মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে চলে জীবিকা
- দোহার (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ০১ জুন ২০২৪, ০৯:৫২
মিষ্টি কুমড়া আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি সবজির নাম। সারা বছরই মিষ্টি কুমড়া দিয়ে নানা মজাদার রান্না তৈরি করা হয়। তবে, বর্ষা মৌসুমে অন্যান্য সবজির সরবরাহ কমে গেলে মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা বেড়ে যায়।
মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে চলে অনেকের সংসার। জনি মোল্লা তাদের একজন। ২০ বছর ধরে ঢাকার দোহার উপজেলার পালামগঞ্জ বাজারে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে চালাচ্ছেন সংসার। আর কুমড়া বিক্রির উপার্জিত আয় দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো আছেন জনি।
জনি মোল্লা ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের চরকুশাই এলাকার ফজল মোল্লার ছেলে।
জনি মোল্লা জানান, ‘আমার বয়স তখন ১৭ বছর। বাবা দোহার উপজেলার লটাখোলা বাজারে সবজি বিক্রি করতেন। হঠাৎ বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি বাবার পেশার হাল ধরি। প্রথমে সবজি বিক্রি করতাম। একটা সময়ে কিছু মিষ্টি কুমড়া কিনে বিক্রি করি। কুমড়া বিক্রি করে ভালোই মুনাফা আয় হয়। তারপর থেকে মিষ্টি কুমড়া বিক্রির সিন্ধান্ত নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ বছর প্রায় আট হাজার কুমড়া কিনেছি। কুমড়া ফালি করে এবং আস্ত কুমড়া এভাবে প্রতিদিনি প্রায় ৭০ থেকে ৮০টির মতো বিক্রি করে থাকি। এতে যে আয় হয় তা দিয়েই ভালোমতো চলে যায় সংসার। যখন সংসারের হাল ধরি তখন একটা দু:চিন্তার মধ্যে দিয়ে পার করতে হয়েছে, এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আাছি।’
জানা গেছে, এরই মধ্যে প্রায় ২০ বছর পার হয়ে গেছে কুমড়া বিক্রির। বাড়ির অদূরে পালামগঞ্জ বাজারই হচেছ এখন তার ঠিকানা। রোদ বৃষ্টি ঝড় উপক্ষো করে খোলা আকাশের নিচে বেচাবিক্রি করতে হতো তাকে। এ বছর পাকা ভবনের নিচে বসেই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। খেয়ে পড়ে ভালোভাবেই দিন কেটে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে দুই ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করতে পারলে আর কিছু চাওয়া পাওযার নেই।
জনি মোল্লা আরো বলেন, ‘একটা সময়ে নিজেকে নিয়ে অনেক কিছুই ভাবতাম। বিদেশে যাওযারও কথা ছিল। কিন্তু নিয়তি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছি। কে কিভাবে উপার্জন করবে তা আমরা কেউই জানি না। তবে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে চাই ‘
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা