২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

প্রিয়জনের মন জয় হোক নবীজীর তরিকায়

-

ইসলাম বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া ছেলেমেয়েদের কোনো প্রকার সম্পর্ককে সমর্থন করে না। বিয়ে ছাড়া ছেলেমেয়েরা যতই পবিত্র ভালোবাসা বলে স্লোগান দিক, আসলে বিয়ের বাইরে কোনো সম্পর্ক পবিত্র হতে পারে না। আর ইসলামও সেটাকে বৈধতা দেয় না। সেটি ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
জীবন চলার পথে আমরা প্রত্যেকেই কারো না কারো কাছে প্রিয়। আমরা আমাদের প্রিয়জনকে নিজের করে পেতে যারপরনাই চেষ্টা করি। প্রয়োজনে নিজের সুখকে বিসর্জন দিতে সাতপাঁচ ভাবি না। ‘যে কিছুরই মূল্যে প্রিয়জনকে পাওয়া চাই’- এরকম চেষ্টা থাকে আমাদের মধ্যে।
সেই চাওয়া-পাওয়াটা যদি ইসলামের গণ্ডির মধ্য থেকে হয়, তাহলে আমাদের চাওয়া-পাওয়া দুনিয়া ও আখিরাতে সুফল বয়ে আনবে। একজন মুমিন হিসেবে এটাই হবে আমাদের পরম পাওয়া।
বেশ কিছু পলিসি অবলম্বনের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয়জনের হৃদয় জয় করে নিতে পারি। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা ঈমান আনয়ন করবে এবং তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দেবো না যা তোমাদের পরস্পরের ভালোবাসা সৃষ্টি করে? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, অবশ্যই শিক্ষা দিন ইয়া রাসূলুল্লাহ। রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘তোমরা পরস্পরের মাঝে সালামের প্রচার-প্রসার ঘটাও, এতে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে’ (সহিহুল মুসলিম)।
অন্য হাদিসে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমরা পরস্পরের মাঝে হাদিয়া (গিফট) প্রদান করো, এতে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে’ (সহিহুল বোখারি)।
হাদিয়া (গিফট) দেয়ার ক্ষেত্রে প্রাপকেরও উচিত প্রেরককে তার সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু হাদিয়া দেয়া। রাসূলুল্লাহ সা:কে যখন কেউ কিছু হাদিয়া দিতেন, তখন তিনি তা গ্রহণ করতেন এবং তাকেও যথাসাধ্য হাদিয়া দিতেন। কম হোক বা বেশি, রাসূলুল্লাহ সা:কে হাদিয়া হিসেবে কিছু দেয়া হলে তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করতেন এবং সাহাবিদেরকেও পরস্পরের মাঝে হাদিয়া (গিফট) আদান-প্রদানের জন্য উৎসাহিত করতেন।
হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: হাদিয়া গ্রহণ করতেন, সদকা গ্রহণ করতেন না’ (সুনানে আবু দাউদ)।
তাছাড়া মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করার মাধ্যমেও তার মন জয় করা যায়। মানুষের প্রতি অনুগ্রহকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন, ‘তোমরা মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করো, নিশ্চয় আল্লাহ অনুগ্রহকারীকে পছন্দ করেন’ (সূরা বাকারা)।
অনুগ্রহ করার মাধ্যমে শুধু প্রিয়জনের মন জয় হয় না, এতে আল্লাহও খুশি হন।
প্রকৃত ভালোবাসা হলো, সামর্থ্য অনুযায়ী একে অপরের কল্যাণকামী হওয়া এবং একে অপরের খারাপ কাজে বাধা দেয়া (তাকমিলায়ে ফাতহুল মুলহিম)।
যদি জানতে চাওয়া হয়, আমাদের প্রিয়জনদের মন জয় করতে কি এরকম কোনো দিন করেছি? জবাব আসবে ‘না’।
তাহলে আপনি নিজেকেই প্রশ্ন করুন কিভাবে আপনি আপনার প্রিয়জনের মন জয় করতে পারবেন! প্রিয়জনের মন জয় করার সহজ পন্থা হলো রাসূলের দেয়া শিক্ষা। আর প্রিয় জনের মনজয় করতে যে কাজই করা হোক তা অবশ্যই ইসলামের কোনো বিধান লঙ্ঘন করে করা যাবে না। যেমন- কাউকে পছন্দ হলে বিয়ের আগ পর্যন্ত সে আপনার জন্য অন্য ১০ জন মানুষের মতোই হারাম। বিয়ের মাধ্যমে কেবল সবকিছু হালাল হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সবসময় তাঁর সন্তুষ্টি অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখক : আলেম, প্রাবন্ধিক


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী

সকল