১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শ্রীনগরে কুপিয়ে বৃদ্ধকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

শ্রীনগরে কুপিয়ে বৃদ্ধকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড - প্রতীকী ছবি

মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর উপজেলায় কোদাল দিয়ে কুপিয়ে বৃদ্ধকে হত্যার দায়ে শহিদুল ইসলাম ওরফে জহিরুল (৪০) নামের একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ঊর্মি এ রায় দেন।

শহিদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার নড়াইল গ্রামের আলাউদ্দিন ওরফে সিদ্দিক সাহার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের (এপিপি) মো. সিরাজুল ইসলাম পল্টু।

এদিকে রায়ের সময় আসামি আদালতে আসামি হাজির ছিলেন না। জামিনে যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে আসামি পলাতক রয়েছে। নিহত ওরশেদ আলী (৬৫) মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘরা নয়াবাড়ি মাগডাল গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার সূত্রে জানা যায়, আবর্জনা ফেলানো নিয়ে নিহতের সাথে প্রতিবেশী বিপ্লব ডাক্তারের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে বিপ্লব ডাক্তারের বাড়ির কাজের লোক মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে জহিরুল ২০১২ সালের ৯ জুন সকাল সাড়ে ১০ দিকে নিহত ওরশেদ আলী বাড়ির পাশে আমগাছের নিচে পাটি বিছিয়ে তার ছেলে জাহাঙ্গীরকে (১১) সাথে নিয়ে বসে ছিল। এ সময় শহিদুল তাকে তার হাতে থাকা গোবর ফেলানোর কোদাল দিয়া গলা লক্ষ্য করে তিনটি কোপ মেরে শ্বাসনালী কেটে ফেলে। ঘটনা স্থলেই মারা যায় ওরশেদ। এ সময় নিহতের ভাতিজা বউ লাকি আক্তার দেখে ফেললে লাকি আক্তার'কে আসামি কোদাল নিয়া তেরে মারতে যান। হত্যার পর আসামি বিপ্লব ডাক্তারের বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে গ্রামবাসী আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রহিমা বিবি শ্রীনগর থানায় মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো: সিরাজুল ইসলাম পল্টু বলেন, আসামি গ্রেফতারের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের নয়জন সাক্ষী উপস্থাপনের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রদান করলে আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে খুশি।

 


আরো সংবাদ



premium cement