অশ্লীলতায় সাহায্যকারীর বিধান
- মুস্তাফিজ গাজী
- ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৬
অশ্লীলতা বা বেহায়াপনা একটি মারাত্মক গুনাহ। অশ্লীলতার প্রসার ঘটলে সামাজিক ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়ে। সমাজে এই একটি মাত্র গুনাহের কারণে যাবতীয় পাপাচার সহজ হয়ে যায়। তখন মানুষ গুনাহকে গুনাহ মনে করে না। জিনার মতো শাস্তিযোগ্য ভয়াবহ অপরাধটিও বেড়ে যায়। পৃথিবীর অতীত ইতিহাসে তাকালে দেখা যায়, যখন কোনো সভ্যতা লাগামহীন হয়ে অশ্লীলতা শুরু করেছে ঠিক তখনই ধ্বংস হয়েছে। আমরা হজরত লুত আ:-এর সম্প্রদায়সহ কিছু জাতিগোষ্ঠীর বিবরণ কুরআন-সুন্নাহতে পেয়েছি। তা ছাড়াও ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপিত শক্তিশালী জাতির বিবরণেও হুবহু অবস্থা দেখতে পাই, তারা অশ্লীলতায় যখন লাগামহীন হয়ে গেছে তখন আল্লাহ তাদের ধ্বংস করেছেন। কিন্তু অশ্লীল কাজের ক্ষেত্রে আমরা আল্লাহর বাণীতে একটি ভিন্নধর্মী চমক দেখতে পাই। যেমন- আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'যারা চায় মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার ঘটুক, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে।' (সূরা আন নূর, আয়াত-১৯)
লক্ষণীয় হলো, আল্লাহ তায়ালা এখানে অশ্লীলতার প্রসারে সাহায্যকারী ও কামনাকারীদের ইঙ্গিত করেছেন। অথচ তিনি বলতে পারতেন, যারা অশ্লীলতা করে কিংবা অশ্লীল ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গে ইসলামী বিদ্বানদের অভিমত হলো- অশ্লীলতা এমন এক জঘন্য পাপ, যেটি খুব দ্রুত সমাজে ছড়ায়। এটি প্রচার- প্রসারের মাধ্যমেই সবখানে বিস্তার লাভ করে। এর পেছনে সাহায্যকারী ও কামনাকারীর ভূমিকা থাকে অত্যধিক। এ জন্যই আল্লাহ তায়ালা
তাদের ইঙ্গিত করেছেন।
লেখক: প্রবন্ধকার, গাজিরগাঁও, সুনামগঞ্জ, সিলেট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা