প্র শ্নো ত্ত র
- ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০৬
পলি আকতার : মেয়েদের চুল কাটার ব্যাপারে ইসলামের বিধান জানতে চাই। মেয়েদের চুল কাটা কি হারাম?
মাওলানা লিয়াকত আলী : মাথায় লম্বা চুল মেয়েদের সহজাত সৌন্দর্য। ইসলাম এই সৌন্দর্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। বিপরীতে চুল ছোট রাখা পুরুষের বৈশিষ্ট্য। নারী-পুরুষের এই তারতম্য বজায় রাখার ওপর জোর দেয়া হয়েছে ইসলামে। এ জন্য পুরুষের জন্য নারীদের বেশ ধারণ করা এবং নারীদের জন্য পুরুষের বেশ ধারণ করা নিষিদ্ধ। তাই চুল লম্বা রাখা ও ছাঁটার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ব্যবধান স্পষ্ট হতে হবে। অর্থাৎ পুরুষরা চুল এত লম্বা রাখতে পারবে না, যাতে নারীদের সাদৃশ্য হয়ে যায়। আবার নারীরা চুল এত ছোট করতে পারবে না যাতে পুরুষের সাথে সাদৃশ্য হয়ে যায়।
মেয়েদের চুলের ক্ষেত্রে শরিয়তের মৌলিক নীতিমালা হলোÑ ১. মহিলারা চুল লম্বা রাখবে। হাদিস শরিফ থেকে জানা যায়, উম্মাহাতুল মুমিনিন চুল লম্বা রাখতেন; ২. এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদিস শরিফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিণী মেয়েদের প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে; ৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদিসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ওই পরিমাণ কাটা জায়েজ হবে।
পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরি চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি প্রয়োজনবশত কামানোরও অনুমতি রয়েছে। চার আঙ্গুল পরিমাণ কাটা যাবেÑ এ কথা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়; বরং চুল বেশি বড় থাকলে যেমন কোমর সমান চুল থাকলে চার আঙ্গুলের বেশি পিঠের মাঝামাঝি করে কাটা জায়েজ। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মেয়েরা তাদের চুল খাটো করতে পারবে। এর জন্য সময়েরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আর কেউ নাজায়েজ পরিমাণ কেটে ফেললে বা বিজাতীয়দের অনুকরণে চুল কেটে করে ফেললে তাওবা ইস্তিগফার করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা