২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কোনো মুসলিমকে জান্নাতি বা জাহান্নামি ঘোষণা

-

আমরা কি কোনো মুসলমানকে জান্নাতি বা জাহান্নামি বলে ঘোষণা দিতে পারি? না আমরা কোনো মুসলমানকে সে যত সৎকর্মই করুক না কেন জান্নাতি বলে ঘোষণা দিতে পারি না। অনুরূপভাবে কোনো মুসলমান যত মন্দ কাজই করুক না কেন তাকে জাহান্নামি বলেও ঘোষণা দিতে পারি না। কারণ জান্নাতি ও জাহান্নামি হওয়ার বিষয়টি একটি গায়েবি বিষয়। তাই যিনি জান্নাত ও জাহান্নামের মালিক একমাত্র তিনিই বলতে পারেন তিনি কাকে জান্নাতে দেবেন আর কাকে জাহান্নামে দেবেন। তবে তিনি যেহেতু তার অনেক গায়েরে খবর তাঁর রাসূলকে দিয়েছেন তাই রাসূল সা:ও অনেক সময় কে জান্নাতি হবে আর কে জাহান্নামি হবে সে প্রসঙ্গে কিছু সংবাদ দিয়েছেন। সুতরাং কেবল আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা: যাদেরকে জান্নাতি বলে ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের ছাড়া আর কাউকে আমরা জান্নাতি বলে ঘোষণা দিতে পারি না। অনুরূপভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা: যাদেরকে জাহান্নামি বলে ঘোষণা দিয়েছেন শুধু তাদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে জাহান্নামি বলে ঘোষণা দিতে পারি না। কারণÑ
১. এক হাদিসে বর্ণিত আছে, একবার রাসূল সা:কে আনসারী এক শিশুর নামাজে জানাজা পড়ানোর জন্য ডাকা হলো, তখন আয়শা রা: বলেন, হে আল্লাহর রাসূল এ শিশুটির জন্য সুসংবাদ, ও তো জান্নাতের একটি চড়ুই পাখি হবে। সে তো কোনো মন্দকাজ করেনি এবং তা করার সুযোগও পায়নি। এ কথা শুনে রাসূল সা: বললেন, ‘হে আয়শা, এর বিপরীত কি হতে পারে না?’ (মুসলিম-৪৮১৩; নাসায়ি-১৯২১; আহমদ-২৪৫৬০)
২. উম্মে আলা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ যখন ওসমান ইবনে মাযয়ুন মৃত্যুবরণ করলেন তখন তাকে গোসল দেয়া হলো এবং কাফন পরানো হলো। এমতাবস্থায় সেখানে রাসূল সা: প্রবেশ করলেন। তখন আমি বললাম, হে আবু সায়েব (ওসমান ইবনে মাযয়ুন) আমি আপনার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই সম্মানিত করবেন। তখন নবী সা: বললেনÑ ‘কে তাকে সম্মানিত করবেন?’ অতঃপর রাসূল সা: বললেনÑ তার তো অবশ্যই ইয়াকিন (প্রত্যয়) এসেছে। আল্লøাহর কছম! আমি অবশ্যই তার জন্য কল্যাণ কামনা করি। আমি জানি না, আমি রাসূল হওয়া সত্ত্বেও আমার সাথে কোন ধরনের আচরণ করা হবে?; (এটা রাসূল সা:-এর আল্লাহর প্রতি অতি বেশি ভীতি ও বিনয় প্রকাশ) হাদিসের রাবি বলেন, আল্লাহর কছম! এরপর আমি আর কাউকে পুতপবিত্র বলে ঘোষণা করব না। (বুখারি-২৪৯০; ফতহুল বারি, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-১১৪; আহমদ-২৬৮৬)
এই দুটি হাদিস থেকে জানা যায়, রাসূল সা: যাদেরকে জান্নাতি বলেছেন তাদের ছাড়া আর কাউকে জান্নাতি বলে ঘোষণা দেয়া যাবে না। তেমনিভাবে রাসূল সা: যাদেরকে জাহান্নামি বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাদের ছাড়া আর কাউকে জাহান্নামি বলে ঘোষণা দেয়া যাবে না। কারণÑ
৩. রাসূল সা: জুন্দুব ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত এক হাদিসে বলেছেনÑ এক লোক বলল, আল্লাহর কছম! আল্লাহ তায়ালা অমুককে ক্ষমা করবেন না। এ কথা বলার পর আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সে কে যে আমার নামে শপথ করে বলছে যে, আমি অমুককে ক্ষমা করব না? নিশ্চয় আমি অমুককে ক্ষমা করে দিলাম। আর তোমার আমলসমূহ পণ্ড করে দিলাম।’ (মুসলিম-৩৭৫৩)
লেখক : অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩

সকল