্রত্যাখ্যাতরা আবেদন করতে পারবেন)। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য ঘোষিত প্রার্থীরা আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। যেকোনো ফৌজদারি অপরাধের জন্য আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হলে। প্রতিটি চোখের দৃষ্টিক্ষীণতা ও দূরদৃষ্টি ২.৫ ডাইঅপ্টারের বেশি এবং বিষমদৃষ্টি ১.০ ডাইঅপ্টারের বেশি হলে সেক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন এবং প্রার্থীর বয়স ১৯ বছর হওয়ার আগে ল্যাসিক করা হলে গ্রহণযোগ্য নয়। ল্যাসিক অপারেশনের তারিখ থেকে চোখ পরীক্ষার তারিখের মধ্যে ন্যূনতম ছয় মাস অতিবাহিত হতে হবে।
আবেদন করার পদ্ধতি : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট যঃঃঢ়ং://লড়রহনধহমষধফবংযধৎসু. ধৎসু.সরষ.নফ-এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে গিয়ে ঐড়সব চধমব-এর ওপরে ডান কোনায় অঢ়ঢ়ষু ঘড়-িতে ক্লিক করে ৮৪ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে (দ্বিতীয় পর্ব) অঢ়ঢ়ষু করতে হবে। আবেদনকারী প্রার্থীরা ঞৎঁংঃ ইধহশ ঃ-পধংয, ঠওঝঅ/গধংঃবৎ ঈধৎফ, বিকাশ, জড়পশবঃ ইত্যাদির মাধ্যমে ১০০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়াতেই ওয়েবসাইটে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক সাক্ষাৎকারের কল-আপ লেটার পাওয়া যাবে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও মৌখিক পরীক্ষার
তারিখ : প্রাথমিক নির্বাচনী (স্বাস্থ্য ও মৌখিক) পরীক্ষা আগামী ১ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হবে। কোনো প্রার্থী পরীক্ষার দিন উপস্থিত হতে না পারলে বর্ণিত সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন উপস্থিত হয়ে ওই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি আগেই সরাসরি নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে জানাতে হবে।
লিখিত পরীক্ষা : প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে সাক্ষাৎকারপত্রে উল্লিখিত স্থানে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ (শুক্রবার) তারিখে যঃঃঢ়ং:// লড়রহনধহমষধফবংযধৎসু.ধৎসু.সরষ.নফ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
আইএসএসবি পরীক্ষা : লিখিত পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত আইএসএসবির কাছে পরীক্ষা/সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে হবে। পরীক্ষা/ সাক্ষাৎকারের তারিখ আইএসএসবির ওয়েবসাইটে িি.িরংংন-নফ.ড়ৎম তে প্রকাশ করা হবে। এই পরীক্ষা চার দিনে সম্পন্ন হবে এবং যাবতীয় ব্যয় সরকার কর্তৃক বহন করা হবে।
চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা : অইএসএসবি পরীক্ষা চলাকালীন প্রার্থীদের চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
চূড়ান্ত নির্বাচন ও যোগদান নির্দেশিকা
প্রদান : উপরি উক্ত সব পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে শূন্য আসনের অনুকূলে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থীদের সেনা সদর, এজি শাখা, পিএ পরিদফতর কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ঘোষণা ও পরে যোগদান নির্দেশিকা প্রদান করা হবে।
বিএমএ প্রশিক্ষণ : ক্যাডেটরা একাডেমিতে ৩ বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
বিএমএতে প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এমআইএসটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিসমূহÑ ১. ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ঊঊঈঊ),
২. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ঈঝঊ), ৩. মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (গঊ), ৪. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (ঈঊ) এবং
ইটচ-তে (১. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ২. অর্থনীতি,
৩. পদার্থবিদ্যা, ৪. বিবিএ) স্নাতক (সম্মান) বিষয়ে পড়াশোনা করবেন।
চতুর্থ বছরে বিএমএ/এমআইএসটিতে অবস্থান করে অফিসার হিসেবে স্নাতক (সম্মান)/ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিসমূহ শেষ করবেন।
কমিশন প্রাপ্তি : প্রশিক্ষণ শেষে অফিসার ক্যাডেটরা লেফটেন্যান্ট পদবিতে কমিশন পাবেন।
বেতনভাতা : সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী ক্যাডেটরা বেতনভাতা প্রাপ্ত হবেন। পরে কমিশনপ্রাপ্তির পর লেফটেন্যান্টের বেতনভাতা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।
সুযোগ-সুবিধা : প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্যায়ে এবং কমিশন প্রাপ্তির পর মেধাবী ক্যাডেট ও অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে গমনের সুযোগ ও ব্যক্তিগত যোগ্যতার ভিত্তিতে স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ, নিজ সন্তানদের জন্য ক্যাডেট কলেজ, আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ, গওঝঞ, ইটচ এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্কুল/ কলেজে অধ্যয়নের সুযোগ ও বাসস্থান প্রাপ্তি ও সামরিক হাসপাতালে উন্নতমানের চিকিৎসার সুযোগ এবং উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিধি মোতাবেক অর্থ প্রদানসহ বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ২৭ নভেম্বর ২০১৯।
জেনে রাখুন : ক্যাডেট কলেজ/ বিএনসিসি/ এমসিএসকে-এর ক্যাডেটদের নিজ নিজ কলেজ/ রেজিমেন্টের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য বা আবেদন করতে ভিজিট করুন : যঃঃঢ়ং://লড়রহনধহমষধফবংযধৎসু.ধৎসু. সরষ.নফ
যোগাযোগ : পরিচালক, পার্সোনেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পরিদফতর, অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল শাখা, সেনাবাহিনী সদর দফতর, ঢাকা সেনানিবাস।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement