পানির নিচে তলিয়ে নারায়ণগঞ্জের নিম্নাঞ্চল, চরম দুর্ভোগ মানুষের
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও ফতুল্লা সংবাদদাতা
- ২৮ মে ২০২৪, ১৫:১৬
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার রাত থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত টানা বর্ষণে ফতুল্লা বেশিভাগ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও কোমর সমান পর্যন্ত পানি। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বাসার বাহিরে বেরুনো নিজ নিজ কমস্থল বা নিজ গন্তব্য স্থলে যাওয়া মানুষদের। জরুরি কাজ ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছে না কেউ।
সরেজমিনে ফতুল্লার পাগলার নন্দলাপুর নয়ামাটি, শাহিমহল্লা, মুসলিমপাড়া, শহীদ নগর, দৌলতপুর, মুন্সিবাগ, আদর্শ নগর, নূরবাগ, পিলকুনী, পিলকুনী, ব্যাংক কলোনী, শিয়াচর, লালখা, রেলস্টেশন, ব্যাপারীপাড়া, খোজ পাড়া, লালপুর, পৌষাপুকুরপাড়, টাগারপাড়-সহ আশপাশের প্রায় বেশ কয়েকটি গ্রামের রাস্তাঘাট টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। আর এতে করে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় কয়েক লাখ মানুষ।
তবে, সব চাইতে ভয়াবহ অবস্থা লালপুর পৌষাপুকুর এলাকা। এই এলাকার প্রতিটি অলিগলিতেই হাটু সমান বা তারও বেশি পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাগুলো। একাধিক বাসা বাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
প্রতিদিনের চলাচলের প্রধান সড়ক একটু বৃষ্টি হলেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই রাস্তায় যাতায়াতরত স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মজীবী মানুষের। এই ভোগান্তির শেষ কোথায় তাও যেন জানা নেই পৌষাপুকুর পাড়ের সাধারণ মানুষের, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এমন ভোগান্তিতে রয়েছেন অবহেলিত লালপুর পৌষাপুকুর পাড়ের মানুষ।
পৌষাপুকুর পাড় কবরস্থান সড়কের বাসিন্দা সামছুল জানান, বৃষ্টির পানি না সরতে পারায় রাস্তা ডুবে আছে। মানুষের চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
একই গলির বাসিন্দা রহিমা জানান, অনেকের বাসায় এখনো বৃষ্টির পানি আটকে আছে। রান্না ঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। তাই বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে পাশের বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে এসেছি। আমাদের অনেক দুর্ভোগ। ড্রেন না থাকায় পানি সরবে না সহজেই। ফলে এই ভোগান্তি আর কতদিন পোহাতে হবে আল্লাহই জানে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা