বোয়ালমারীতে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা, ২ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ১০ জুন ২০২৪, ১৯:২৯
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ডিবি পুলিশের এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা তমাল (৩২) ও সহ-সভাপতি মো: আরিফুল ইসলাম রনি (২৮)। তারা বোয়ালমারী উপজেলা সদরের কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, রোববার বিকেলে একটি খেলা উদ্বোধনের জন্য মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের নেতারা। পথে বোয়ালমারী পৌরসভার নাট মন্দির সড়কের ফলপট্টিতে তাদের বহরটি আটকে যায় ডিবি পুলিশের একটি মাইক্রোবাসের কারণে। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে ডিবি পুলিশের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডিবির একটি সাদা মাইক্রোবাস ওই ওয়ানওয়ে সড়কে গাড়ি ঘুরাচ্ছিল। এতে গাড়িটির পেছনে ছাত্রলীগ নেতাদের মোটরসাইকেলের বহর আটকে যায়। ওই সময় ছাত্রলীগের বহর থেকে অনবরত হর্ন বাজাতে থাকলে ডিবির গাড়ি থেকে গাউস নামে একজন কনস্টেবল নেমে তাদের হর্ন বাজাতে নিষেধ করে। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতিতে গড়ায়। এতে আহত হন ওই ডিবি পুলিশ কনস্টেবল। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল দুই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে যায়।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় রাতে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) হান্নান বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা এবং গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওপর হামলা, মারপিট ও আহত করার অভিযোগ করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মতিন বলেন, মামলার তদন্ত কাজে ডিবির একটি দল বোয়ালমারী যায়। সেখানে সড়কে গাড়ি ঘুরাতে গেলে ছাত্রলীগের নেতারা একজন কনস্টেবলকে মারধর করে আহত করে। আহত কনস্টেবল গাউসকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতারের পর রাত ১২টার দিকে তাদের ফরিদপুর নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ রিয়ান সেখানে যান।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি রাতেই বোয়ালমারী যাই। একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার উদ্ভব হয়েছে। বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা