২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সামাজিক বন্ধনে নৈতিকতার চর্চা

-

করোনা মহামারীসহ নিত্যনতুন বিপদাপদ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না আমাদের। নিত্যনতুন অসংখ্য বিপদাপদ আমাদের ঘিরে ধরেছে। প্রায় এক বছর অতিক্রম করে যাচ্ছে করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য মহামারী।
সম্প্রতি তা আরো জোরালোভাবে আঘাত হানছে। করোনাভাইরাস ছাড়াও নতুন করে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন মহামারী।
ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার খবরও শোনা যায় হারহামেশা।
করোনার কারণে এমনিতেই অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে যাওয়ায় অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে নেমে এসেছে চরম অভাব অনটন।
তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করাটাই এখন হয়ে উঠেছে অস্বাভাবিক। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় দু’মুঠো ভাত জোগাড় করতে খেতে হচ্ছে হিমশিম। তারপর বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহারিক জিনিসপত্রসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে ও অন্যের কাছে হাত পাততে হচ্ছে নি¤œ আয়ের মানুষদের। চরম এক চাপা অস্থিরতার মাঝে মানুষ দিন যাপন করছে।
অসংখ্য শিক্ষার্থীর অমূল্য শিক্ষাজীবন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এর অনৈতিক প্রভাব ফেলেছে পারিবার ও সমাজে। লেখাপড়াহীন জীবন ছাত্রছাত্রীদের মেরুদণ্ডহীন হতাশার জীবনের দিকে ধাবিত করছে।
শিক্ষা থেকে বিরত থাকার ফলে পুরো সময়টাই যেহেতু ছাত্রছাত্রীদের থাকতে হচ্ছে বাসাবাড়িতে, তাই প্রত্যেক বাসাবাড়িতেও দেখা দিয়েছে এক ধরনের পারিবারিক অস্থিরতা।
অবসর সময় পার করতে বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড। যার কারণে পারিবারিক বন্ধনও ভেঙে পড়ছে।
অভাব অনটনের কারণে চুরি-ডাকাতি, কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধেও জড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের আগামী দিনের শক্তি তরুণ সমাজ। অর্থাৎ, আমাদের প্রতিটি সূচকে এখন বিরাট এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্তরায়।
রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা সীমিত সম্পদের মধ্যে যেমন চেষ্টা করে যাচ্ছে এই মহামারী পরিস্থিতিতে অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঠিক তেমনি তাদেরকে আমাদের পারিবারিক সামাজিক বন্ধনকে অটুট রাখতেও নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
নতুন কোনো ফর্মুলা বের করে ছাত্রছাত্রীদের যেকোনো মূল্যে লেখাপড়ার পরিবেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রী ও তরুণদের মাঝে ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করাও সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি।
কারণ, বিপদাপদ থেকে কাটিয়ে উঠে আমাদের বাংলাদেশকে আগামী দিনের একটি সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রয়োজন নৈতিকতাবোধসম্পন্ন একদল সোনার মানুষের।
প্রত্যেক মহামারী আসে বান্দার সীমাহীন পাপাচারের কারণে। বান্দা যখন তার প্রভুর নাফরমানিতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যায় তখনই বান্দাকে পরিশুদ্ধ করতে সাময়িক বিপদাপদ দিয়ে পরীক্ষা করার নিমিত্তে দুনিয়ায় নাজিল করা হয় মহামারীসহ বিভিন্ন আজাব গজব।
অতএব আসুন, নিজের পাপাচার থেকে তাওবা ইস্তিগফার, দোয়া কান্নাকাটির মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছেই ফিরে আসি। আল্লাহকে যেভাবেই হোক সন্তুষ্ট করি।
কারণ বান্দার প্রতি আল্লাহ তায়ালার রয়েছে সীমাহীন দয়া আর ভালোবাসা। আমরা যদি আল্লাহ তায়ালার সেই ভালোবাসা অর্জন করতে পারি তাহলে করোনাভাইরাসসহ সব মহামারী থেকে আমরা মুক্তি পেয়ে যাব ইনশাআল্লøাহ।
উস্তাদ, জামিয়া কুরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয় কাজীপাড়া, ব্রাক্ষণবাড়িয়া।


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে : ধর্মমন্ত্রী সিলেটে ৪৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৪ অবৈধ সম্পদ : এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জুন টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে চাপম্যান-আফ্রিদির উন্নতি থানচিতে ট্রাকে দুর্বৃত্তদের গুলি চীনের আনহুই প্রদেশের সাথে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ৫ রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬, আহত ৮ প্রতিবাদ সমাবেশকারীদের গ্রেফতারের নিন্দা জামায়াতের ‘সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না’ ফরিদপুরে বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

সকল