হেদায়াত ছাড়া যোগ্যতা মূল্যহীন
- আ স ম আল আমীন
- ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০৫
পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাসে ইবলিশ শয়তানের মতো জ্ঞান, যোগ্যতা অন্য কারো ছিল না; কিন্তু তার কপালে ছিল না হেদায়াত। তার যোগ্যতা অনুযায়ী সম্মানের বিপরীতে পাচ্ছে অভিশাপ; এ জন্য হেদায়াত পাওয়া মহান রবের অশেষ দয়া ও অনুগ্রহ। কারণ আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হেদায়াত দেন না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করবে, আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে হেদায়াতের পথে পরিচালিত করব।’ (সূরা আন কাবুত-৬৯) আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক নফসকে বরাবর করে সৃষ্টি করেছেন, কেউ নিজেকে সৎ পথে নিয়ে চলেন আবার কেউ অসৎ পথে নিয়ে চলেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন, যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয় এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।’ (সূরা শামস : ৭-১০)
এসব আয়াত থেকে জানা যায়, যারা সৎপথের সন্ধান লাভের চেষ্টা-সাধনা করবে, তাদেরকে সৎপথের সন্ধান দেয়াই আল্লাহ তায়ালার নীতি এবং এ-ও জানা যায়, যে ব্যক্তি নিজেকে পবিত্র করতে চেষ্টা করে সে সফল হয়। ‘তিনি যাকে চান বিপথগামী করেন এবং যাকে চান সঠিক ও সোজা পথে পরিচালিত করেন।’ (সূরা আল আনয়াম-৩৯) আল্লাহ চাইলে পৃথিবীর সবাইকে হেদায়াতের ওপর ঐক্যবদ্ধ করে দিতে পারতেন। সবকিছুই আল্লাহর সিদ্ধান্তক্রমেই হয়ে থাকে। আল্লাহর সিদ্ধান্ত এই যে, যে চেষ্টা সাধনা করবে, তাকে তিনি সুপথ দেখাবেন, আল্লাহ তায়ালা মানুষকে ভালো-মন্দ নির্ণয় করাসহ সবকিছুর সক্ষমতা দিয়েছেন, আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘আর এই যে, মানুষ যা চেষ্টা করে, তাই সে পায়।’ (সূরা আন নাজম-৩৯) এ জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে হেদায়াতের জন্য দোয়া করা এবং সাথে চেষ্টা করা।
আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ হেদায়াত দিতে পারে না, ইরশাদ হয়েছে- ‘আপনি যাকে ভালোবাসেন, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবেন না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনেন এবং তিনিই ভালো জানেন সৎপথ অনুসরণকারীদের।’ (সূরা কাসাস-৫৬) হেদায়াত মানে হলো ইসলামের পথ, ইসলামের পথে অবিচল থাকার অর্থ হলো কুরআন-হাদিসের আলোকে জীবনকে পরিচালনা করা, এর বাইরে নিজের জ্ঞান যোগ্যতার আলোকে ভিন্নপথ অবলম্বন করার দ্বারা আপনি হেদায়াতের পথ থেকে বের হয়ে গেছেন, যেমনটি ইবলিশ শয়তান নিজের ইলমের কারণে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ অমান্য করে ভিন্নপথ অবলম্বন করেছিল। ইসলামের পথ ছাড়া নিজের খেয়ালখুশির পথে চলার কারণে বান্দার জন্য আল্লাহর ক্রোধ থেকে রক্ষা করার মতো কোনো অবিভাবক ও কোনো সাহায্যকারী থাকবে না।
লেখক : কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক, বাংলাদেশ কওমি ছাত্র পরিষদ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা