প্র শ্নো ত্ত র
- ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:৪২
প্রশ্ন : ১. আমি একটি বাড়িতে টিউশনি করি। আমি যে শিশুকে পড়াই তাকে নামাজ পড়ানো শেখাতে প্রথমে আমি তাকে বললাম, জায়নামাজের বিছানা ফেলানোর সময় ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু অজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফা মিনাল মুশরিকিন বলতে, কিন্তু এই কথাটি তার মা জানতে পেরে আমাকে বলল, আপনি আমার সন্তানকে এসব শেখাবেন না। কারণ রাসূল সা: এসব করেননি। তিনি বললেন, নামাজের নিয়ত মুখে বলতে নেই এটা মনে মনে বলতে হয়, আর সূরা কিরাত ও আল্লাহু আকবার, সামিয়াল্লা হুলিমান হামিদা- এগুলো মুখে বলতে হয়। বিষয়টিতে সঠিক কি সহি হাদিস ও দলিল দ্বারা আমাকে জানালে খুশি হবো। ২. তিনি আরো বললেন, বিতর নামাজের দ্বিতীয় বৈঠকের সময় তাশাহুদ না পড়ার জন্য। এটি আমার জানা ছিল না। সহি হাদিস ও কুরআন দ্বারা আমাকে জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর : জায়নামাজের বিছানা ফেলানোর সময় ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু অজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফা মিনাল মুশরিকিন বলতে হয় মর্মে কোনো হাদিস নেই। নিয়ত মনের বিষয়, মুখের বিষয় নয়। রাসূলুল্লাহ সা: এবং সাহাবিদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না যে, তারা আমাদের মতো নাওয়াতু... বলে নিয়ত করেছেন। তাসবিহগুলো মুখে বলতে হয়। ২. বিতর নামাজের দ্বিতীয় বৈঠকে তাশাহুদ পড়তে হবে। সব সালাতের প্রতিটি বৈঠকে তাশাহুদ পড়তে হবে। হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ সালাতের মধ্যে বসবে সে যেন বলে, আত্তাহিয়্যাতু... (তাশাহুদ শেষ পর্যন্ত) (সহিহ বুখারি হাদিস নং-৬২৩০)। ওই হাদিসে ব্যাপকভাবে সব বৈঠকে তাশাহুদ পড়তে বলা হয়েছে। এখন যদি কেউ বলে বিতর সালাতে পড়তে হবে না তার জন্য আলাদা দলিল প্রয়োজন, এমন কোনো দলিল আছে বলে আমার জানা নেই। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। ফতোয়া বিভাগ, আস সুন্নাহ ট্রাস্ট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা