ইসলামের দৃষ্টিতে জনসেবা
- ডা: মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
- ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
জনসেবার অর্থ হলো কোনো পুরস্কার বা পারিশ্রমিক ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আল্লাহর সৃষ্টির সেবা করা। অন্যান্য ধর্মীয় কাজের মতো অপরের উপকার বা সেবা করাও একটি জরুরি কাজ। আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারার ২৩৭ নং আয়াতাংশে বলেন- ‘তোমরা একে অপরের উপকার করতে ভুলো না। নিশ্চয় তোমরা যা কিছু করো আল্লাহ সব কিছুই দেখেন।’
যুগে যুগে মহান আল্লাহ তায়ালা যত নবী ও রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন, তাদের সবাইকে সমকালীন মানবগোষ্ঠীর সর্বোত্তম গুণাবলির অধিকারী করে ওই সমাজের প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সেসব গুণাবলি হচ্ছে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের একজন মাত্র পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তোমাদের বিভিন্ন দল ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিতি অর্জন করতে পারো। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সে, যে সবার চেয়ে বেশি মুত্তাকি।’ (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত-১৩)
আমানতদারি ও ন্যায়পরায়ণতা : আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন যে তোমরা আমানতকে তার উপযুক্ত প্রাপকের কাছে পৌঁছিয়ে দেবে। আর মানুষের মধ্যে যখন কোনো বিষয়ে বিচার-ফয়সালা করবে, তখন অবশ্যই ইনসাফের ভিত্তিতে তা করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন। আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও দেখেন।’ (সূরা আন-নিসা-৫৮)
চরিত্র ও ব্যবহার মানোত্তীর্ণ হওয়া : এক হাদিসে আছে, একবার রাসূল সা:-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! মানুষকে আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম কোনটি? রাসূল সা: বলেন, ‘উত্তম চরিত্র’। (মুসনাদে আবু দাউদ, হাদিস-১৩২৯)। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা: বর্ণনা করেন, রাসূল সা: আমাকে ইয়েমেনের গভর্নর হিসেবে পাঠানোর সময় শেষ ওসিয়ত হিসেবে বলেন, ‘তুমি অবশ্যই তোমার চরিত্রকে সুন্দর করবে। কারণ মানুষের মধ্যে যার চরিত্র বেশি সুন্দর, সে দ্বীনদারির দিক থেকেও তাদের মধ্যে উত্তম।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস-২১৯৮৯)।
হৃদয়বান ও জনদরদি হওয়া : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘অনুগ্রহ ও দয়াবানদের ওপর দয়াময় আল্লাহ দয়া ও অনুগ্রহ বর্ষণ করেন। সুতরাং জমিনের অধিবাসীদের ওপর তোমরা দয়া করো, তাহলে আসমানওয়ালা অর্থাৎ আল্লাহ তোমাদের ওপর দয়া করবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
জনসেবার মন-মানসিকতা থাকা : পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হয়েও রাসূল সা: উম্মতের সেবা করে গেছেন জীবনভর। সাহাবায়ে কেরামও রাসূল সা:-এর এ শিক্ষা ও আদর্শ লালন করেছিলেন। ফলে তাদের শাসনামলে জনসাধারণ উন্নত জীবনযাপনের পাশাপাশি বেশ শান্তি-সুখ ও সমৃদ্ধিতে ছিলেন।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা