০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

প্রশ্নোত্তর

-

প্রশ্ন : ১. একজন দরিদ্র ব্যক্তি, যার পারিবারিকভাবে বহু চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু সে টাকার অভাবে কিছুতেই তা পূরণ করতে পারছে না। এমতাবস্থায় বেশ কিছু টাকা তার মালিকানায় এসেছে যা দিয়ে একজন মুসলমানের ওপর হজ ফরজ হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- শরিয়ত অনুযায়ী ওই ব্যক্তিটি কি আগে পারিবারিক চাহিদা পূরণ করবে? নাকি আগে হজ পালন করবে? ২. এক ব্যক্তির কাছে হজ ফরজ হয় এই পরিমাণ টাকা হাতে এসেছে। আসার পর ওই ব্যক্তিটি বিভিন্ন কারণে ওই বছর হজ করতে পারেনি এবং পরবর্তী বছর আসতে আসতে ওই ব্যক্তির টাকা খরচ হয়ে গেছে এবং পরবর্তীতে সে আর হজ করতে সক্ষম হয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- শরিয়ত অনুযায়ী ওই ব্যক্তিটি কি হজ না করার দায়ে অভিযুক্ত হবে? ৩. একজন ব্যক্তির হজ করার মতো পরিপূর্ণ সামর্থ্য রয়েছে এবং কোনো ধরনের সমস্যাও তার নেই কিন্তু তারপরও সে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে হজ করল না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- শরিয়ত অনুযায়ী ওই ব্যক্তিটি কি কুফরির অপরাধে অপরাধী হবে? নাকি কবিরা গুনাহগার হবে?
উত্তর : ১. পরিবারের জরুরি চাহিদা পূরণ করার পর যদি তার কাছে হজ পালন করার মতো টাকা থাকে তাহলে তার ওপর হজ ফরজ। যদি পারিবারিক চাহিদা পূরণের পর হজ করার মতো প্রয়োজনীয় টাকা না থাকে তাহলে তার ওপর হজ ফরজ নয়। ২. জি, হজ না করার দায়ে তিনি অভিযুক্ত হবেন। ৩. কুফরি হবে না, তবে ভয়ঙ্কর কবিরা গুনাহ হবে।
ফতোয়া বিভাগ, আস সুন্নাহ ট্রাস্ট

 

 


আরো সংবাদ



premium cement