গোয়ালন্দে একসাথে ৪৫টি সাপ মারার পর এলাকায় আতঙ্ক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম চরাঞ্চলবাসী বিষাক্ত সাপ আতঙ্কে উদ্বিগ্ন। ওই এলাকার মজলিশপুর গ্রামের কৃষক আইজাল দোকানদারের বাড়িতে মঙ্গলবার দুপুরে ৪৫টি বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চা মারা পড়েছে।

এছাড়া বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই গ্রামের পাশেই চর করনেশন এলাকার গফুর মণ্ডল পাড়ার রহমানের মোড়ে আব্দুর রহমান দোকানদারের পানের ডালার নিচে থাকা সাড়ে ৪ হাত লম্বা একটি রাসেল ভাইপার সাপ মারা পড়ে।

জানা যায়, কৃষক আইজাল বিভিন্ন সময়ে তার জমি থেকে তুলে আনা ভুট্টা মাড়াই করে তার আবর্জনা উঠানে স্তুপ করে রেখেছিলেন। বাচ্চা আকারের ওই সাপগুলো আবর্জনার নিচে ছিল। ঘটনার দিন ওই কৃষক আবর্জনাগুলো সরাতেই সাপগুলো বেড়িয়ে আসে। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা এসে সাপগুলো পিটিয়ে মেরে ফেলে।

এ বিষয়ে উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শেখ রাসেল মাহমুদ জানান, ঘটনার আগের দিনও আইজাল দোকানদার দুপুরে তার ক্ষেতের ভুট্টা মাড়াই করে তার আবর্জনা বাড়ির আঙ্গিনায় জড়ো করে রাখেন। ওই আবর্জনা ঘটনার দিন দুপুরে রৌদ্রে শুকাতে গেলে নিচ থেকে সাপগুলো বেড়িয়ে আসতে দেখে তিনি চিৎকার করে উঠেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে প্রায় এক থেকে দেড় ফুট করে লম্বা ৪৫টি বিষধর সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলে। এরপর সেগুলো মাটিতে পুতে রাখে।

এ বিষয়ে ওই এলাকার উজানচর ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো: রাসেল শেখ জানান, চরাঞ্চলে কৃষি কাজ করতে গিয়ে কয়েক ব্যক্তি বিষাক্ত সাপের কামড়ে কিছুদিন আগে মারা গেছে। এরপর আইজালের বাড়িতে একই সাথে ৪৫টি সাপ মারা পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া আইজালের বাড়িতে মারা পড়া সাপগুলো ইউটিউব ও গুগলে দেখা ভিডিওতে রাসেল ভাইপার সাপের সাথে মিল পাওয়ায় স্থানীয়রা ওগুলো রাসেল ভাইপার সাপ বলে মনে করছে। বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে চরাঞ্চলে সাপের উপদ্রব অনেক বেড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. ফারসীম তারান্নুম হক বলেন, আমি শুনেছি, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চরাঞ্চল মজলিসপুর গ্রামের একজন কৃষকের বাড়ি থেকে একই সাপ ৪৫টি মারা হয়েছে। এতে করে ওই এলাকার জনমনে কিছুটা সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এতে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া কাউকে সাপে কাটলে সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন মজুদ রয়েছে।