রমজানে বিশেষ দু’টি আমল
- আবরার নাঈম
- ২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
দীর্ঘ ১১টি মাস যার অপেক্ষায় থাকে প্রতিটি মুমিন। যার আগমনে হৃদয় নদীতে আসে খুশির জোয়ার। দৃঢ় হয় রব ও তাঁর বান্দার প্রীতির বাঁধন। হৃদয়ে জাগে ইবাদতের স্পৃহা। সেই পবিত্র মাস রমজান সংক্ষেপে বিশেষ দু’টি আমলের কথা উল্লেখ করছি। এক. অধিক পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত করা। রমজান মাস হলো কুরআন নাজিলের মাস। সারা বছর নানাবিধ কর্মব্যস্ততায় কুরআন তিলাওয়াতের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই এ মাসে যাবতীয় কাজকর্ম একপাশে রেখে কুরআনের প্রতি মনোনিবেশ করা উচিত। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন। যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী।’ (সূরা বাকারাহ : ১৮৫)
দুই. নির্ধারিত জাকাত ছাড়াও রমজানে অধিক পরিমাণে নফল দান-সদকা করা। কারণ এ মাসে অন্যান্য আমলের প্রতিদান যেমন এক নেকে সত্তর, ঠিক তেমনি দানের বেলায় কম নয়। রাসূল সা: ছিলেন সবচেয়ে বেশি দানশীল। কখনো কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতেন না। রমজান এলে রাসূল সা:-এর দান-সদকার পরিমাণ বহুগুণে বেড়ে যেত। হজরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল সা: ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সবার চেয়ে অধিক দানশীল ছিলেন। রমজানে জিবরাইল যখন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন, তখন তিনি আরো অধিক দান করতেন। রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতেই জিবরাইল আ: তাঁর সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ করতেন। আর নবী সা: তাকে কুরআন পড়ে শোনাতেন। জিবরাইল আ: যখন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি রহমতসহ প্রেরিত বায়ুর চেয়েও অধিক ধন-সম্পদ দান করতেন। (বুখারি-১৯০২)
লেখক : নবীন আলেম, ফারেগ-জামিয়া আরাবিয়া মাখজানুল উলুম, ময়মনসিংহ সদর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা