১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

২০২৮ সাল পর্যন্ত দেশে ১৪৮টি গ্যাস কূপ খননের পরিকল্পনা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত দেশে ১৪৮টি গ্যাস কূপ খননের পরিকল্পনা চুড়ান্ত করেছে পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে ৪৮টি কূপের খনন কাজ আগামী বছরের (২০২৫) ডিসেম্বরে শেষ হবে। বাকী ১০০ টি কূপ ২০২৮ সালের মধ্যে খনন করা হবে।

শনিবার পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার গাজীপুর শহরের জয়দেবপুর কনভেনশন সেন্টারে পেট্রোবাংলার শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২০২৪ অনুযায়ী অংশীজনের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত সরকারি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য করে ডিমান্ড ও সাপ্লাই তৈরি করেছি। অর্থাৎ ২০৪১ সাল পর্যন্ত গ্যাসের ডিমান্ড কত থাকবে এবং সাপ্লাই সক্ষমতা কত থাকবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে সাপ্লাই সাইড কিভাবে বাড়াতে পারি সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, সাপ্লাই সাইট দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। প্রথমত, দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস নিয়ে আসা, অবশিষ্ট এলএনজি নিয়ে আসা। দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস আনার জন্য এখন আমরা ৪৮টা কূপ খনন করছি। ২০২৫ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কূপগুলি খননের পর ২০২৬ থেকে ২০২৮ পর্যন্ত আরো ১০০টা কূপ খনন করার পরিকল্পনাও চুড়ান্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ২০২৮ থেকে ২০৪১ সালের পরিকল্পনা কিছুদিনের মধ্যেই চুড়ান্ত হবে। দেশীয় উৎস থেকে শিল্পকারখানায় গ্যাস দেয়ার জন্য পেট্রোবাংলা কাজ করছে।

তিনি জানান, এলএনজি আমদানীর জন্য আমাদের দুটি টার্মিনাল ছিল। আরো দুটি টার্মিনাল চুড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এলএনজি আমদানীর জন্য আরো চারটা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। ২০২৬ সালের পর থেকে যখন আমাদের টার্মিনাল যুক্ত হবে, তখন অধিক এলএনজি আমদানি করে শিল্পকারখানার চাহিদা পূরন করতে পারব। আগামী ২০৩৫ সাল পর্যন্ত এলএনজি আমদানির যে অবকাঠামো সেটার ব্যাপারে এক বছরের মধ্যে সকল চুক্তি সম্পাদন হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের অনুমোদন নিয়ে সমুদ্রের গ্যাসের জন্য আমরা টেন্ডার আহ্বান করেছি। আশা করি সেপ্টেম্বর বা এই বছরের শেষের দিকে কিংবা আগামী বছরের প্রথম দিকে সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিকে দায়িত্ব দিতে পারব। আমরা আশা করি বঙ্গোপসাগরে বিশাল পরিমাণ তেল ও গ্যাস পাব এবং আমাদের সরবরাহ লাইনে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি মন্ত্রনালয়ে কাজ করি, যেখানে আমাদেরকে প্রতিমুহুর্তে জবাবদিহিতা করতে হয়। যে কথাটা বলে গেলাম তা কার্যকর হলো না, বা অন্য কোনো কথা বলে পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম, তা হবে না। বিদ্যুতে আমাদেরকে একটা বড় পরিমাণ গ্যাস দিতে হবে। সার কারখানায় গ্যাস দিতে হয়। এগুলি সরকারের নীতিমালা। তবে আমরা প্রতিমুহুর্তে চেষ্টা করব গ্রাহকরা যাতে ভালো থাকে, তাদের সরবরাহ যেন নিশ্চিত হয়। তাদের বিজনেস যেন বাড়ে, এর মাধ্যমে কর্মসৃজন করে দেশের উন্নতি করতে পারে।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন শিল্পকারখানার মালিক-প্রতিনিধিদের গ্যাস সঙ্কট ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) ও নৈতিকতা কমিটির সভাপতি একেএম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন এন্ড মাইন্স) প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান খান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: হারুনুর রশিদ মোল্লাহ


আরো সংবাদ



premium cement