মহানবী সা:-এর প্রতি ভালোবাসা ও সুন্নাহ
- জামান শামস
- ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০১:০৯, আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৫:৩৮
[গতকালের পর]
নবী করিম সা: ছিলেন দয়া-মমতার সাগর। উম্মতের প্রতি ছিল তাঁর গভীর মায়া, সীমাহীন মমতা এবং তাদের কল্যাণ সাধনে ছিলেন সদা ব্যাকুল, ব্যতিব্যস্ত। তাদেরকে তিনি নিঃস্বার্থ ভালোবাসতেন। তিনি তাদের থেকে না এর কোনো প্রতিদান চাইতেন, আর না কৃতজ্ঞতা কামনা করতেন। চাইতেন শুধু তাদের নাজাত ও সফলতা। চাইতেন যেন উম্মত হেদায়েতের পথ হারিয়ে না ফেলে, আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো আজাব তাদেরকে আক্রান্ত না করে। হজরত আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস রা: বলেছেন, নবী করিম সা: এই আয়াত পাঠ করলেন, যাতে ইবরাহিম আ:-এর কথা উল্লেখ আছে- হে পালনকর্তা, এরা অনেক মানুষকে বিপথগামী করেছে। অতএব যে আমার অনুসরণ করে, সে আমার এবং কেউ আমার অবাধ্যতা করলে নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (আর সেই আয়াতও পড়লেন যেখানে আছে) (এবং ঈসা আ: বললেন,) যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তারা আপনার দাস এবং যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, তবে আপনিই পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞ।
অতপর নবীজী সা: দুই হাত তুলে কেঁদে কেঁদে বললেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মত! আমার উম্মত!!’ তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, ‘হে জিবরাইল! মুহাম্মদকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করো তিনি কেন কাঁদেন? যদিও তোমার রবই ভালো জানেন। অতঃপর জিবরাইল নবীজীর কাছে এসে তা জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ সা: সব খুলে বললেন। যদিও আল্লাহ তায়ালা সব জানেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা বললেন, হে জিবরাইল! মুহাম্মদকে গিয়ে বলো, আমি অচিরেই আপনার উম্মতের ব্যাপারে আপনাকে সন্তুষ্ট করব, ব্যথিত করব না।’ (সহিহ মুসলিম)
‘কাউকে ভালোবাসি’ এমন দাবির যথার্থতা তখনই মিলবে যখন তার কথা ও কাজ অন্য সব কথা ও কাজের চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে, তার নীতি আদর্শকে পৃথিবীর তাবত নীতি আদর্শ থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করব এবং জীবনের প্রতিটি স্তরে তার সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত ও সঠিক বিবেচনা করব। এখন রাসূলের প্রতি উম্মাহর ভালোবাসা জবানে আছে জীবনে নেই, মিলাদ ও মিষ্টিতে আছে ব্যক্তি-পরিবার ও সমাজে নেই। এ সময়ে আমাদের শপথ হোকÑ কোনো সুন্নাহর প্রতি অবজ্ঞা নয়, পরিপালনে তা যত কঠিনই হোক।
সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা