২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নাম ব্যঙ্গ না করা

-

মহান আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষজাতি। মানুষের আকার, আকৃতি, গঠন অন্যান্য সৃষ্টির থেকে উন্নত। মানুষ দেখতেও অনেক সুন্দর। মানুষ চালাক ও বুদ্ধিমান। মানুষের এসব গুণাবলির জন্যই মানুষকে সর্ব শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বলা হয়। আরো একটি বৈশিষ্ট্য আছে মানুষের যা অন্য প্রাণীর নেই বললেই চলে। মানুষের আছে সুন্দর সুন্দর নাম। নামগুলো রাখারও ধরন আছে। কারো বাবা, কারো মা, কারো মামা, কারো চাচা, কারো দাদী, কারো নানা, কারো ফুপি এ নামগুলো অনেক যাচাই-বাছাই করে রাখেন। খুব ভালোভাবে যত্নসহকারে রাখেন। যার নাম তার কাছেই প্রিয়। মা-বাপ বা চাচা-ফুপির দেয়া নাম ধরে ডাকলেও মনে শান্তি লাগে। কিন্তু তখনই খারাপ লাগে যখন এ নামগুলো ব্যঙ্গ করা হয়। কারো সুন্দর নাম ব্যঙ্গ করা হলে সে মনে কষ্ট পায়।
বর্তমানে আমাদের সমাজে এগুলো খুব বেশি পরিলক্ষিত হয়। বন্ধুমহলে অনেকেই একে অন্যের নাম ব্যঙ্গ করে যা একদম ঠিক নয়। ইসলাম এ বিষয়টি একটুও সমর্থন করে না। এ সম্বন্ধে আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সা: বলেছেন, ‘কোনো মুমিন ব্যক্তি কোনো মুসলমানের ডাকনাম বিকৃত করতে পারে না।’
এছাড়া পবিত্র কুরআনে সূরা হুজরাতের ১১ নং আয়াতেও বলা হয়েছে ‘হে ঈমানদারগণ! কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডাকবে না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই অত্যাচারী।’
সুতরাং, কারো নাম ব্যঙ্গ করা খুব খারাপ কাজ এবং মারাত্মক গোনাহ। এটি ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ। তাই আমাদের উচিত এমন খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করা। পাশাপাশি অপরকেও ত্যাগ করতে উৎসাহিত করা।
লেখিকা : সিনিয়র স্টাফ নার্স, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।


আরো সংবাদ



premium cement