১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রশ্নোত্তর

-

রেদওয়ানুর রহমান : মেয়েদের নাক ও কান ছিদ্র করা কি জায়েজ? প্রচলিত আছে যে, নাক ও কান ছিদ্র না করলে স্বামীর অমঙ্গল হয় বা মারা যায়। কথাটি কতটুকু সত্য?

মাওলানা লিয়াকত আলী- ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী মেয়েদের নাক ও কান ছিদ্র করা জায়েজ। তবে আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে, নাক ও কান ছিদ্র না করলে স্বামীর অমঙ্গল হয় বা মারা যায়- এটি সত্য নয়। এটি কুসংস্কার। এ ধরনের বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে অন্য ধর্মের নারীদের মধ্যে। এই বিশ্বাসের কারণে ওই ধর্মের অনুসারী নারীরা শাঁখা-সিঁদুর পরে।
তবে ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য কিতাবাদি থেকে প্রমাণিত হয় যে, নারীরা কান ও নাক ছিদ্র করে গয়না পরতে পারবে। কেননা কানে গয়না পরার রীতি নবী করিম সা: জীবিত থাকা অবস্থায় মুসলিম নারীদের মধ্যে ছিল, কিন্তু তিনি এটি নিষেধ করেননি। অতএব এই বিষয়ে শরিয়তে কোনো প্রকার নিষেধ নেই। নারীদের হাতে চুড়ি হিসেবে কাচ, পাথর এবং রুপাসহ সব ধরনের অলঙ্কার পরা জায়েজ আছে। তবে হাতে চুড়ি ও নাকে নাকফুল না পরলে স্বামীর আয়ু কমে যায়, এই ধারণাটি ভ্রান্ত, কুসংস্কার ও আল্লাহ তায়ালার কালামের বিপরীত।
কিছু এলাকার নারীদের মাঝে এ কথা প্রচলিত রয়েছে- কোনো মেয়ে যদি নাক, কান না ফোঁড়ায় তাহলে কেয়ামতের দিন তার নাক-কানে আগুনের লোহা দিয়ে ছিদ্র করা হবে। এ কথাটিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অলঙ্কার ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নারীদের নাক, কান ফোঁড়ানো জায়েজ। কিন্তু এটি শরিয়তের কোনো বাধ্যতামূলক হুকুম নয়। সুতরাং কোনো নারী নাক, কান না ফোঁড়ালে তার কোনো গুনাহ হবে না এবং এ কারণে আখিরাতে তাকে শাস্তিও পেতে হবে না। তবে বর্তমানে আরো কিছু কিছু অঙ্গে অলঙ্কার ব্যবহার করতে দেখা যায়, যেমন : ঠোঁট, চোখ, নাভি, জিহ্বা ইত্যাদি। এসব স্থানে অলঙ্কার ব্যবহার করা অপসংস্কৃতি ও উগ্রতার বহিঃপ্রকাশ। তাই এসব অনুমোদিত নয়।


আরো সংবাদ



premium cement