হোসেনপুরে কোরবানির হাট বাজিমাতে প্রস্তুত সালাম চেয়ারম্যানের ২৫ ষাঁড়
- জাহাঙ্গীর আলম, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)
- ০৫ জুন ২০২৪, ০৯:৩১, আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪, ০৯:৪৩
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এবারো কোরবানির হাট বাজিমাত করতে প্রস্তুত উপজেলার জিনারি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আদর্শ খামারি মো: আব্দুস সালামের দেশীয় ও বিভিন্ন জাতের ২৫ ষাঁড়।
খামারির দাবি, এসব পশু লালন-পালনে ব্যবহার হয়নি কোনো প্রকার ক্ষতিকর স্টেরয়েট কিংবা ভিটামিন ওষুধ। শুধুমাত্র দেশীয় খড়, ভুসি, লালি, সবুজ ঘাস ইত্যাদি খাওয়ানো হয়েছে।
এ দিকে, রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও মেধা ও শ্রম কাজে লাগিয়ে সফল ও আদর্শ খামারির স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাই এটিকে লাভজনক পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে সফল খামারি আব্দুস সালাম জানান, ২০২১ সালে বাড়ির পাশে মাত্র চারটি গরু মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে গড়ে তোলেন ‘হাফসা ক্যাটল ফার্ম’। পরবর্তীতে এ জাতীয় খামার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে গত তিন বছরে তার ওই খামারে ছয়টি শাহীওয়াল, পাঁচটি সিনদী ও ১২টি দেশীয় ষাঁড়সহ মোট ২৫টি পশুর আদর্শ খামার প্রতিষ্ঠা করে এলাকার সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। শত ব্যস্ততার পরও তিনি এ বছর কোরবানির পশুর হাটে ২৫টি দৃষ্টিনন্দন ও সুঠাম দেহের অধিকারী গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়া খামারের গরুর জন্য তিনি নিজের জমিতে চাষ করছেন উন্নতমানের নেপিয়ার ঘাস।
তিনি আরো বলেন, এবারের কোরবানির হাটে তার খামারে মোটাতাজাকরণকৃত প্রতিটি পশুই গড়ে লাখ টাকার বেশি বিক্রির করার টার্গেট নিয়েছেন তিনি। যেটি হবে উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় উদ্যোক্তার এক সাথে অধিক পশু বিক্রির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, তিনি (আব্দুস সালাম) জনপ্রতিনিধি ও সুপরিচিত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হওয়ার পরও গরুর খামারে অধিক সময় ব্যয় করেন। পাশাপাশি গরু মোটাতাজাকরণ করে লাভবান হয়েছেন। তিনি নিজে নিরলস শ্রম দিয়ে ওই খামারের উন্নতির পাশাপাশি সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেও কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছেন। তার এমন অভাবনীয় সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এখন অন্য পেশা ছেড়ে গরু মোটাতাজাকরণ কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছেন।
সফল খামারি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম আরো জানান, নিজস্ব অর্থায়নে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ভিটামিন কিংবা স্টেরোয়েড ছাড়াই লালন পালনকৃত এসব পশু এবারের কোরবানির ঈদে ভালো দামে বিক্রির আশায় মোটাতাজাকরণ করেছেন। প্রতিটি পশুর জন্য দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখছেন কাঁচা ঘাস, ভূসি, লালি ও খড়কুটো ইত্যাদি। খামার পরিচালনায় প্রতিদিন নিজের শ্রমের পাশাপাশি মাসিক বেতনে আরো দু’জন কর্মচারীও নিয়োগ করছেন। সব মিলিয়ে নিজে গরুগুলো পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করে অন্যরকম তৃপ্তিও অনুভব করেন তিনি।
তবে, সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ওই প্রজেক্ট আরো বড় পরিসরে গড়ে তুলে স্থানীয়ভাবে বেকারত্ব দূরীকরণে টেকসই ও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে চান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: উজ্জল হোসাইন জানান, গরু মোটাতাজাকরণে উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম শুধু একজন সফল খামারিই নন, তিনি অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী সফল উদ্যোক্তাও বটে। তাই উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকেও সর্বদাই তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। তাই আশা করা যায়, এবারের কোরবানির হাটে তিনি উপযুক্ত মূল্যে গরুগুলো বিক্রি করে আর্থিকভাবেও আরো বেশি লাভবান হবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা